বিশ্বের বহু দেশের সবকিছু ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতায় অথচ বাংলাদেশ এখনও ছবিযুক্ত ত্রুটিপূর্ণ হারাম পদ্ধতির শিকার
, ১২ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ২৯ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত

সুষ্ঠু পরিকল্পনা কাজের অর্ধেক। আমাদের শাসক শ্রেণীর এ বিষয়গুলো জানা থাকলেও তারা বাস্তবে প্রয়োগের চেয়ে বক্তৃতায় বুলি আওড়াতে বেশি পছন্দ করে। কথিত উন্নত বিশ্বে যখন কোনো নগর উন্নয়নের কথা ভাবা হয়, তখন মাটির নিচে পয়ঃপ্রণালী, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, টেলিফোন এ রকম সমস্ত ব্যবস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহলের সঙ্গে যোগসাজশে একটি মূল পরিকল্পনা করা হয় এবং সে অনুযায়ী কাজ হতে থাকে। রাজধানী ঢাকার দিকে ভালোভাবে তাকালেই অপরিকল্পিত অনেক কাজের নমুনা আমাদের চোখে পড়ে।
বর্তমানে চলতে থাকা আইডি বানানোর কার্যক্রম সরকারের অপরিকল্পিত এবং অদূরদর্শী নীতিসমূহের একটি বড় উদাহরণ। ছবি তুলে আইডি বানানোর কার্যক্রমে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। পাশাপাশি চলছে জন্মনিবন্ধনের কাজ। এ খাতেও সরকারকে খরচ বহন করতে হচ্ছে।
দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার মধ্যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির মাধ্যমে সবার জন্য সোশাল সিকিউরিটি নম্বরের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছিলো কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ভাববার সময় সরকারের হয়নি; অথচ প্রস্তাবনাটি ছিলো সম্পূর্ণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত এবং এদেশের মুসলমানদের জন্য উপযোগী একটি ব্যবস্থা। সম্মানিত ইসলামী শরীয়তসম্মত পদ্ধতির দিকে মনোনিবেশ না করে সরকার ছবি তোলার মতো হারাম কাজকে বাধ্যতামূলক করে দেশ জুড়ে মুসলমানদের গুনাহর কাজে লিপ্ত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, আর্জেন্টিনা, জার্মানি, ইসরাইল এরূপ আরও তথাকথিত উন্নত দেশের সকল নাগরিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতাভুক্ত। অর্থাৎ সরকারের ডাটাবেইজে সকল নাগরিকের ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষিত আছে। যখন কোনো নাগরিকের কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় অর্থাৎ চাকরির ক্ষেত্রে, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট বা অন্যান্য ক্ষেত্রে আরো কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয় তখন বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে সরকারের বেগ পেতে হয় না। বাংলাদেশে যে পরিমাণ টাকা আইডি বানাতে খরচ করা হয়েছে সে পরিমাণ টাকা দিয়ে সকল নাগরিককে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির আওতাভুক্ত করা যেতো। ছবির মতো হারাম একটি বিষয় দিয়ে আইডি কার্ড রচিত হবার পরে সরকারিভাবে সকল নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষিত নেই।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতির মতো একটি জায়িয পদ্ধতি দিয়ে দেশের নাগরিকদের জন্য যেখানে একটি জাতীয় আইডি’র ব্যবস্থা করা যেতো, সেখানে তা না করে ছবির মতো হারাম একটি বিষয় দিয়ে আইডি বানানোর কর্মসূচিতে সরকারের দূরদর্শিতার যথেষ্ট অভাব প্রকাশ পায়। এদেশের সকল নাগরিকের উচিত ছবির মতো হারাম একটি বিষয় জাতির উপর চাপিয়ে দেবার কারণে যথেষ্ট শক্ত প্রতিবাদ করা। আর এ প্রতিবাদ কোনো রাজনৈতিক আন্দোলনের জন্য নয়, বরং পবিত্র ইসলামী শরীয়ত পালনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের জন্য।
-আল হিলাল।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বৈশাখী অপসংস্কৃতি লালন-পালনের নেপথ্যের কুশীলবরা কেউ হিন্দুত্ববাদী, কেউ ইসলামবিদ্বেষী
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন করাকে ‘জায়েজ’ বলার চেষ্টা করাও কুফরী
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ ১লা বৈশাখ: ‘বটতলার সংস্কৃতি’র অবৈধ অনুপ্রবেশ
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পহেলা বৈশাখ নামক অপসংস্কৃতির পক্ষে অযৌক্তিক দাবির খন্ডন
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দ্বীন ইসলাম পালন করতে মুসলমান লজ্জা পায়; অথচ বিধর্মীগুলো নেংটি পরতেও লজ্জা পায় না!
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সমাজে মুখ রক্ষা করতে গিয়ে পিতা-পুত্রের করুণ পরিণতি!
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ক্ষমতা চাই! ক্ষমতা চাই!! কিন্তু ক্ষমতার বড়াই কতদিন?
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
গায়েবী মদদ আসার রাস্তা কি বন্ধ করে রেখেছে মুসলমানরাই?
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)