বাংলাদেশের রোগীরা কেন চিকিৎসা নিতে ভারতে যায়? (১)
, ২৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২২ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
বর্তমানে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অনেকের মধ্যে অনাস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো না’- এ কথা বলে অনেকেই বাইরে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পক্ষপাতি। মোটামুটি স্বচ্ছল হলেই ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করতে আগ্রহী। ২০২৩ সালের একটি হিসেব বলছে, ভারতে গিয়ে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লক্ষ বাংলাদেশী চিকিৎসা নেয়, যে সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ২০২২ সালের হিসেব বলছে, চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যাচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশীরা কেন ভারতে চিকিৎসা নিতে যায়, এই প্রশ্ন খুজতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসবে, ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা কি বাংলাদেশ থেকে উন্নত? কিংবা ভারতের চিকিৎসকরা কি বাংলাদেশের থেকে ভালো?
আসলে বিষয়টি এমন নয়, বাংলাদেশেও প্রচুর ভালো চিকিৎসক আছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাও মন্দ নয়। সমস্যা হচ্ছে আস্থায়। অর্থাৎ বাংলাদেশে চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত আস্থা অর্জন করতে পারছে না, যেটা ভারতীয় চিকিৎসরা পারছে।
এখানে বাংলাদেশে মূল সমস্যা হচ্ছে রোগীর সাথে ডাক্তারের দূরত্ব। যেটাকে হয়ত কমিউনিকেশন গ্যাপ’ বলা যায়। এক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে, রোগীদের প্রতি ডাক্তারদের ভালো আচরণ করা, বিশেষ করে ডাক্তার ও রোগীর দূরত্ব দূর ঘুচাতে কাউন্সিলিং করা। অর্থাৎ কোন সেবাগ্রহীতা (ক্ল্যায়েন্ট) কোন সেবাদাতার কাছে গেলে তার থেকে যেমন আচরণ-ব্যবহার প্রত্যাশা করে, তেমনি ডাক্তারদেরও তেমন আচার-ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে কমে আসবে ডাক্তার-রোগীর দূরত্ব, তৈরী হবে আস্থা। ভারতে রোগীদের সাথে ডাক্তারের কাউন্সিলিং এ বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে আছে, আর সে কারণেই বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসা নিতে ভারত ছুটে যায়।
কাউন্সিলিং বিষয়টি কি?
কাউন্সিলিং হচ্ছে রোগীর সাথে চিকিৎসকের আস্থার সম্পর্ক তৈরী হওয়ার মাধ্যম। শুরুতে একজন রোগী আসলে তার সাথে পরিচয় হওয়া, কুশল বিনিময় করা। অতঃপর রোগ নির্ণয় করে রোগীকে রোগ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেয়। এরপর রোগীকে চিকিৎসা করে কতটুকু সুস্থ করা যাবে সেই লক্ষ্য বলে দেয়া, চিকিৎসকের সীমারেখা বা সামর্থ্য কতটুকু তা স্পষ্ট করা। চিকিৎসা প্রণালী সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা। রোগীকে চিকিৎসা দেয়া এবং চিকিৎসা পরবর্তী রোগীর খোঁজ খবর নেয়া।
-এস হাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)