বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুসলমানদের পরিত্রাণের একমাত্র উপায়- পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা
, ১৪ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ৩১ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১৭ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার গুরুত্ব অনুধাবন করা যায়, প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাতে এ পবিত্র সূরা শরীফ পাঠ করার বাধ্যবাধকতা দেখে। একজন মানুষ দৈনিক ৫ ওয়াক্ত ফরয নামাযের ১৭ রাকাতে ১৭বার, ৩ রাকাত ওয়াজিব নামাযে ৩বার এবং ১২ রাকাত সুন্নতে মুয়াকাদ্দাহ নামাযে ১২বার, এই মোট ৩২বার কম করে হলেও একজন মুসলমান এ পবিত্র সূরা শরীফ দৈনিক পাঠ করে থাকে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, মুসলমানরা দৈনিক এতবার করে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও উক্ত পবিত্র সূরা শরীফে কি শিক্ষা আছে তা অনুধাবন করতে সমর্থ হয়নি।
পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি দোয়া শিক্ষা দিচ্ছেন, বলছেন- মুসলমানরা যেন এভাবে দোয়া করে: “আয় আল্লাহ পাক! আমাদেরকে সরল পথ দিন এবং সে সমস্ত লোকের পথ দিন, যাঁদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন”। (পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫-৬)
অন্যত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি নিয়ামত দান করেছেন- নবী, ছিদ্দীক্ব, শহীদ, সলেহ উনাদেরকে।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৯)
অর্থাৎ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার ৫ ও ৬নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মর্মার্থ হচ্ছে- একজন মুসলমানকে সর্বদা হযরত নবী আলাইহিস সালাম, ছিদ্দীক্ব, শহীদ ও সলেহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের পথ চাইতে হবে এবং উনাদের দিক-নির্দেশনা অনুসারে চলতে। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু হযরত নবী আলাইহিস সালাম উনাদের পাওয়া যাবে না, তাই ছিদ্দীক্ব-শহীদ-সলেহ বা ওলীআল্লাহ উনাদেরকে মান্য করাই হচ্ছে উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মর্মার্থ।
এরপর পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার শেষ পবিত্র আয়াত (৭নং) শরীফে মহান আল্লাহ পাক তিনি মুসলমানদের শিখিয়ে দিচ্ছেন, বলছেন- মুসলমানরা যেন এভাবে দোয়া করে-
“সে সমস্ত লোকের পথ দিবেন না, যারা গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত”। (পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
মূলত এখানে গযবপ্রাপ্ত ও বিভ্রান্ত বলতে ইবলিস শয়তান, সমস্ত কাফির-মুশরিক এবং বাতিল ৭২ ফিরকাকে বুঝানো হয়েছে।
অর্থাৎ পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ উনার মর্মার্থ হচ্ছে- মুসলমানগণ উনাদেরকে হক্কানী ওলীআল্লাহ উনাদের কাছে যেতে হবে এবং উনাদের দিক-নির্দেশনা অনুসারে চলতে হবে। এবং কাফির-মুশরিকদের মতে-পথে চলা যাবে না, তাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না।
অথচ দেখা যাচ্ছে, বর্তমান মুসলমানদের অবস্থা হচ্ছে ঠিক উল্টো। তারা সারাদিন কাফির-মুশরিকদের মতে ও পথে চলে, তাদের অনুসরণ অনুকরণ করে, কিন্তু হক্কানী ওলীআল্লাহ উনাদের নিকট আসে না, উনাদের দিক-নির্দেশনা অনুসারে চলে না। আর এ কারণেই বর্তমান মুসলমান জাতির এ করুণ অবস্থা। কিন্তু মুসলমানরা যদি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ অনুসারে আমল করতে পারতো, তবে নিশ্চিতভাবে মুসলমানদের সমস্ত বালা-মুছিবত দূর হয়ে যেতো এবং মুসলমানরা কামিয়াবী হাছিল করতো।
তাই মুসলমানদের বর্তমান কঠিন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে- বেশি বেশি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করা এবং এ পবিত্র সূরা শরীফ উনার দিক-নির্দেশনা অনুসারে জীবন গড়ে তোলা। তবেই মুসলমাদের পক্ষে কামিয়াবী হাছিস করা সম্ভব।
মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল মুসলমানকে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার এবং সে অনুসারে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
-আল্লামা মুহম্মদ আমিনুর রহমান, ঢাকা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)