বাঘের থাবার চিহ্ন আছে প্রাচীন যে মসজিদে!
, ১৪ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ৩০ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর আগে তৈরী করা ঐতিহাসিক গয়ঘর খোজার মসজিদটির অবস্থান মৌলভীবাজার শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রাম। সেখানে একটি টিলার ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।
দেয়ালের শুভ্র রঙ দূর থেকে জ্বলজ্বল করে। মেঝে ও গম্বুজে টাইলস লাগানো হয়েছে। তিনটি বড় দরজা ও ছয়টি ছোট দরজা। ভেতরের পূর্ব দিকের একটি স্তম্ভে গেলে দেখা যাবে বাঘের থাবার চিহ্ন।
স্থানীয় লোকজন জানান, মসজিদের বাইরে দুটি বড় কষ্টিপাথর ছিল। এখন নেই। জানা গেছে, পাথরগুলো রাতের আঁধারে জায়গাবদল করতো। তাই মানুষ পাথর দুটিকে ভাবতো জীবন্ত! অনেকে আবার এ পাথরকে পবিত্রজ্ঞানও করতো।
খোজার মসজিদ নির্মাণ করা হয় সুলতান বরবক শাহের ছেলে সুলতান শামসউদ্দীন ইউসুফ শাহের আমলে। হাজি আমীরের পৌত্র মজলিস আলম ১৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করেন এটি। সিলেটের হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি মসজিদ ও খোজার মসজিদের শিলালিপিতে উল্লেখ থাকা মজলিস আলম একই ব্যক্তি। মসজিদ দুটি নির্মিত হয়েছিল চার বছরের ব্যবধানে।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানালেন, এ মসজিদ যখন বানানো হচ্ছিল, তখন ঘনজঙ্গল ছিল এলাকাটি। বিচরণ ছিল বাঘের। হয়তো সে সময়ই কোনও বাঘ মসজিদের কাঁচা দেয়ালে থাবা বসিয়েছিল। এখনও টিকে আছে সেই চিহ্ন।
দেয়ালের ওপর রয়েছে আরবী লিপি। আছে ফুল-লতার ছবি। পশ্চিমের দেয়ালে পাথরের পুরনো শিলালিপিও আছে। চুরি ঠেকাতে লোহার খাঁচা দেওয়া হয়েছে এতে। দেয়ালের ইটের গাঁথুনি বেশ পুরু। মূল মসজিদ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ২৪ হাত করে। গম্বুজ ১৮ ফুট উঁচু।
ঐতিহাসিক মসজিদ হওয়ায় এবং বিশেষ করে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে অনেকেই আসে এ মসজিদে। কেউ আবার গায়েবি মসজিদ হিসেবেও এটাকে একনজর দেখতে আসে।
মসজিদটির নামকরণ নিয়ে পরিষ্কার তথ্য মেলে না। তবে প্রচলিত আছে, মানসিংহের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে পাঠান বীর খাজা উসমান মসজিদটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই খাজা থেকেই খোজা।
মসজিদটি দেখতে আসা লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হান্নান বলেন, খোজার মসজিদ একটি প্রাচীন দর্শনীয় স্থান। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। জায়গাটিও মনোরম।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমরু মিয়া ও সাবেক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জানান, ‘১৯৮৪ সালের পর অপরিকল্পিতভাবে সংস্কার শুরু হয় এ মসজিদের। মুসল্লিদের স্থান সংকুলান হচ্ছিল না বলে পূর্বদিকে জায়গা বাড়ানো হয়। প্রাচীন স্থাপত্যকলার নিদর্শন হিসেবে যথাযথ রীতি মেনে যেভাবে এর সংস্কার দরকার ছিল, তা হয়নি।’
খোজার মসজিদের ইতিহাস ঘাঁটতে আরও জানা যায়, ১৯৩৮-১৯৪০ সালের মধ্যে আজম শাহ নামের এক ব্যক্তি এ মসজিদে আসেন। ১৯৪০ সালের দিকে মসজিদের গম্বুজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন তিনি মানুষের কাছে টাকা সংগ্রহ করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থেকে ইসমাইল মিস্ত্রি নামে একজনকে দিয়ে সংস্কার করান। ১৯৬০ সালে আরও একবার মসজিদটির সংস্কার করান তিনি। আজম শাহ চলে গেলে এটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ঝোপজঙ্গলে ছেয়ে যায়। গম্বুজে জন্মায় বটের চারা। এরপর দফায় দফায় আরও সংস্কার করা হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গাজায় যুদ্ধবিরতি: চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া সন্ত্রাসী ইসরায়েল ও হামাসকে দিয়েছে কাতার
১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রতিদিন সকালে ছাতু খেলে মিলবে যেসব উপকার
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বৃহস্পতির মেঘ সম্পর্কে ধারণাই পাল্টে গেল!
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
শীতকালে চিয়া সিড খেলে কি হয় জানেন?
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
গায়ানায় দ্বীন ইসলাম
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব দেশ গায়ানা
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আন্তঘাতী: ডিসিসিআই
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ভিটামিন ই’ এর বিভিন্ন উপকারিতা
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরে ৫ হাজারেরও বেশি নতুন প্রজাতির জীবের সন্ধান
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শীতকালে ৫ প্রজাতির পানীয় খেলে বাড়তে পারে ত্বকের আভিজাত্য!
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৮২৩ বছরের প্রাচীন মসজিদ, একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন মাত্র ১৭ জন
১০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)