খলিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা আনআম শরীফ উনার ১২৫ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে হিদায়েত করতে চান, তার অন্তরকে ইসলাম উনার জন্য প্রসারিত করে দেন। আর যাকে গোমরাহ করতে চান অর্থাৎ যে গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় তার অন্তরকে সংকুচিত বা কঠিন করে দেন।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে প্রসারিত করেন তাকেই হিদায়েত দান করেন। কিভাবে হিদায়েত লাভ করা যাবে আর কি কারণে হিদায়েত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে সে বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করতে হলে কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার ব্যতীত কারো জন্য কোন বিকল্প নেই।
তাই প্রত্যেকের উচিত কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে সেই মহা মূল্যবান নিয়ামত মুবারক হাছিল করা।
, ০৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ সাবি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এই মহাসম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম যে, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আয়াত শরীফ দুই ধরণের। ১. মুহকামাত-স্পষ্ট আয়াত শরীফ ২. মুতাশাবিহাত- রূপক তথা ব্যাখ্যা সাপেক্ষ আয়াত শরীফ। অর্থাৎ মুহকাম আয়াত শরীফ উনাদের অর্থ স্পষ্ট, সহজেই উপলব্ধি করা যায় এবং অর্থ নির্ধারণ ও গ্রহণে কোন অসুবিধা হয় না। আর মুতাশাবিহ আয়াত শরীফ উনাদের অর্থ রূপক, ব্যাখ্যা ব্যতীত হাক্বীক্বী মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব না। তবে যারা রছিখুন তথা গভীর ইলম উনার অধিকারী উনারাই পারেন এই সমস্ত আয়াত শরীফ উনাদের মর্ম উদঘটন করতে। মুতাশাবিহ আয়াত শরীফ উনার উনার অর্থ করতে গিয়ে যাদের কম আক্বল-সমঝ রয়েছে তারা বলে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে হিদায়েত করেন, সেই হিদায়েত লাভ করে। আর যাকে গোমরাহ করেন কেউ তাকে হিদায়েত দিতে পারে না। তাহলে কি মহান আল্লাহ পাক তিনি একজনের একরকম চান আর আরেকজনের আরেক রকম চান? নাউযুবিল্লাহ! মূলত, এরূপ ধারণা পোষণ করা মহান আল্লাহ পাক উনার শান মুবারক উনার খিলাফ। মেছাল স্বরূপ বলা যায়, একজন পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকলে পিতা-মাতা সবার সাথেই সমান ব্যবহার করেন। কিন্তু যে সন্তান পিতা-মাতার অনুগত, স্বাভাবিক ভাবেই পিতা-মাতা সেই সন্তানের প্রতি মায়া মুহব্বত বেশী থাকে। আর যে সন্তান তাদের অনুগত নয়, সে অনুগত না হওয়ার কারণে আদর মুহব্বত পায় না। অথচ পিতা-মাতা চায় সবাইকে সমান মুহব্বত করতে। অন্যদিকে যে সন্তান অনুগত নয় তাকেও যে মুহব্বত করা হয়না তা কিন্তু নয়। তদ্রুপ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার দিকে রুজু হয়, সেই হিদায়েত পায়। আর যে উনার দিকে রুজু হয় না, ফরমাবরদারি করে না, গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে সে হিদায়েত লাভ করতে পারে না।
ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র সূরা আনআম শরীফ উনার ১২৫ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে হিদায়েত করতে চান, তার অন্তরকে ইসলাম উনার জন্য প্রসারিত করে দেন। আর যাকে গোমরাহ করতে চান অর্থাৎ যে গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় তার অন্তরকে সংকুচিত বা কঠিন করে দেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা যুমার শরীফ উনার ২২ নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে ইসলাম উনার জন্য প্রসারিত করেন, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নূরে নূরান্বিত হয়ে যান। যার অন্তর মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির না করার কারণে কঠিন হয়ে যায়, তার জন্য ধ্বংস, জাহান্নাম। তারাই প্রকাশ্য গোমরাহির মধ্যে রয়েছে।
ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যে বা যারা হেদায়েত চায় সে বা তারা হেদায়েত লাভ করে। আর যে বা যারা গুমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে সে বা তারা হেদায়েত লাভ করতে পারে না। আরো উল্লেখ্য হিদায়েত লাভ করার জন্য অন্যতম হচ্ছে অন্তর প্রসারিত হওয়া। যে ব্যক্তি হিদায়েত লাভ করে তার অন্তর নূরে নূরান্বিত হয়ে যায়, ইলমে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আর যে গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে তার অন্তরটা সংকুচিত হয়ে যায়।
ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি যার অন্তরকে প্রসারিত করেন তাকেই হিদায়েত দান করেন। কিভাবে হিদায়েত লাভ করা যাবে আর কি কারণে হিদায়েত থেকে মাহরূম হয়ে যাবে সে বিষয়ে হাক্বীক্বী ইলম হাছিল করতে হলে কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার ব্যতীত কারো জন্য কোন বিকল্প নেই। তাই প্রত্যেকের উচিত কামিল শায়েখ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের মহাসম্মানিত ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে সেই মহা মূল্যবান নিয়ামত মুবারক হাছিল করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট। যে যত বেশি দুনিয়া ত্যাগ করতে পারবে সে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত-মারিফত, নিসবত-কুরবত হাছিল করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করা, পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা, পবিত্র না’ত শরীফ পাঠ করা এবং উনার আলোচনা মুবারক করা ফযীলত, বরকত ও মর্যাদা হাছিলের কারণ।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইলমে তাছাওউফ উনার যাবতীয় কার্যাবলী তারতীব অনুযায়ী নিয়মিত ও পরিমিত এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে এবং প্রতিটি আমলের জবাবদিহী এবং আত্মসমালোচনার জন্য ‘মুহাসাবা’ বা ‘নিজস্ব আমলের হিসাব গ্রহণ’ অতীব জরুরী।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা আমাকে মহাসম্মানিত বরকতময় পবিত্র নসবনামাহ মুবারক উনার সাথে সম্পৃক্ত করুন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “অবশ্যই হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে – সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীক্বীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র অর্থাৎ চূড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ!
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তিই তার আমলের কারণে পাকড়াও হয়ে যাবে। তার জন্য মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত কোনো ওলী বা অভিভাবক এবং সুপারিশকারী থাকবে না। যদি সে তার আমলের বদলাস্বরূপ সব ধরনের বিনিময় প্রদান করে তবুও তার থেকে সেই বিনিময় গ্রহণ করা হবে না। আর যারা তাদের আমলের কারণে পাকড়াও হবে তাদের জন্য থাকবে গরম পানি এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। যেহেতু তারা কুফরী করতো। ” কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)