প্রসঙ্গ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি: রাষ্ট্র পদ্ধতির যৌক্তিকতা (২)
, ২১ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০২ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০১, মে, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) আপনাদের মতামত
আমি মাঝে মাঝে নিজেকে প্রশ্ন করি, আমরা কেন রাষ্ট্রকে এত এত কর, আয়কর, শুল্ক দিয়ে থাকবো ?
উত্তর পাই-
রাষ্ট্র আমাকে নিরাপত্তা দেয়,
রাষ্ট্র আমাকে বিচার ব্যবস্থা দেয়,
রাষ্ট্র আমাকে যাতায়াত ব্যবস্থা দেয়,
রাষ্ট্র আমাকে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ দেয়।
কিন্তু এই প্রতিটি জিনিস পেতে গেলে আমাকে আলাদা খরচ করতে হয় ঠিকই । কিছুক্ষেত্রে যদি স্বল্পমূল্যে পাইও, তবে সেই টাকা অন্যদিক থেকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ট্যাক্সের মাধ্যমে কয়েকগুন নেয়া হয়। বর্তমানে যদি ঠিক মত হিসেব করা হয়, তবে দেখা যাবে, একজন মানুষের যদি মাসিক ইনকাম ৫০ হাজার টাকা হয়, তবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাষ্ট্র ২৫-৩০ টাকা ট্যাক্স, ভ্যাট, শুল্ক ইত্যাদি হিসেবে কেটে নিচ্ছে।
মূলতঃ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা নাম করে এক টাকা কয়েকবার নেয়া হয়। ঐ সুবিধা ব্যবহার করতে একবার নেয়া হয়, আবার ঐ রাষ্ট্রীয় সংস্থায় ভতুর্কির নাম করে ট্যাক্স-ভ্যাটের নাম করে জনগণের থেকে আরেক দিক থেকে টাকা কেটে নেয়া হয়। দেখা যায়, ঐ সুবিধাটা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থা বা কোম্পানি জনগণকে দেয় কিংবা তাদের নির্ধারণ করে দেয়া কতিপয় নির্দ্দিষ্ট কোম্পানি দেয়। এতে এক ধরনের মনোপলি (একচেটিয়া বাজার) তৈরী হয় এবং জনগণের থেকে ইচ্ছামত টাকা কেটে নেয় তারা।
কিন্তু এই বিষয়টি নির্দ্দিষ্ট না করে উন্মুক্ত করে দেয়া হলে সরকারী-বেসরকারী কোম্পানিগুলোকে পণ্য ও সেবার মান দিয়ে প্রতিযোগীতা করে জনগণের মাঝে টিকে থাকতে হতো। জনগণই তাদের পণ্য ও সেবার মূল্য নির্ধারণ করতো। ঐ কোম্পানিগুলো জনগণের থেকে বিনিময় খরচ নিক, তবে তাদের কোন প্রকার ভর্তুকি দেয়া চলবে না। কারণ ভর্তুকি দেয়া মানেই হলো সেই টাকাই ঘুরিয়ে আরো কয়েক গুন জনগণের থেকে কেটে নেয়া হবে। এমন করতে পারলে, জনগণের খরচ অনেকাংশে হ্রাস পেতো।
তাই রাষ্ট্রের মনোপলি সিস্টেমের অবসানের দাবী জানাই, বাধ্যতামূলক ট্যাক্স, ভ্যাট এগুলো বাদ দেয়া হোক। কোন সুযোগ-সুবিধা যদি প্রয়োজন হয়, তার জন্য রাষ্ট্র প্রতিযোগীতামূলক বাজার তৈরী করুক। যেখানে সরকারী-বেসরকারী কোম্পানি উভয়ই প্রতিযোগীতা করে পণ্য-সেবার মান ও মূল্য ঠিক রেখে জনগণের কাছে তা বিক্রি করবে। ভতুর্কির দেয়ার নাম করে এক জনগণকে ৭ বার জবাই করা চলবে না।
-এ হাবীব (সাংবাদিক ও গবেষক)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)