বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে আরবী ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হোক
, ২১ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) আপনাদের মতামত
কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এক বক্তব্যে বলেছিলেন, “ভারতীয়রা বাংলাদেশীদের থেকে ভালো আরবী ভাষা পারে।” আমরা জানি, ভারতেরও রেমিটেন্সের এক বড় উৎস হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এবং মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয়রা ভালো কিছু পদ দখল করে রেখেছে। তারমানে বুঝা যাচ্ছে, ভিন্ন ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও মধ্যপ্রাচ্যে ভারতীয়রা আবরী ভাষায় দক্ষতার কারণে উপরে উঠতে পারছে। কিন্তু বাংলাদেশীরা মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আরবী ভাষাকে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব না দেয়ায় ভারতীয়দের সাথে ভাষার দক্ষতায় পেরে উঠছে না, বাড়াতে পারছে না রেমিটেন্স প্রবাহ।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে ইংরেজী ভাষাকে যে পরিমাণে গুরুত্ব দেয়া হয়, ইংরেজী ভাষা সেই পরিমাণ গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য কি না, সেটা আলোচনার বিষয়। গুরুত্ব দেয়ার একটা কারণ সম্ভবত বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি, মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল ইউনিভার্সিটির অনেক পাঠ এখনও ইংরেজী ভাষায় রয়েছে। কিন্তু সেই পাঠগুলো যদি বাংলায় অনুবাদ করা হতো, তবে স্কুল-কলেজে ইংরেজী ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব অনেকটাই হ্রাস পেতো। আসলে বাংলা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ঠিক, কিন্তু সেই অনুসারে আমরা নিজেদের মাতৃভাষাকে ঠিকমত গুরুত্ব দিতে পারেনি, নিজ দেশের উচ্চশিক্ষাকে মাতৃভাষায় সরবরাহ করতে পারিনি, বরং ইংরেজদের রেখে যাওয়া ভাষাকেই মাথায় তুলে রেখে দিয়েছি।
অনেকে অবশ্য ইংরেজীকে গুরুত্ব দিতে বলে, আন্তর্জাতিক ভাষার কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে সকল রাষ্ট্রে ইংরেজী ভাষার প্রচলন নেই। এমনকি খোদ ইউরোপের অনেক রাষ্ট্রে ইংরেজী ভাষা নেই। এছাড়া চায়না, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা ঐ দেশের ভাষা শিখে যায়। সে হিসেবে ইংরেজী ভাষী কোন রাষ্ট্রে যাওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা ইংরেজী ভাষা আলাদা করে শিখে নিতে পারে।
তবে যদি কর্মক্ষেত্রের বিবেচনাই করতে হয়, তবে ইংরেজীর থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব পাওয়ার দাবী রাখে আরবী ভাষা। কারণ আরববিশ্বের ২৫টি দেশ ছাড়াও পৃথিবীর অনেক দেশে তা দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ দেশগুলোতেই বাংলাদেশীদের যাতায়াত সবচেয়ে বেশি এবং রেমিটেন্সও আসে বেশি। তাই দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করতেই বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে আরবী ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সময়ের দাবী।
-জিয়াউল হক।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)