বিজাতীয় সংস্কৃতি থেকে বাঁচতে ইসলামী দিবস পালনের গুরুত্ব (১)
, ০২ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
মুসলিম তরুণরা বিজাতীয় সংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে যাওয়ার জন্য শুধু অপরকে দায়ী করলে চলবে না,
বরং ইসলামী সংস্কৃতির সংকট এখানে অনেকাংশে দায়ী। আমরা শুধু বলে গেছি, ইসলামে সব আছে, ইসলামে সব আছে। ইসলাম ইজ দ্য কমপ্লিট কোড অব লাইফ। কিন্তু সেই ‘সব’টা কি তা দেখায় দিতে পারে নাই। এই ব্যর্থতাই আমাদের তরুণ সমাজ ঠেলে দিয়েছে বিজাতীয় সংস্কৃতির দিকে।
ইতিহাস বলে, স্বর্ণযুগে মুসলমানদের সংস্কৃতির ভরপুর অবস্থা ছিলো। তখন মুসলমানদের সংস্কৃতিকে অন্য জাতির মধ্যে প্রবাহিত হতো। কিন্তু এখন মুসলিম সংস্কৃতি মুসলমাদের মাঝেই প্রবাহিত হয় না। মুসলমানের সন্তান জানে না, মুসলমানদের সংস্কৃতি কি? এর একটা বড় কারণ মুসলমান নিজেদের বিভিন্ন ঐতিহাসিক দিবস পালন করে না। কারণ সংস্কৃতি কালে কালে প্রবাহিত হয় একটা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে, ঐতিহাসিক দিবসসমূহ পালন হচ্ছে সেই উপলক্ষ। একটা উপলক্ষ তৈরী করে নিজেদের সংস্কৃতি প্রবাহের সেই সুযোগটা নিচ্ছে অন্য ধর্ম বা গোষ্ঠীগুলো। তাদের হাজার বছরের পুরাতন দিবসগুলোকে ফিরিয়ে এনে নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন করে উপস্থাপন করছে। ফলে সেই দিবসে ঝাপ দিচ্ছে নতুন প্রজন্ম। উদাহরণস্বরূপ খ্রিস্টানরা তাদের হাজার বছরের পুরাতন ভূত-প্রেত-পেতিœর কুসংস্কারাচ্ছন্ন হ্যালোইন সংস্কৃতি নতুন রূপে নিয়ে এসেছে, আর তা দেখে খ্রিস্টানরা তো বটেই নামধারী মুসলমানদের তরুণ সমাজও লাফ দিয়ে পড়েছে।
মুসলমানদের মধ্যে উপলক্ষ তৈরীর বিষয়টি আটকে দিয়েছে এক শ্রেণীর নামধারী আলেম। তারা জ্ঞানের দৈন্যতার দরুণ ফতওয়া দিয়েছে দিবস পালন হারাম-বিদআত-শিরক। তাদের আজগুবি ফতওয়ার কারণে কোন উপলক্ষ তৈরী হয়নি, ফলে মুসলিম স্বর্ণযুগের মূল্যবান সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ বর্তমানে তরুণ প্রজন্মে প্রবাহিত হতে পারে নাই। সৃষ্টি হয়েছে শূণ্যতা, আর সেখানেই দখল করে নিচ্ছে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ।
অথচ মহান আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, “আর আমি মূসা (আলাইহিস সালাম) কে আমার আয়াতসমূহ দিয়ে পাঠিয়েছি যে, ‘আপনি আপনার কওমকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে বের করে আনুন এবং আল্লাহর দিবসসমূহ (ইসলামীক ঐতিহাসিক ঘটনার দিনসমূহ) তাদের স্মরণ করিয়ে দিন’। নিশ্চয় এতে প্রতিটি ধৈর্যশীল, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য রয়েছে অসংখ্য নিদর্শন। ” ( পবিত্র সূরা ইব্রাহিম: ০৪)
অর্থাৎ ঐতিহাসিক দিনসমূহ স্মরণ করিয়ে দেয়ার কথা পবিত্র কুরআন পাকেই আছে। কারণ প্রতিটা ঐতিহাসিক দিনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ শিক্ষা। যে দিনটা পালন করলে পূর্ববর্তীদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নতুন প্রজন্মের মধ্যে প্রবাহিত হয়। মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরপুর হওয়ার জন্য এটা অনেক জরুরী ছিলো। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
-আহমদ রেফায়ী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিধর্মীদের সাদৃশ্যপূর্ণ আমল কবুলযোগ্য নয়
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ পুনঃস্থাপন করতে হবে
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিমদের ঈমানী দুর্বলতা ও হীনম্মন্যতার কুফল
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ উনার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যেই কাফির গোষ্ঠীদের দ্বারা সন্ত্রাসবাদীদের উত্থান
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উলামায়ে ছূ বা দুনিয়াদার মৌলভীরা কিয়ামতের পূর্বে মূর্তিপূজারী হবে, যা কিয়ামতের আলামত; যে সকল উলামায়ে ছূ পূজায় পাহারা দিচ্ছে তারা কাফির হয়ে গেছে
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পাবর্ত চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র রোধে জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ধর্মব্যবসায়ীদের মন্দির পাহারা দেয়া সম্পর্কে দ্বীন ইসলাম কি বলে?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বাংলাদেশে পূজা পালন করা নিয়ে আমার কিছু কথা
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কথিত তন্ত্র মন্ত্র ব্যর্থ, মুক্তির পথ দ্বীন ইসলাম তথা খিলাফত
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কথিত তন্ত্র মন্ত্র ব্যর্থ, মুক্তির পথ দ্বীন ইসলাম তথা খিলাফত
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শিল্প কারখানায় উচ্চ পদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করতে হবে
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শিল্প কারখানায় উচ্চ পদ থেকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করতে হবে
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)