বাংলাদেশের রোগীরা কেন চিকিৎসা নিতে ভারতে যায়? (৩)
, ২৯ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৭ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
উল্লেখ্য, বাংলাদেশীরা যখন ভারতে যায়, তারাও অসংখ্য ভুল চিকিৎসার সম্মুক্ষীণ হয়, অনেক রোগী ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় মারাও যায়। কিন্তু এরকম অসংখ্য ঘটনা থাকার পরও বাংলাদেশের মিডিয়াকে সে সব খবর গুরুত্বসহকারে প্রচার করতে দেখা যায় না। বাংলাদেশের একটা ঘটনা পেলে যেভাবে মিডিয়ায় প্রচার হয়, ঠিক একইভাবে ভারতের খরবগুলো যদি গুরুত্ব দিয়ে মিডিয়ায় আসতো, তবে মানুষ সহজে তুলনা করতে পারতো।
চলতি বছর ২০২৪ এর শুরুতে ভারতে গিয়ে ভুল চিকিৎসা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। জানা যায়, হাত-পায়ের হাড়ের ব্যাথার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারত যান সিনথিয়া। এরপরে অনেকদিন যাবত তাকে ক্লাসে অনুপস্থিত দেখে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ভারতের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ১০ দিন ঔষধ খাওয়ার পর সিনথিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়া ফাটতে শুরু করে। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্যে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে শরীরের চামড়া পড়া শুরু হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন। (তথ্যসূত্র: দৈনিক নাগরিক ভাবনা, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪)
এই খবরগুলোকে কিছু নিউজ পোর্টালে আসলেও বড় বড় মিডিয়ায় তেমন গুরুত্বের সাথে আসেনি।
আবার বাংলাদেশের অনেক মেধাবী চিকিৎসক আছেন, যারা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভারতীয় ডাক্তারদের থেকেও এগিয়ে যান। যেমন, সম্প্রতি ভুটানের এক ক্যান্সার আক্রান্ত নারী ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করে জটিল পরিস্থিতিতে পরে বাংলাদেশে এসে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে। জানা যায়, কার্মা ডেমা নামক ভুটানের এক নারীর নাকের গহব্বরে ক্যান্সার শনাক্ত হয়। তার চিকিৎসা ভুটানে সম্ভব ছিল না। সে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ওই হাসপাতালে তাকে কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তার নাকের ভেতরে পচন দেখা দেয় এবং নাকের আকার-আকৃতি অস্বাভাবিক হয়ে যায়। এরপর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে এসে বাংলাদেশী চিকিৎসকের অপারেশনে সে সুস্থ হয়। (তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪)
সবশেষে বলবো, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবশ্যই আরো উন্নয়নের দরকার। পাশাপাশি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে রোগীদের প্রতি চিকিৎসকের কাউন্সিলিং এবং ভালো ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই।
-এস হাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)