প্রসঙ্গ ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ : মনের লিঙ্গের শেষ কোথায়? (১)
, ১৬ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১৪ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আপনাদের মতামত
বাংলাদেশের স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামক একটি অধ্যায় নিয়ে বেশ বিতর্ক শুরু হয়েছে। ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যু নিয়ে হচ্ছে আলোচনা সমালোচনা। গল্পের ভেতর কয়েকটি বিষয় শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
যেমন-
১. গল্পের ভেতর প্রশ্ন করা হয়েছে, “আমরা নিজেদের ছেলে এবং মেয়ে বলে আলাদা করে চিনি কিভাবে?” উত্তরে গল্পেই বলা হয়েছে, “আমরা যে মানুষকে শারীরিক গঠন দেখেই কাউকে ছেলে বা মেয়ে বলছি সেটা সবার ক্ষেত্রে সত্যি নয়। ”
অর্থাৎ গল্পটি বাচ্চাদের যা শেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে- বর্তমানে শরীরের গঠন দেখে সমাজের চাপিয়ে দেয়া বিষয় হচ্ছে জেন্ডার। কিন্তু জেন্ডার চাপিয়ে দেয়ার কোন বিষয় নয়, বরং সে নিজেকে (মনে মনে) যা মনে করে সেটাই তার জেন্ডার হওয়া উচিত।
এখানে জানার বিষয় হচ্ছে, আসলে জেন্ডার কাকে বলে?
ইংরেজী ‘জেন্ডার’ শব্দের আবিধানিক অর্থ ‘লিঙ্গ’। বৈজ্ঞানিক ভাষায়, প্রজননের সময় কোন ব্যক্তির জৈবিক ভূমিকাকেই তার জেন্ডার বলে। অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনের সময় একজন ব্যক্তি লিঙ্গ নির্ধারণ ‘এক্সএক্স’ ক্রোমোসোম দিবে নাকি ‘এক্স-ওয়াই’ ক্রোমোসোম দিবে, তাই হচ্ছে ঐ ব্যক্তির জেন্ডার। যদি কোন ব্যক্তি ‘এক্স-ওয়াই’ ক্রোমোসম দেয় তবে সে পুরুষ, আর যদি ‘এক্সএক্স’ ক্রোমোসম দেয় তবে সে নারী। যেহেতু একজন মানুষ প্রজননের সময় ‘এক্সএক্স’ ও ‘এক্স-ওয়াই’ ক্রোমোসমের বাইরে অন্য কিছু দেয় না, তাই বৈজ্ঞানিকভাবে নারী-পুরুষের বাইরেও জেন্ডার বলে কিছু নেই। তাই বর্তমানে পাঠ্যবইয়ে মনের লিঙ্গ বা সামাজিক লিঙ্গ বলে যা পড়ানো হচ্ছে, তার সাথে বিজ্ঞান বা বাস্তবতার বিন্দুমাত্র মিল বা সংযোগ নেই।
উল্লেখ্য, কোন ব্যক্তি যদি প্রজননে অসমর্থ হয়, তবে সে প্রজনন প্রতিবন্ধী হিসেবে গণ্য হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিবন্ধীরা হিজরা নামে পরিচিত। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবন্ধীরা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ডা. মুহম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “সৃষ্টিকর্তা ছেলে এবং মেয়ের বাইরে অন্য কোনো লিঙ্গের কাউকে সৃষ্টি করেননি। হয়তো তাকে ছেলে হতে হবে অথবা মেয়ে। এর বাইরে কোথাও তৃতীয় লিঙ্গ বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। বিজ্ঞান বা মেডিকেল সায়েন্সেও তৃতীয় লিঙ্গ বলতে কিছু নেই। তবে ডিফেকটিভ ডিজ অর্ডার অথবা ‘ডিজ অর্ডার অব সেক্সুয়াল ডেভেলপমেন্ট’ আছে। ফলে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া হলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব। ” (তথ্যসূত্র: দৈনিক সময়ের আলো, ৫ আগস্ট, ২০২২)
-এস হাবীব।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিজাতীয়দের দেশগুলোর ‘সন্ত্রাসীপনার’ একটি পরিসংখ্যান
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খিলাফত মানে কী?
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নারিকেল দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমনে বাধা; নেপথ্যে রয়েছে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নারিকেল দ্বীপকে যেভাবে করা হয়েছিলো সেন্টমার্টিন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৬)
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দূষণের অজুহাতে নারিকেল দ্বীপে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে হলে, সবার আগে রাজধানী ঢাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৫)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৪)
২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৩)
২৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (৯)
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)