মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রব তিনি ঘোষণা করছেন যে, যদি তোমরা শোকরগুজারী করো তবে আমি তোমাদের নিয়ামতকে বৃদ্ধি করে দিব। আর যদি অস্বীকার করো তাহলে নিশ্চয়ই আমার আযাব কঠিন।
মহান আল্লাহ পাক উনার শোকরগুজারী করলে নযি়ামত বৃদ্ধি পাবে
তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নাফরমানী ত্যাগ করে বেশি বেশি নেক আমলে মশগুল থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত নিয়ামতের শোকরগুজারী করা।
, ২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে অনেকভাবে পরীক্ষা করেন। তিনি বান্দাকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে নাফরমানী করা সত্ত্বেও যখন তার জন্য প্রত্যেক বস্তুর দ্বার উন্মুক্ত করে দেন অর্থাৎ দুনিয়াতে যে কোন বিষয় ভোগ করা অতি সহজসাধ্য করে দেন তখন বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার নছীহত মুবারক ভুলে গিয়ে এই প্রাপ্তির কারণে আনন্দিত হয়, এমতাবস্থায় যখন তারা হঠাৎ পাকড়াও হয়ে যায় তখন তারা বুঝতে পারে যে, তাদের ভুল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তখন এই বুঝ তাদের কোনো ফায়দা দিতে পারে না বা উপকারে আসে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পাকড়াও হওয়া প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি কুরআন শরীফ দ্বারা নছীহত করুন, প্রত্যেক ব্যক্তি তার কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও হবে। তার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত কোনো ওলী থাকবে না এবং সুপারিশকারীও থাকবে না। যদি সব রকমের বিনিময় প্রদান করে, তার থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। যাদেরকে কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করা হবে তাদের জন্য রয়েছে গরম পানীয় এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি, কেননা তারা কুফরী করেছিল।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সঙ্গতকারণে বলতে হয়, বান্দা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যা কিছু লাভ করে সবই মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত। প্রত্যেকের উচিত মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের শোকরগুজারী করা। শোকরগুজারী করলে নিয়ামত বৃদ্ধি পাবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমাদের রব তিনি ঘোষণা করছেন যে, যদি তোমরা শোকরগুজারী করো তবে আমি তোমাদের নিয়ামতকে বৃদ্ধি করে দিব। আর যদি অস্বীকার করো তাহলে নিশ্চয়ই আমার আযাব কঠিন।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমাদের জন্য জানা জরুরী যে, বান্দা শোকরগুজারী কিভাবে করবে? মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে অসংখ্য নিয়ামতরাজী দ্বারা সমৃদ্ধ করে রেখেছেন। যদিও সেটা খুব অল্প সংখ্যক মানুষই খেয়াল করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বলেন, “তোমরা তোমাদের রব উনার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতকে অস্বীকার করা কুফরী; অতএব বান্দার উচিত হবে নিয়ামত লাভের কারণে শোকরগুজারী করা। আর প্রকৃত শোকরগুজারী তখন হবে যখন প্রাপ্ত নিয়ামতের হক্ব আদায় করা হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় পরিবার মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামতের অন্তর্ভূক্ত। পরিবারকে যদি যথাযথ ভরণ-পোষণ দেয়া হয় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম অনুযায়ী পরিচালিত করা হয় তবেই এই নিয়ামতের শোকরগুজারী হবে। আর যদি খেয়াল-খুশিমত চলা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম-আহকামের দিকে লক্ষ্য করা না হয় তখন তা শোকরগুজারীর অন্তর্ভূক্ত হবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অর্থ-সম্পদ মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশিত পন্থায় আয় করে উনার পথেই ব্যয় করাটা শোকরগুজারী হবে কিন্তু অর্থ-সম্পদ যদি বিলাসিতা ও দুনিয়া হাছিলের ক্ষেত্রেই ব্যয় হয় তখন তা নাশোকরী হবে। আর শোকরগুজারী না করাই হবে নিয়ামত অস্বীকারের নামান্তর। আর যারা নিয়ামত অস্বীকার করবে তাদের জন্যই মহান আল্লাহ পাক শাস্তির বিধান করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কি করবেন যদি তোমরা শোকরগুজারী করো এবং ঈমান আনো? আর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামতের প্রতিদান প্রদানকারী ও সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।” মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে বিনা কারণে শাস্তি দেন না। বান্দা অবাধ্য হলে তখনই সে শাস্তির উপযুক্ত হয়। এজন্য দুনিয়াতে থাকতেই নেক আমল করে নিতে হবে। মৃত্যু হলে আর এ সুযোগ পাওয়া যাবে না।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- শোকরগুজারী করলে নিয়ামত বৃদ্ধি পাবে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নাফরমানী ত্যাগ করে বেশি বেশি নেক আমলে মশগুল থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত নিয়ামতের শোকরগুজারী করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণকারীগণই ছালিহীন হিসেবে পরিগণিত হবেন। একইভাবে ছালিহীন হতে হলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে।
২৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মুসলিম উম্মাহ সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করা। কেননা উনারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মাক্বাম মুবারকে অনন্যা। যে বা যারা বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করে উনাদের যত বেশি
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয।
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস লাভ করার পরও যারা নিজেদের গুণাহ ক্ষমা করাতে পারবেনা, তাদের জন্য আফসুস।
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কেউ যদি পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উনার রাতে ইবাদত-বন্দিগী করে তাহলে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দিগী করে যত ফযীলত লাভ করার কথা তার চেয়ে অনেক বেশী ফযীলত লাভ করবে।
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহিলাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, ঈদাইন, তারাবীহসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী।
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিনতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সিবতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম- উনারা সারা কায়িনাতের মহাসম্মানিত মাতা। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র যাকাত একটি ফরয ইবাদত ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় বা মধ্যম ভিত্তি। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র যাকাত উনার নামে অপছন্দনীয় ও নিম্নমানের মাল বা বস্তু দান করা হারাম ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ নিম্নমানের মাল বা বস্তু পবিত্র যাকাত হিসেবে দেয়া স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে প্রতারণা করা এবং পবিত্র যাকাত উনাকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার শামিল; যা নিঃসন্দেহে রিয়া ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সিবতু রসূল আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব। উনাকে মুহব্বতকারীদের জন্য সুসংবাদ আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের জন্য জাহান্নাম।
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহভীতি। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে উনার নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ হতে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার নাম তাক্বওয়া। আর পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের রোযা উনার দ্বারা সেই তাক্বওয়া হাছিল হয়ে থাকে।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হচ্ছেন মুয়াসাহ বা সহানুভূতির মাস।’ সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে সিন্ডিকেট করে বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)