ভূমি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন জানেনা দেশের সিংহভাগ মানুষ পাঠ্যপুস্তকে ভূমি বিষয়ক আইন ও নিয়মকানুন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
, ০৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক কিছু শিখানো হয়, কিন্তু ভূমি সম্পর্কে আলাদা কোনো বিভাগ বা পাঠ্যসূচি নেই। কীভাবে জমির হিস্যা, জমির নামজারি, জমি-জমা ভাগ হয়- তা সাধারণ মানুষ জানে না। এ তথ্যগুলো কোনো পাঠ্যপুস্তকে উল্লেখ নেই। দেশের সিংহভাগ মানুষের জমি-জমা সম্বন্ধে কোনো ধারণাই নেই।
প্রত্যেক নাগরিকের নিজের স্বার্থেই ভূমিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন ও নিয়মাবলী সবার জানা জরুরী। এমন বাস্তবতা থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আজো এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ আমাদের যত সমস্যা তার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। কোর্টে যত মামলা তার ৬০ ভাগই জমিজমা নিয়ে।
অনেকে লেখাপড়া শেষ করেছে। কিন্তু দেখা যায়, সে জমি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারে না। তাই আমরা মনে করি, প্রত্যেক মানুষেরই ভূমিসংক্রান্ত আইন-কানুন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান থাকা দরকার।
প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভূমির বিষয়টি অত্যাবশকীয় বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভূমির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকে। ভূমি কেনা-বেচা, মালিকানা অর্জন, আদালতের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভূমি রেকর্ডের বিষয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিটি নাগরিকের ভূমিসংক্রান্ত অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাই এ বিষয়ে প্রত্যেকেরই প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা জরুরী।
পাঠ্যপুস্তকে ভূমি আইন ও নিয়মকানুন অন্তর্ভুক্ত হলে বাংলাদেশে বিদ্যমান ও কার্যকরী আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ভূমি বিষয়ক হয়রানি থেকে দেশবাসীও রক্ষা পাবে।
দেশের সব মানুষই ভূমির উপর কম-বেশি নির্ভরশীল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জটিল। সম্পদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ, সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে ভূমি ব্যবহার নীতিমালার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। ভূমি রেজিস্ট্রেশন, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত গ্রহণযোগ্য রেকর্ড প্রণয়নে নিয়োজিত বিভাগসমূহের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জনমনে পর্যাপ্ত ধারণার অভাব রয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে দিনে দিনে জটিল করে তুলছে। অথচ ভূমির সঙ্গে দেশের অধিকাংশ মানুষ সম্পৃক্ত। আর এ সম্পর্কে প্রায় একশ’ ৪০টি আইন আছে। কিন্তু মানুষকে এগুলো সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে কোনো প্রয়াস দেখা যায় না।
সারাদেশে সব মিলিয়ে ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি পাবলিক ও ৮৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিদ্যাপীঠে কলা অনুষদ, সমাজ-বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায়িক অনুষদ, আইন অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদসহ অনেক অনুষদ রয়েছে। তবে ভূমির অপরিহার্যতা থাকলেও স্বাধীনতাপরবর্তী এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছে এমন ব্যক্তিও খাজনা খারিজ, মিউটেশন, নামজারি ও জমি-জমা ভাগের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বেড়ায়। অথচ বাস্তবে এ চারটি বিষয়ের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই। একই বিষয় ঘুরিয়ে ভিন্ন নামে বলা হয়। তাই অনেক সময় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা একই বিষয়ে কাজ করে দেয়ার নামে তিন-চার দফায় উৎকোচও নিয়ে থাকে। কারো নামে জমি রেকর্ড থাকলে তার আর নামজারি করার প্রয়োজন নেই। অথচ অনেকে রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও নামজারি করতে আসে। শুধু সাধারন বিষয় না জানার কারণে অহেতুক হয়রানি হয়ে থাকে। বহু উচ্চ শিক্ষিত লোকজন মৌজা, দাগ-খতিয়ান, মাঠ পর্চার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানে না। বলতে পারে না ভূমি জরিপ কিভাবে হয় এবং কখন কোন্ পর্যায়ে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ৩০ ধারা, ৩১ ধারায় কী হয়, কোন্ পর্যায়ে কোথায় আপিল করতে হয় প্রভৃতি। বহু ফৌজদারি মামলার পেছনে ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ জড়িত। এছাড়া জমাজমির মামলাও বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে। তাই ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষাজীবনে এ বিষয়ে প্রয়োজন জ্ঞান আহরণ করা জরুরি।
জমি নিয়ে লাখো লাখো মামলার এদেশে ভূমির গুরুত্ব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিটি নাগরিকের ভূমি বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরী। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ভূমি সংক্রান্ত মৌলিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনসচেতনতা বাড়বে। পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও মামলা-মোকদ্দমাও কমে যাবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)