প্রসঙ্গ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি: রাষ্ট্র পদ্ধতির যৌক্তিকতা (১)
, ২০ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) আপনাদের মতামত
পেট হলো ৩টি।
প্রথম পেট হলো রাষ্ট্রের পেট। সেই পেট ট্যাক্স, ভ্যাট আর শুল্ক (ট্যারিফ) দিয়ে ভরে।
দ্বিতীয় পেট হলো ব্যবসায়ীর পেট। পণ্য বিক্রয়ের সময় লাভ করে। সেই লাভ দিয়ে ব্যবসায়ী পেট ভরায়।
তৃতীয় পেট হলো জনগণের পেট। সে নিজের আয় অনুসারে দ্রব্য ক্রয় করে পেট ভরায়।
কোন পণ্যের দাম বাড়লেই বলা হয়- ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। এরপর ব্যবসায়ীদের উপর ধরপাকড় করে প্রথম পেটের কর্তাব্যক্তিরা।
আবার কোন পণ্যের দাম বাড়লেই প্রথম পেটের কর্তাব্যক্তিরা তৃতীয় পেট, মানে জনগণকে বলে, “একটু কম খেতে পারেন না! আপনারা বেশি খান বলেই তো সব কিছু দাম বাড়ে। খেজুরের বদলে বরই খান, গোশতের বদলে কাঠাল খান, বেগুনের বদলে কুমড়া খান, তেল ছাড়া রাধেন, পিয়াজ ছাড়া রাধেন” এমন নানান বক্তব্য আমরা শুনি।
কথা হচ্ছে, কথা কোন কিছুর দাম বাড়লেই তার দায় কেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় পেটকে নিতে হবে? প্রথম পেটের কি কোন দায় নেই ?
আসুন একটু হিসেব করি।
১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো প্রকাশিত এক সংবাদ বলছে, ৯৬ টাকা (জাইদি) খেজুরের জন্য রাষ্ট্রকে শুল্ককর দিতে হয় ১৩০ টাকা। অর্থাৎ জনগণ ৯৬ টাকার খেজুর খেলে রাষ্ট্রকে ১৩০ টাকা দেয়। এরপর সেই খেজুর পরিবহণ খরচ মিটিয়ে কয়েক ব্যবসায়ীর হাত ঘুরে জনগণের কাছে আসতে আসতে ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
কথা হচ্ছে, সবাই শুধু জনগণ ও ব্যবসায়ীর পেটের দিকেই তাকায়, অন্যের পেটকে সংকুচিত করতে বলে, কিন্তু রাষ্ট্রের পেট যে বিশাল হয়ে গেছে, সেই পেট ভরতে যে সবকিছুর খরচ বাড়ছে সেই খবর কে রাখে?
আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবন ছিলো রাজধানীর সেগুন বাগিচায়। এরপর সেটা নিয়ে যাওয়া হলো শেরে বাংলা নগর। রাজস্ব বোর্ডের নতুন ভবন লাগবে কিংবা বড় করতে হবে সেটাতে সমস্যা নয়। কিন্তু শেরে বাংলা নগরে রাজস্ব বোর্ড ভবন যেভাবে সেভেন স্টার হোটেলের মত রাজকীয় স্টাইলে বিলাসবহুল ভাবে তৈরী করা হয়েছে তা অবশ্যই দৃষ্টিকটূ লাগে। কারণ রাজস্ব ভবন মানে জনগণের থেকে খাজনা আদায়ের অফিস। আপনি জনগণের থেকে খাজনা আদায়ের ভবন যদি রাজকীয় বিলাসবহুল ভাবে বানান, তবে জনগণের থেকে খাজনা আদায়ের দৃষ্টিভঙ্গিটা স্পষ্ট হয়। খাজনা আদায়ের অফিসের স্টাইল বলে দেয় এর সাথে সম্পৃক্ত রাজাদের বিলাসী জীবন কতটুকু। কিন্তু দিন শেষে খাজনা দেয়া প্রজাদেরই শুনতে হয়, “আপনার খরচ কমান, খেজুরের বদলে বরই খান। ”
-এ হাবীব (সাংবাদিক ও গবেষক)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের দমিয়ে রাখতেই ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ বুলি
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এ সকল মুখোশধারীদের আসল পরিচয় অনেকেরই অজানা!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)