আপনাদের মতামত
প্রসঙ্গ: সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ একটু ভাবতে হবে....
, ১১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আপনাদের মতামত
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো আজকাল একটি সাধারণ বিষয়। মানুষ জন্মদিন পালন করছে, বিয়ের অনুষ্ঠান পালন করছে খুব উৎসাহের সাথে। কারো ছেলে বা মেয়ের জন্মদিনের কেক কাটা তথাকথিত মুসলমানদের জন্য একটা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে। এসব জন্মদিন পালন, বিয়ের অনুষ্ঠান পালন নিয়ে কেউ কোন ফতওয়া দেয় না কিন্তু পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ এলেই ওহাবী খারেজীরা নানান ফতওয়া দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কিন্তু সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ (শ্রেষ্ঠ দিনসমূহের মধ্যে যে দিন শ্রেষ্ঠতম) পালন আসলে সকল মুসলমানদের জন্য ফরযের উপর ফরয।
মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম শরীফ উনার ১২ই শরীফ পৃথিবীর বুকে তাশরীফ মুবারক নেন “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”। উনাকে পেয়েছি বলেই আমরা পবিত্র কুরআন শরীফ পেয়েছি, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম পেয়েছি, ঈমান পেয়েছি। তাহলে উনার জন্য কতটুকু খুশী প্রকাশ করা উচিত?
মানুষ কি আসলেই বোঝে উম্মত আর নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্ক? অধিকাংশ মানুষই আসলে বোঝে না আর তাই মহান আল্লাহ পাক স্পষ্ট জানিয়েছেন “যতক্ষণ তোমরা তোমাদের মহান রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তোমাদের জানের চেয়ে বেশী মুহব্বত করতে না পারবে ততক্ষণ তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না। ”
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরও জানিয়েছেন, “তোমরা যে একজন মহান রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করলে, সেজন্য তোমরা খুশী প্রকাশ করো, যা হবে তোমাদের জীবনের সঞ্চিত সকল কিছুর চেয়ে উত্তম”।
তাহলে আসুন একটু ভেবে দেখি; আমাদের রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশী প্রকাশ করার বাজেট কি আমার সন্তানের জন্মদিন পালনের বাজেটের চেয়ে বেশী?
যদি সকল নিজের ব্যক্তিগত খুশী প্রকাশ করার জন্য আলাদা বাজেট থাকে তবে অবশ্যই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন উনার জন্য আমাদের আলাদা বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে মানুষ তা না করে বরং বিভ্রান্তমূলক ফতওয়া দিয়ে থাকে। নিজের পান্ডিত্য জাহির করতে থাকে। বিদয়াত বিদয়াত বলে চিৎকার করতে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!
মনে রাখতে হবে আমরা যে যেমন আমল করবো ঠিক তেমন প্রতিদানই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছ থেকে আমরা পাবো। কারণ তিনি উত্তম প্রতিদান দিয়ে থাকেন।
-আল্লামা এবিএম রুহুল হাসান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
১০ ব্যক্তি শয়তানের বন্ধু
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যুব সমাজকে খেলাধুলার প্রতি ঝুঁকিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ চক্রান্ত
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
উন্নয়নের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে, তাহলেই রাজধানী হবে সমস্যামুক্ত
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জুলুমতন্ত্র থেকে খালিছ ইস্তিগফার-তওবা করুন
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
উপজাতিদের যেভাবে উস্কানি দিচ্ছে এনজিওগুলো
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হিন্দুদের পূর্বপুরুষরাও একসময় মুসলমান ছিলো
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
খাবার খাবেন কোথায়?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের রক্তাক্ত ইতিহাস, যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জায়নবাদী ইহুদী পরিকল্পনার গোপন দস্তাবেজ
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিধর্মীরা কখনোই চায়নি, এখনও চায় না মুসলমানদের উন্নতি
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ব্রিটিশ স্টাইলের শাসকগোষ্ঠী দিয়ে উন্নয়ন নয়, লুটপাটই হবে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলমানরা তাদের সন্তানদের কি শেখাচ্ছে, কি শেখানো উচিত? (২)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)