বাংলাদেশে হরিণ চাষে এত বিধিনিষেধ কেন? (১)
, ১৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ মে, ২০২৪ খ্রি:, ১০ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
বাংলাদেশের আবহাওয়া হরিণ চাষের জন্য খুব উপযোগী। হরিণের খুব একটা রোগ বালাই হয় না, পালন করা সহজ এবং দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে। বাংলাদেশে যদি হরিণ চাষ সহজ করা হয়, তবে প্রচুর হরিণ উৎপাদন করা সম্ভব। এ বিষয়টির প্রতি খেয়াল রেখে ২০০৯ সালে সরকার হরিণ লালন-পালন নীতিমালা অনুমোদন করে। ঐ নীতিমালায় মানুষ ব্যক্তি পর্যায়ে হরিণ লালন পালন করতে পারতো। লালন-পালনের পর সে হরিণের গোশত খেতেও বাধা ছিলো না। এছাড়া ক্রেতাদের কাছে বিক্রিও করা যেতো হরিণের গোশত। তবে চিত্রা হরিণের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ ছিলো।
যেহেতু হরিণের গোশত খাওয়া হালাল এবং বাজারে প্রচুর চাহিদা আছে, তাই এই নীতিমালার পর প্রচুর খামারী হরিণ লালন পালন শুরু করে। উৎপাদন হতে থাকে প্রচুর পরিমাণে হরিণ। কিন্তু বাধ সাধে কথিত পশু প্রেমী ও পরিবেশবাদীরা। তারা দাবী করে, এই নীতিমালার ফলে খামারের হরিণের নাম করে জঙ্গলের হরিণও ধরে ধরে বিক্রি শুরু হবে। তাতে নাকি হরিণ বিলুপ্ত হবে। কথিত পশুপ্রেশী ও পরিবেশবাদীদের এমন দাবীর মুখে সরকার হরিণ নিয়ে নীতিমালা পরিবর্তন করে। ২০১৭ সালে নতুন নীতিমালায় হরিণের গোশত খাওয়ার উপর সর্বপ্রকার বিধিনিষেধ দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, কোন হরিণ বয়স্ক বা অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও তার মাথা, চামড়া, হাড় বন বিভাগের কাছে জমা দিতে হবে। নয়ত কারাদ-সহ জরিমানা গুনতে হবে।
স্বাভাবিকভাবে একজন খামারী তখনই একটি পশু পালতে আগ্রহী হবে, যখন পশুটি সে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবে। আবার জনগণ তখনই পশুটি ব্যাপকভাবে কিনবে, যখন ঐ পশুর গোশত খেতে পারবে। কিন্তু মানুষ গোশত না খেলে তো পশুটি কিনবে না, আর পশু না কিনলে খামারীও হরিণ এত চাষ করবে না। বর্তমানে একটি হরিণ খামার শুরু করতে সরকারকে কয়েক ধাপে টাকা দিতে হয়। এছাড়া প্রতি হরিণ বাবদ বছরে ১ হাজার টাকা দিতে হয়। এখন সেই টাকা তো তুলতে হবে। শুধু হরিণের সৌন্দয্য্র্ দেখতে আসা জনগণের কাছে টিকিট বিক্রি করে হরিণের খাবার খরচও তো উঠবে না, লাভ হওয়া তো পরের বিষয়।
- শেখ মুহম্মদ রাফসানযানি (আইনজীবি, লেখক)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অমুসলিম-বিধর্মীদের নামে রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এদেশের মুসলমানদের অপমান করার শামিল
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিলিস্তিনি সংবাদ প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেইসবুক এরপরেও কী বিশ্ব মুসলিম ফেইসবুক বয়কট করবে না?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় ইহুদীবাদী আগ্রাসন: আরব সরকারগুলো নীরব ও নিস্ক্রিয় থাকলেও ইহুদী পণ্য বর্জনের মাধ্যমে আরব মুসলিম নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ‘সূ’ আহাজারীর কুফরী মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সব ঈমানদারদের আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কনসার্ট, যাত্রা, সিনেমা ও জোকারী কায়দায় ওয়াজকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী মূল্যবোধ, আদর্শ ও ইতিহাস থেকে ভালো শাসক হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুখ্যাত জেনাখোর এবং জেনা করার জন্য ওয়াজকারী আমীর হামজা কী? তার ওস্তাদ তারেক মনোয়ারের কাছ থেকেই হারামের (ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী) দীক্ষা পেয়েছে?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ইতিহাস, লুটপাটের ইতিহাস
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রেক্ষিত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে হেডিং হয়েছে, “..... সৌন্দর্য নিয়ে ওয়াজ; ক্ষমা চেয়ে আমির হামজা বললো ‘আমি সুস্থ না’” হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ বিরোধী হামজা গং ইলমে তাসাউফের বিরোধীতা করায় ওয়াজের গযবে- এখন জিনা করার জন্য ওয়াজ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: কুয়েতে ঋণ নিয়ে নার্সসহ দেড় হাজার ভারতীয়ের পলায়ন অবিলম্বে সব মুসলিম দেশ থেকে ভারতীয় হিন্দুদের উচ্ছেদ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পশ্চিমা মিডিয়ার স্বাধীনতার নমুনা
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)