খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ (পবিত্র সালাম শরীফ) পেশ করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করুন এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করার মত পেশ করুন।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা-মর্তবা মুবারক বর্ণনা করা বা আলোচনা মুবারক করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা। অর্থাৎ উনার প্রতি প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করা এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করার মত পেশ করা।
, ২০ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ (পবিত্র সালাম শরীফ) পেশ করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করুন এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করার মত পেশ করুন।” মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তোমরা খিদমত মুবারক করো, উনাকে সম্মান করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে।” অর্থাৎ নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা-মর্তাবা মুবারক, শান-মান মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক বর্ণনার মাধ্যমে অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ পেশ করার মাধ্যমে বা আলোচনা মুবারক উনার মাধ্যমে উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো, উনাকে সম্মান করো এবং যথাযথভাবে খিদমত মুবারক করো।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত কা’ব আহবার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম তিনি উনার পুত্র হযরত শীছ আলাইহিস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে প্রিয় ছেলে! আমার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর আপনি আমার খলীফা বা ক্বায়িম মাক্বাম (স্থলাভিষিক্ত) হবেন। এছাড়া আপনি তো মহান আল্লাহ পাক উনার নবী। সুতরাং এই নুবুওওয়াত ও খিলাফত উভয় মাক্বামকে তাক্বওয়া ও খোদাভীতির সঙ্গে দৃঢ়তার সাথে আঁকড়িয়ে ধরে রাখবেন। আর যখন আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ বা যিকির করবেন তখন পাশাপাশি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র যিকির মুবারক বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করবেন। কেননা আমি উনার পবিত্র নাম মুবারক আরশে আ’যীম উনার স্তম্ভ মুবারক সমূহ উনাদের মধ্যে লিপিবদ্ধ দেখেছি। যখন আমাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কুদরতী হাত মুবারক উনার দ্বারা সৃষ্টি মুবারক করে আমার মধ্যে পবিত্র রূহ মুবারক ফুঁকে দিলেন। তখন আমি মাথা মুবারক উত্তোলন করলাম এবং আসমানের সমস্ত স্থান ঘুরে দেখলাম, এমন কোন স্থান আমার নজরে পড়েনি যেখানে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিপিবদ্ধ ছিল না। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে জান্নাতে রাখলেন। সেখানেও আমি দেখলাম জান্নাতের প্রত্যেক অট্টালিকায়, বালাখানার বারান্দায়, প্রত্যেক হুরের সীনায়, বেহেশ্তের সমস্ত বৃক্ষের পাতায় পাতায়, কা-ে কা-ে, ত্ববা বৃক্ষ ও ছিদরাতুল মুনতাহায়, জান্নাতী পর্দা সমূহের আঁচলে এবং হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের চক্ষুসমূহে তথা সমস্ত স্থানে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক লিপিবদ্ধ রয়েছে। অতএব অধিক পরিমাণে উনার স্মরণ বা আলোচনা করুন। কারণ হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালাম উনারা সবসময় উনার শান-মান মুবারক, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক, আলোচনা মুবারক করেন এবং উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ বা পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠে মশগুল রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক, উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ পেশ করা সুন্নাতুল্লাহ, সুন্নতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুন্নতে ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, সুন্নাতে আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও সুন্নাতে তামাম মাখলুকাত উনার অন্তর্ভুক্ত। যা সমস্ত ইবাদতের জামে বা মূল।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা-মর্তবা মুবারক বর্ণনা করা বা আলোচনা মুবারক করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা। অর্থাৎ উনার প্রতি প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করা এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করার মত পেশ করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবত্রি সুন্নত মুবারক পালনরে অফুরন্ত ফযীলত মুবারক।
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করছেন উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ” যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মালিকুল মিনআম, ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- হামদ্ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদাহ শরীফ ইত্যাদি লেখা বা রচনা করা, পাঠ বা আবৃত্তি করা এবং শ্রবণ করা সবই খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, শাফিউল মুয্নিবীন, রহমতুল্লিল ‘আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তা’লীম গ্রহণ করেন এবং পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তা’লীম দেন।”
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“আমি তোমাদের জন্য যা রেখে গেলাম তা তোমরা গ্রহণ করলে কখনোই গুমরাহ হবে না; তা হচ্ছেন পবিত্র কিতাবুল্লাহ এবং আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই হিদায়েতের মূল এবং ভিত্তি। উনাদের মুহব্বত ঈমান আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি ও আখেরী রসূল মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন, এছাড়া বাকি সব কিছু। সুবহানাল্লাহ!
০৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)