পাঠক মন্তব্য
বিধর্মীদের কুকীর্তিগুলো লিখিত রূপ দেয়নি কোনো লেখক, ফলে তাদের অপকীর্তিগুলো মুসলমানদের জানার আড়ালেই থেকে যাচ্ছে
, ০৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৯ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
ব্রিটিশ আমলে যখন বাঙালি হিন্দুরা ইংরেজদের সহায়তায় সাহিত্যক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন থেকেই তারা শুরু করে মুসলমানদের চরিত্রে অপবাদ দিয়ে অশ্লীল সাহিত্য ও নাটক রচনা। বুযূর্গ বাদশাহ হযরত আলমগীর রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে শুরু করে উনার কন্যা ও বোনদের নিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র তার ‘রাজসিংহ’ উপন্যাসে ব্যভিচারের গল্প ফাঁদে, কলকাতার নাট্যমঞ্চগুলোতে মুসলমান রাজা বাদশাহগণ উনাদের নিয়ে কুৎসিত কাহিনীযুক্ত নাটক মঞ্চায়িত হতে থাকে।
কিন্তু সেসব নাটকের কুশীলব কারা ছিল? প্রাবন্ধিক নীরদ সি চৌধুরী তার গ্রন্থ ‘আত্মঘাতী বাঙালী’-তে সেসময়ের মঞ্চনাটক প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছিল- “সেজন্য আমি সারা জীবনেও দেশে কোনো থিয়েটার দেখি নাই। আমার বাল্যকালে অভিনেত্রীরা বেশ্যা বলিয়া থিয়েটারের প্রতি ব্রাহ্মপন্থীদের ঘোর আপত্তি ছিল। ”
‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাসের লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিল কলকাতায় নীরদ সি চৌধুরীর মেসমেট। একদিন নীরদকে বিভূতিভূষণ তাদের এক কলেজবন্ধুর প্রসঙ্গে বললো, যে কিনা তার শ্বাশুড়ীকে নিয়ে পালিয়ে কলকাতায় তাদেরই মেসের কাছে এসে বসবাস করছে। ‘আত্মঘাতী বাঙালী’ গ্রন্থের ১২১তম পৃষ্ঠাতে লেখকের ভাষায়Ñ “ইহার কিছুদিন পর আসিয়া খবর দিলো, ‘ওহে শ্বাশুড়ীকে নিয়ে এসে তার সঙ্গে অমুক স্ট্রীটে আছে। (আমাদের মেসের কাছেই একটা গলির নাম করিলো। চলো না, দেখে আসবে। জবর শ্বাশুড়ী। বেশ সুখে আছে দু’জনে। ” নাউযুবিল্লাহ!
বিভূতিভূষণের বন্ধুর ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল, তা যে হিন্দুসমাজে ব্যাপক প্রচলিত ছিলো তার প্রমাণ নীরদ সি চৌধুরীর আরেকটি গ্রন্থ ‘বাঙালী জীবনে রমণী’-তে পাওয়া যায়। উক্ত গ্রন্থের ৬৭তম পৃষ্ঠাতে রয়েছে- “সেকালে বাঙালী বিধর্মীদের মধ্যে ‘শ্বাশুড়ে’ এবং ‘বৌও’ বলিয়া দুটি গালি শোনা যাইত, উহার প্রথমটির অর্থ শ্বাশুড়ীরত, ও দ্বিতীয়টির অর্থ পুত্রবধূরত। শ্বশুর-পুত্রবধূর ব্যাপার সম্ভবত খুব কমই দেখা যাইত, কিন্তু শ্বাশুড়ী-জামাইঘটিত ব্যাপার বিরল ছিল না। ” নাউযুবিল্লাহ!
হিন্দুচরিত্রের কুৎসিত দিক প্রসঙ্গে সচেতন মুসলিম পাঠকগণকে নতুন করে কিছু শেখানোর নেই। নীরদ সি চৌধুরী বিধর্মীদের নিয়ে যা বলেছে, তা বহু আগে থেকেই সমাজের দশটা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। কিন্তু এই চরিত্রহীন হিন্দুরাই যখন তাদের নাটক-নভেলে সচ্চরিত্র মুসলিম নারীদের নিয়ে মানহানিকর কল্প-কাহিনীর চর্চা করে, তখন তাদের বিরুদ্ধে মুসলমানরা ‘টু’ শব্দটিও করে না। বর্তমানে এমন একজন মুসলমান লেখককেও খুঁজে পাওয়া যায় না, যে কিনা হিন্দু চরিত্রের কদর্যতা ফুটিয়ে তুলে দুশ্চরিত্র বিধর্মীদের ঘেউ ঘেউ বন্ধ করতে ভূমিকা রাখবে।
বাঙালি গাফেল মুসলমানের চামড়া যেন গ-ারের চামড়ার চেয়েও পুরু। নীরদ সি চৌধুরীর মতো কট্টর হিন্দুত্ববাদী লেখক, যে কিনা বাবরি মসজিদ ভাঙাকে সমর্থন করেছিল- সেও তো এগুলো (বিধর্মীদের কদর্যতা) নিয়ে লিখতে দ্বিধা করেনি!
যেখানে হিন্দুরা নিজেদেরকে নিকৃষ্ট বলে স্বীকার করে নিচ্ছে, সেখানে মুসলমানরা কেন তাদের দোষগুলো চেপে যায়? কেন স্বাধীন দেশ থাকার পরও বাঙালি মুসলমানরা বিধর্মীদের ধৃষ্টতা সহ্য করছে? কেন তারা বিধর্মীদের তোয়াজ করতে গিয়ে নিজে অপমানিত হচ্ছে? কেন তারা মজলুম হচ্ছে? পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “তোমরা যালিম হয়ো না, মযলুমও হয়ো না। ”
-মুহম্মদ আদনান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)