ভূমি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন জানেনা দেশের সিংহভাগ মানুষ পাঠ্যপুস্তকে ভূমি বিষয়ক আইন ও নিয়মকানুন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
, ০৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৯ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
প্রত্যেক নাগরিকের নিজের স্বার্থেই ভূমিসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আইন-কানুন ও নিয়মাবলী সবার জানা জরুরী। এমন বাস্তবতা থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আজো এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অথচ আমাদের যত সমস্যা তার বেশির ভাগই জমি নিয়ে। কোর্টে যত মামলা তার ৬০ ভাগই জমিজমা নিয়ে।
অনেকে লেখাপড়া শেষ করেছে। কিন্তু দেখা যায়, সে জমি সম্পর্কে কিছুই বলতে পারে না। তাই আমরা মনে করি, প্রত্যেক মানুষেরই ভূমিসংক্রান্ত আইন-কানুন সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান থাকা দরকার।
প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনায় ভূমির বিষয়টি অত্যাবশকীয় বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি নাগরিক জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ভূমির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকে। ভূমি কেনা-বেচা, মালিকানা অর্জন, আদালতের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভূমি রেকর্ডের বিষয়ে প্রতিনিয়ত প্রতিটি নাগরিকের ভূমিসংক্রান্ত অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। তাই এ বিষয়ে প্রত্যেকেরই প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকা জরুরী।
পাঠ্যপুস্তকে ভূমি আইন ও নিয়মকানুন অন্তর্ভুক্ত হলে বাংলাদেশে বিদ্যমান ও কার্যকরী আইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে সচেতন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ভূমি বিষয়ক হয়রানি থেকে দেশবাসীও রক্ষা পাবে।
দেশের সব মানুষই ভূমির উপর কম-বেশি নির্ভরশীল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জটিল। সম্পদের উপর ক্রমবর্ধমান চাপ, সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে ভূমি ব্যবহার নীতিমালার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। ভূমি রেজিস্ট্রেশন, সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনা এবং এ সম্পর্কিত গ্রহণযোগ্য রেকর্ড প্রণয়নে নিয়োজিত বিভাগসমূহের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জনমনে পর্যাপ্ত ধারণার অভাব রয়েছে। ভূমি সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তা ইত্যাদি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে দিনে দিনে জটিল করে তুলছে। অথচ ভূমির সঙ্গে দেশের অধিকাংশ মানুষ সম্পৃক্ত। আর এ সম্পর্কে প্রায় একশ’ ৪০টি আইন আছে। কিন্তু মানুষকে এগুলো সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে কোনো প্রয়াস দেখা যায় না।
সারাদেশে সব মিলিয়ে ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি পাবলিক ও ৮৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিদ্যাপীঠে কলা অনুষদ, সমাজ-বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায়িক অনুষদ, আইন অনুষদ ও বিজ্ঞান অনুষদসহ অনেক অনুষদ রয়েছে। তবে ভূমির অপরিহার্যতা থাকলেও স্বাধীনতাপরবর্তী এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করছে এমন ব্যক্তিও খাজনা খারিজ, মিউটেশন, নামজারি ও জমি-জমাভাগের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বেড়ায়। অথচ বাস্তবে এ চারটি বিষয়ের মধ্যে কোনো ভিন্নতা নেই। একই বিষয় ঘুরিয়ে ভিন্ন নামে বলা হয়। তাই অনেক সময় ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা একই বিষয়ে কাজ করে দেয়ার নামে তিন-চার দফায় উৎকোচও নিয়ে থাকে। কারো নামে জমি রেকর্ড থাকলে তার আর নামজারি করার প্রয়োজন নেই। অথচ অনেকে রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও নামজারি করতে আসে। শুধু সাধারন বিষয় না জানার কারণে অহেতুক হয়রানি হয়ে থাকে। বহু উচ্চ শিক্ষিত লোকজন মৌজা, দাগ-খতিয়ান, মাঠ পর্চার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানে না। বলতে পারে না ভূমি জরিপ কিভাবে হয় এবং কখন কোন্ পর্যায়ে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। ৩০ ধারা, ৩১ ধারায় কী হয়, কোন্ পর্যায়ে কোথায় আপিল করতে হয় প্রভৃতি। বহু ফৌজদারি মামলার পেছনে ভূমিসংক্রান্ত বিরোধ জড়িত। এছাড়া জমাজমির মামলাও বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে। তাই ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে প্রতিটি নাগরিকের শিক্ষাজীবনে এ বিষয়ে প্রয়োজন জ্ঞান আহরণ করা জরুরি।
