বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান:
বিখ্যাত মহাকাশ ও জ্যোতিষ বিজ্ঞানী আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবনে ইয়াহইয়া আন নাক্কাশ আয যারকালী
, ০৩ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) বিজ্ঞান মুসলমান উনাদেরই অবদান
![বিখ্যাত মহাকাশ ও জ্যোতিষ বিজ্ঞানী আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবনে ইয়াহইয়া আন নাক্কাশ আয যারকালী](https://www.al-ihsan.net/uploads/1720564579_Picture1.png)
বিখ্যাত মহাকাশ ও জ্যোতিষ বিজ্ঞানী আবু ইসহাক ইবরাহীম ইবনে ইয়াহইয়া আন নাক্কাশ আয যারকালী উনার তৈরিকৃত মহাকাশ পর্যবেক্ষণ যন্ত্র গুলো হচ্ছে-
১) আরমিলারি গোলক। যার উপর উনি একটি ব্যবহার নির্দেশিকাও তৈরি করেছিলেন। এর মূল কপি এখন হারিয়ে গেছে তবে এর একটি আলফোসাইন-কস্তুলিয়ান অনুবাদ কপি বিদ্যমান আছে।
২) ইকোটোরিয়াম। এর উপর তিনি দুইটি ব্যবহার বিধি লিখেছিলেন।
৩) নরনক্ষম সূচকসহ সাইন কোয়াড্রেন্ট।
৪) ছফিহা আস্তারলাব (আছ ছফিহাতুল মুশতারাকা লিজামিয়িল উরুদ)।
এই ছফিহার দুইটি প্রকার তিনি তৈরি করেছিলেন। একটি ছফিহা যারকালিয়্যা। এর উপর তিনি ১০০ অধ্যায় বিশিষ্ট একটি ব্যবহার নির্দেশিকা লিখেছিলেন। আরেকটি হচ্ছে ছফিহা শাক্কাজিয়্যা। এর উপর তিনি ৬০ অধ্যায় বিশিষ্ট ব্যবহার নির্দেশিকা লিখেছিলেন। উনার এই বিশেষ ধরণের আস্তারলবে স্টেরিওগ্রাফিক ইকুইটোরিয়াল প্রজেকশনের পরিবর্তে স্টেরিওগ্রাফিক মেরিডিয়ান প্রজেকশন ব্যবহৃত হয়েছে। তাই এতে প্রতি মহাকাশীয় অর্ধাংশে দুইটি প্রজেকশন পাওয়া গিয়েছে। তবে দুইটি প্রকারের মধ্যে কিছু পার্থক্য ছিল।
যারকালিয়্যার একদিকে আছে ইকুইটোরিয়াল এবং ইলিপটিক্যাল স্থানাংক ব্যবস্থার দুইটি গ্রীড, একটি দিগন্ত নির্দেশক আনুভুমিক রুলার এবং অন্যদিকে মেরিডিয়ান প্রজেকশন, ত্রিকোনমিতিক কোয়াড্রেন্ট এবং এটি চাঁদ নির্দেশক ছোট বৃত্ত। আর শাক্কাজিয়্যার একদিকে আছে একটি ইকুইটোরিয়াল গ্রীড; এখানে ইলিপটিক্যাল গ্রীড না রেখে একটি ইলিপটিক্যাল লাইন রাখা আছে যাতে এর স্থানাংক বের করা যায় এবং এর পিছনের দিক অন্যান্য সাধারণ আস্তারলবের মত। যারকালিয়্যার মূল আরবীয় ব্যবহার নির্দেশিকা এখন আর পাওয়া যায় না তবে এর একটি আলফোসাইন অনুবাদ পাওয়া যায়। আর শাক্কাজিয়্যার অনেকগুলো ল্যাটিন ও হিব্রু অনুবাদ পাওয়া যায়।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আবু মুহম্মদ জাবির ইবনে আফলাহ আল ইশবিলি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুসলিম বিশ্বের জন্য একটি আদর্শ সৌর ক্যালেন্ডার অত্যন্ত জরুরী। উম্মাহর এই ঘাটতি পুরণের উদ্দেশ্যেই আত-তাক্বউইমুশ শামসী তৈরি করা হয়েছে। মুসলিম বিশ্বের উচিত- বিধর্মীদের অনুসরন বাদ দিয়ে আত-তাক্বউইমুশ শামসী অনুসরন-অনুকরন করা।
২৭ আগস্ট, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসলামী মাস নির্ধারণে সউদী ওহাবী ইহুদী চক্রান্তের মুখোশ উন্মোচন (পর্ব-৫)
১৯ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুসলিম নৌশক্তির সূচনার উপাখ্যান
২৪ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত খ্বলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎকার মুবারক
১৪ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)