আপনাদের মতামত
বিজাতীয়দের দেশগুলোর ‘সন্ত্রাসীপনার’ একটি পরিসংখ্যান
, ২৮ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত

অমুসলিম-বিধর্মীরা খুব ভাব ধরে, দাবি করে- তারা খুব নিরীহ, কখনোই কারো কোনো ক্ষতি করেনি। মুসলমানরা নাকি সন্ত্রাসী। নাউযুবিল্লাহ!
অথচ ইতিহাস কিন্তু বলে ভিন্ন কথা। ইতিহাস বলে, নাস্তিকরা যখনই কোনো দেশের ক্ষমতায় গেছে, কিংবা আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে, তারা তখন হয়ে উঠেছে হিংস্র, নৃশংসভাবে হত্যা করেছে অজস্র মানুষকে। আসুন বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট তথা নাস্তিক্যবাদীদের হত্যাযজ্ঞের একটু হিসেব দেখে নেই-
১) চীনে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ হত্যা।
২) সোভিয়েত রাশিয়ায় ২ কোটি মানুষ হত্যা।
৩) কম্বোডিয়ায় ২০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৪) উত্তর কোরিয়ায় ২০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৭ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৬) আফগানিস্তানে ১৫ লক্ষ মুসলিম হত্যা।
৭) পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ১০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৮) ভিয়েতনামে ১০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৯) লেটিন আমেরিকার দেশগুলোতে দেড় লক্ষ মানুষ হত্যা। (সূত্র: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত বই ইষধপশ ইড়ড়শ ড়ভ ঈড়সসঁহরংস)
সোভিয়েত রাশিয়ায় লেলিন-স্টেলিনের যুগে চালানো নির্যাতন ও প্রাণহানীর চিত্রটা একটু দেখুন-
ক) ১৯১৮-১৯২২ সালের মাঝামাঝি ‘বিপ্লব’ পরবর্তী সময়ে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক হত্যা।
খ) কৃষকদের উপর লেলিনের অত্যাচার ও কৃষি ব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক দর্শন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে ১৯২১ সালে ৫০ লক্ষ লোকের প্রাণহানী।
গ) ১৯২০ সালে ডন কোসাকদের হত্যা ও নির্বাসন।
ঘ) কারাগারগুলোতে ১৯১৮-১৯৩০ সালের মাঝামাঝি হাজার হাজার বন্দিকে হত্যা।
ঙ) ‘৩০ দশকের শেষ দিকে সমাজতন্ত্র বিরোধী প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার লোকের গণহত্যা। (১৯৮৮ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের বাইরে প্রায় ৩০ হাজার লোকের একটি গণকবর আবিষ্কৃত হয়। জায়গাটিতে ১৯৩৭-১৯৪১ সালে একটি সোভিয়েত রাজনৈতিক বন্দিশিবির ছিল। )
চ) ১৯৩০-১৯৩২ সালের মাঝামাঝি ২০-৩০ লক্ষ তথাকথিত ‘কুলাকদের’ নির্বাসন।
ছ) ১৯৩২ এবং ১৯৩৩ এর দুর্ভিক্ষে ৪০ লক্ষ ইউক্রেনিয়ানসহ ৬০ লক্ষ লোকের মৃত্যু।
ঞ) ১৯৩৯-১৯৪১ এবং ১৯৪৪-১৯৪৫ সালে ২ লক্ষ ইউক্রেনিয়ান, ২ লক্ষ ১০ হাজার পোলিশ এবং বাল্টিক সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী ২ লক্ষ লোকের নির্বাসন।
ট) ১৯৪৩ সালে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ক্রিমিয়ান মুসলিম তাতারদের নির্বাসন। এদের মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার তাতার নির্বাসনের প্রথম ২ বছরেই মারা যায়।
ঠ) ১৯৪৪ সালে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার চেচেন মুসলমানদের নির্বাসন।
ড) ১৯৪৪ সালে ৯১ হাজার ইংগুশ মুসলমানদের নির্বাসন। (সূত্র: হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত বই ইষধপশ ইড়ড়শ ড়ভ ঈড়সসঁহরংস)
উপরের ইতিহাসই প্রমাণ করে বিজাতীয়রা সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী। তাই তাদের নামের পূর্বেই ‘সন্ত্রাসী’ বিশেষণ লাগানো দরকার।
-মুহম্মদ আব্দুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বৈশাখী অপসংস্কৃতি লালন-পালনের নেপথ্যের কুশীলবরা কেউ হিন্দুত্ববাদী, কেউ ইসলামবিদ্বেষী
১৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ পালন করাকে ‘জায়েজ’ বলার চেষ্টা করাও কুফরী
১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ ১লা বৈশাখ: ‘বটতলার সংস্কৃতি’র অবৈধ অনুপ্রবেশ
১২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পহেলা বৈশাখ নামক অপসংস্কৃতির পক্ষে অযৌক্তিক দাবির খন্ডন
১১ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিটি আমেরিকান, ইসরায়েলি এবং ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দ্বীন ইসলাম পালন করতে মুসলমান লজ্জা পায়; অথচ বিধর্মীগুলো নেংটি পরতেও লজ্জা পায় না!
১০ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সমাজে মুখ রক্ষা করতে গিয়ে পিতা-পুত্রের করুণ পরিণতি!
০৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ক্ষমতা চাই! ক্ষমতা চাই!! কিন্তু ক্ষমতার বড়াই কতদিন?
০৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
গায়েবী মদদ আসার রাস্তা কি বন্ধ করে রেখেছে মুসলমানরাই?
০৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)