ব্রাজিল থেকে আমদানি করা জিএমও খাবার সম্পর্কে আমরা কতটা জানি?
, ০৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
সম্প্রতি চট্টগ্রামের কর্ণফুলিতে সুগার মিলে আগুন ধরার পর খবরে জানা গেছে, যে চিনিগুলো পুড়ে গেছে সেগুলো ব্রাজিল থেকে আমদানি করা চিনি। এস আলম গ্রুপ ব্রাজিল থেকে লক্ষ লক্ষ মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেছিলো। পরবর্তীকালে সে অপরিশোষিত চিনিগুলো পরিশোধন করে সাদা চিনি হিসেবে বাজারে ছাড়া হতো।
ব্রাজিল থেকে অনেক দেশই চিনি আমদানি করে এর একটা বড় কারণ ব্রাজিলের চিনি সস্তা। তবে ব্রাজিলে চিনি সস্তা হওয়ার একটা বড় কারণ জিএমও ফুড, যা স্বল্পদামে অনেক বেশি উতপাদন করা সম্ভব।
জিএমও ফুড খেলে সমস্যা কি?
জিএমও ফুড কতটুকু নিরাপদ সে সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর এর এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “জিএমও খাদ্য জেনেটিক্যালি ইঞ্জিনির্য়াড হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। জিএমও খাদ্য ভক্ষণে মানবদেহে নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা যায়, জিএমও খাদ্য গ্রহণে মানবদেহে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়। অনেক ক্ষেত্রে জিএমও খাদ্য উৎপাদনে প্রাণীর জিনে উপস্থিত বিশেষ বৈশিষ্ট্য উদ্ভিদে স্থানান্তর করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত শস্য কর্তৃক পলিনেশনের মাধ্যমে অন্য অর্গানিজমকে ধ্বংস করার আশঙ্কা থেকে যায়। এর ফলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। গবেষণায় দেখা যায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উৎপাদিত খাদ্যের মাধ্যমে ‘এলারজেনেসিটি’ দেখা দেয়ার আশঙ্কা বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, কিছু মানুষের বাদামের প্রতি এলার্জি রয়েছে, যদি বাদাম থেকে জিন সয়াবিনে স্থানান্তরিত হয়, তাহলে ওই সয়াবিন ভোজ্যতেল হিসেবে গ্রহণে মানুষের শরীরে এলার্জি স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। (তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর ১৬ নভেম্বর ২০২০। শিরোনাম- জিএমও খাদ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?)
আমেরিকাসহ আরো কিছু দেশে খাবারের প্যাকেটে জিএমও-নন জিএমও লেখা থাকে। বাংলাদেশেও সাদা চিনি, সয়াবিনসহ বেশ কিছু জিএমও খাবার বিদ্যামন, কিন্তু তার কোনটাতেই জিএমও উল্লেখ নাই। এটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য অনেক ভয়ংকর বিষয়!
-সায়েম আহমদ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)