বাংলাদেশীদের শেকড় : পবিত্র দ্বীন ইসলাম নাকি মুশরিকি? (১)
, ০৬ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫, মে, ২০২৪ খ্রি:, ০১ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
আমাদের দেশে কেউ কেউ, বাঙালী সংস্কৃতির নাম করে মুশরিক হিন্দুত্ব সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায়। তারা আরো দাবী করে এ অঞ্চলের মানুষ আগে হিন্দু ছিলো। এ অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ভাষা সবকিছু হিন্দু ধর্মের সাথে মিলেছে। তাই বাঙালী হতে হলে আমাদেরকে হিন্দুত্ব ধারণ করতে হবে।
এ দাবীগুলো আসলে ভুল। এ অঞ্চলের পূর্ব পুরুষরা তো সবাই হিন্দুই ছিলো না। হিন্দু জনগোষ্ঠী যদি কিছু থেকেই থাকে তবে তারাও সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলো না। এ অঞ্চলে হিন্দু শাসকদের আগমনের পূর্বে দ্বীন ইসলাম ছিলো। বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলায় হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের যুগ অর্থাৎ ৬৯ হিজরি সনে নির্মিত একটি মসজিদের সন্ধান প্রমাণ করে ইসলামের প্রথম যুগ থেকেই এ অঞ্চলে দ্বীন ইসলামের আবাদ হয়েছে। এ অঞ্চলে মুসলিম ছাড়াও অনেক একেশ্বরবাদ বিশ্বাসী ও মূর্তিপূজা বিরোধী গোষ্ঠী ছিলো, যাদের অনেকেই মুসলমানদের সংষ্পর্শে এসে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেছে। কিন্তু তাদেরকে হিন্দু বলা যায় না। আবার আমাদের দেশের অধিকাংশ মুসলমানের বংশ সৈয়দ, মীর, শেখ, মোল্লা, আখন্দ, নিয়াজী, ফকির, গাজী থেকে বুঝা যায়, এ অঞ্চলের মুসলমানদের অধিকাংশের পুর্ব-পুরুষ সংযুক্ত হয়েছে মুসলমান রক্ত ধারা থেকেই।
আসলে বাংলাদেশ বলতে আমরা যে ভূমিটুকু বুঝি, আজ থেকে ৫-৭শ’ বছর আগে সেখানে জনসংখ্যা কতটুকু ছিলো সেটা আগে হিসেব করা দরকার। হিসেব করলে দেখা যাবে অধিকাংশ ভূমি ছিলো জনশূণ্য এবং বনজঙ্গল। যদি বাংলাদেশের জনসংখ্যা তখন কয়েক লক্ষও থাকে, তবে সারা দেশ ঘুরলে আপনি কয়েক জানা-অজানা লক্ষ লক্ষ আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের মাজার শরীফ পাবেন, যারা এ অঞ্চলে এসেছিলেন দ্বীন ইসলাম প্রচারের জন্য এবং এখানে এসে ঘর সংসার ও বংশবিস্তার করেছেন। উনাদের বংশধর ও অনুসারীরাই বন-জঙ্গল পরিষ্কার করে ভূমিকে আবাদ করেছেন। উনাদের পরবর্তী বংশধর হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের সিংহভাগ জনসংখ্যা।
সাহিত্যের ক্ষেত্রে যদি আপনি গোড়ায় যান, তবে একই জিনিস দেখবেন। গ্রাম বাংলার আদি সাহিত্য হচ্ছে হযরত নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে পূথি সাহিত্য। গ্রাম বাংলার আদি সাহিত্য-ই প্রমাণ করে এ অঞ্চলের মানুষের শেকড় দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম সভ্যতার সাথে গিয়ে মিশেছে।
-মুহম্মদ আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)