ভোজ্যতেল আমদানিনির্ভরতা হ্রাসে শুধু সরিষা নয় ভূট্টার তেল উৎপাদনে বিশেষ গুরত্ব দিতে হবে।
দেশে উৎপাদিত ভুট্টা থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টন ভুট্টার তেল আহরণ সম্ভব। পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা করলে ভোজ্যতেলের চাহিদা পুরোটাই মিটবে ভুট্টা থেকে।
, ০২ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২২ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৬ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
মাথাপিছু দৈনিক ৪০ গ্রাম ধরে ২০৩০ সালে ভোজ্যতেলের মোট দেশীয় চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২৮ লাখ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ভোজ্যতেল আমদানি করতে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছর ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। তেলজাতীয় ফসলের দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানি ব্যয় কমানো সম্ভব। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যে তেল ফসলের উৎপাদন ২৮ লাখ টনে উন্নীত করা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাব অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়েছে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে মোট চাহিদা ২৪ লাখ টনের বিপরীতে দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদন মাত্র তিন লাখ টন, যা চাহিদার মাত্র ১২ শতাংশ।
‘তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প’-এর মাধ্যমে জুন ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৪০ ভাগ ভোজ্যতেল স্থানীয়ভাবেই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এ পরিকল্পনা যথার্থ নয় কারন একমাত্র সরিষা উৎপাদনই লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা হ্রাস তথা দেশীয় উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণে প্রয়োজন প্রায় ২৪ লাখ হেক্টর জমি। তেলজাতীয় ফসল, বিশেষ করে সরিষাকে প্রাধান্য দিয়ে আবাদের আওতায় আনা প্রয়োজন।
গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যে জানা যায়, উন্নত বিশ্বে ভুট্টা থেকে স্টার্চ, ইথানল, জৈব জ্বালানি, তেল উৎপাদনসহ রয়েছে আরও বহুমুখী ব্যবহার। বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৫২টি দেশে ভুট্টা থেকে উৎকৃষ্ট মানের ভোজ্যতেল উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হয়। ভুট্টার তেল স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিসমৃদ্ধ। এতে কোনো আমিষ বা শর্করা নেই, শতকরা ১০০ ভাগই চর্বি বিদ্যমান যার পুষ্টিমান অন্যান্য তেলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি।
জানা গেছে, ভুট্টা তেলে বিদ্যমান সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সমপরিমাণ। ভুট্টা তেলে ভিটামিন ই (টোকোফেরল)-এর পরিমাণ সূর্যমুখী তেলের চেয়ে বেশি। বিশেষত ভুট্টার তেলে ভিটামিন কে (১.৯ মাইক্রো গ্রাম) রয়েছে যেখানে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলে তা অনুপস্থিত।
গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ভুট্টা নতুন সম্ভাবনাময় ফসল। বাংলাদেশের মাটি ও পানিবায়ু ভুট্টা চাষের অনুকূল। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতেও ভুট্টার ভালো ফলন হচ্ছে। কৃষকদের কাছেও ভুট্টা চাষ জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
গত ৫ বছরের ব্যবধানে শস্যটির উৎপাদন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে ভুট্টার উৎপাদন হয়েছিল ২৭ লাখ টন। আর গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ লাখ টনে।
মার্কিন কৃষি বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা করেছে যে, গত মৌসুমে বিশ্বে হেক্টরপ্রতি ভুট্টা উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ফলনের রেকর্ড করেছে তুরস্ক। দেশটিতে হেক্টরপ্রতি গড়ে ভুট্টা ফলেছে সাড়ে ১১ টন। অথচ এক বছর আগেও ফসলটির হেক্টরপ্রতি গড় ফলনে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হেক্টরপ্রতি সাড়ে ১০ টন ভুট্টা ফলিয়ে এবার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে হেক্টরপ্রতি ভুট্টা ফলেছে পৌনে ১০ টন। তবে যথাযথ প্রনোদনা ও পরিচর্যা এবং পৃষ্ঠপোষকতা করলে বাংলাদেশেই হেক্টর প্রতি উৎপাদন ১২ টন সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
সরকারী হিসেবে, ভুট্টার উৎপাদন ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে দেশে ভুট্টা চাষের মোট আবাদি জমি সাড়ে ৫ লাখ হেক্টরেরও বেশি। কিন্তু দৈনিক আল ইহসানের গবেষণা মতে দেশে ভুট্টা চাষের মোট আবাদী জমি খুব সহজেই ৭৫ লাখ হেক্টর জমিতে উন্নীত করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
বর্তমানে বছরে দেশে উৎপাদিত ৫৪ লাখ টন ভুট্টা থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টন ভুট্টার তেল আহরণ করা সম্ভব। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে ৭৫ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ থেকেই দেশের প্রয়োজনীয় ১৬ লাখ ভোজ্য তেল উৎপাদন সম্ভব। ইনশাআল্লাহ! যার মূল্যমান ৬০ হাজার কোটি টাকা।
সঙ্গতকারণেই সরকারের জন্য উচিত হবে- ভুট্টা চাষের আধুনিক প্রযুক্তি, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন, ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণের উপর আরও বেশি করে কৃষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বিশেষ করে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বীজ ব্যবহারে কৃষকদের সহায়তায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বেসরকারি বীজ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জোরালো ভূমিকা রাখা। দেশের ভুট্টা উৎপাদন এলাকাগুলোতে ভুট্টা থেকে তেল, স্টার্চ, প্রাণিখাদ্য ও মাছের খাবার তৈরির প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে তোলা। উৎপাদন মৌসুমে বিদেশ থেকে ভুট্টা আমদানি বন্ধ রেখে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। দেশের চরাঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকার পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ সম্প্রসারণ করা। আর এতে করে দেশের প্রয়োজনীয় ৬০ হাজার কোটি টাকার ভুট্টার তেলই নয় বরং লাখ লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত হবে। ইনশাআল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এদেশে যারা পহেলা বৈশাখের নামে বাঙ্গালীয়ানার হুজ্জোতে মেতে উঠে তারাই আবার ইংরেজী থার্টি ফার্স্ট নাইটের অশ্লীলতায় মজে থাকে। পহেলা বৈশাখের বাঙ্গালীয়ানা এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের খ্রীষ্টিয়ানা কোনটাই ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে চলতে পারে না। পশ্চিমা বিজাতীয় খ্রিষ্টানদের অপসংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিজাতীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা দেশের যুবসমাজের চরিত্র বিধ্বংসী।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে ক্রমেই ছোট হচ্ছে সুন্দরবন, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)