জমি নিয়ে লাখো লাখো মামলার এদেশে ভূমির গুরুত্ব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রতিটি নাগরিকের ভূমি বিষয়ক মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরী। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ভূমি সংক্রান্ত মৌলিক জ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করা হলে জনসচেতনতা বাড়বে। পাশাপাশি ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা ও মামলা-মোকদ্দমাও কমে যাবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খোলা চিঠি ও উদাত্ত আহ্বান “পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ” “পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” উনার শামসী তারিখ- ১৯ রবি’ আর খৃঃ তারিখ- ১৬ সেপ্টেম্বর; রোজ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খোলা চিঠি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান এ বছরের জন্য “পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ” “পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” উনার শামসী তারিখ- ১৯ রবি’ আর খৃঃ তারিখ- ১৬ সেপ্টেম্বর; রোজ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ” “পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খোলা চিঠি ও উদাত্ত আহ্বান: আসন্ন “পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ” “পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” সর্বশ্রেষ্ঠ এ মুবারক দিনটি সর্বোত্তমভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ তৎপর এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথা বিশেষ ছাড়সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রসঙ্গে
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খোলা চিঠি ও উদাত্ত আহ্বান “পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ”, “পবিত্র সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ” “পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” উনার শামসী তারিখ- ১৯ রবি’ আর খৃঃ তারিখ- ১৬ সেপ্টেম্বর; রোজ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খোলা চিঠি ও উদাত্ত আহ্বান: ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’, ‘সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম’, ‘সাইয়্যিদে ঈদে আকবর’ ‘পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। বৎসরের সর্বশ্রেষ্ঠ এ মুবারক দিনটি সর্বোত্তমভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ তৎপর এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য বিশ্বের সকল মুসলমানসহ এ দেশের ৩০ কোটি মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ব্যাপক বাজেট বরাদ্দ দিয়ে, অনেক বেশী জাঁকজমক এবং শান শওকত সহকারে যথাযথভাবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ বা পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে সরকারকে স্বতঃস্ফূর্ত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
স্বাধীনতার ৫৪ বছরে দেশের কতটুকু অগ্রগতি ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রচারণার বিপরীতে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে কতটি নদী আছে, তাই ঠিক হয়নি এমনকি নদীর সংজ্ঞাও নিরূপণ হয়নি এটা চরম লজ্জার, পরম আত্মশ্লাঘার
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন ‘ভারতে ইলিশ যাবে না এবং ভারতের গোশত বাংলাদেশে আসবে না’। কিন্তু মৎস্য উপদেষ্টা আশঙ্কা করেছেন আমদানী সিন্ডিকেট বসে থাকবে না এক্ষেত্রে জনগণকে সচেতন এবং সক্রিয় হতে হবে
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সম্পর্কের নূতন সূচনা বাংলাদেশ নিয়ে নতুন পরিকল্পনা পাকিস্তানের, প্রস্তুত রোডম্যাপও ভিসা ফি ছাড়াই পাকিস্তান যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
গণমাধ্যমে ভারতের কুখ্যাত হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদীর বরাতে এসেছে “১৪০ কোটি ভারতীয় বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন” অথচ ভারতে অব্যাহতভাবে চলছে মুসলিম নির্যাতনের ভয়ঙ্কর আর পৈশাচিক সব কাহিনী প্রধান উপদেষ্টা “বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কোনো নির্যাতন হবেনা” পরিপূর্ণ আশ্বাস ও আস্থা দিয়েছে
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)