প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
, ১৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদ এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে। এ জন্য বাংলাদেশের সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন। বিশ্বের বহু দেশ এই ফাঁদে পড়েছে। আবার অনেক দেশ সাফল্যের সঙ্গে উত্তরণ করেছে। যেমন- সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। আবার গ্রিস ও আর্জেন্টিনার মতো দেশ এই ফাঁদে পড়েছে। উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে বাংলাদেশের সার্বিক সংস্কার প্রয়োজন। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তেমনি রাজস্ব-জিডিপি বাড়াতে সংস্কার দরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন হলেই তা টেকসই হবে। জনগোষ্ঠীর বড় অংশের জীবনমানের উন্নয়ন করতে না পারলে তা কাজে আসবে না।
নিম্ন মাথাপিছু আয় থেকে উচ্চ মাথাপিছু আয়ে পৌঁছাতে এশিয়ার দেশগুলো ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে কম সময় নিয়েছে। আবার অনেক দেশ আছে যেগুলো মাথাপিছু আয়ের একটি পর্যায়েই পড়ে আছে কয়েক দশক ধরে। এমন পরিস্থিতিকে অর্থনীতির ভাষায় বলা হচ্ছে ‘মধ্যম আয়ের ফাঁদ’।
মধ্যম আয়ের দেশগুলোর উচ্চ আয়ের পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য যে নীতিমালা প্রয়োজন, তা প্রণয়ন করা দুষ্কর। বিশেষত প্রতিটি দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার স্বাতন্ত্র্য এ কাজটিকে আরো কঠিন করে তোলে। অর্থনীতিবিদদের দেখানো বিভিন্ন প্রমাণ অনুযায়ী, নিরবচ্ছিন্ন উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনামূলক অল্প সময়ের ব্যবধানে আয়সীমায় দুবার সফল উত্তরণের অভিজ্ঞতা থেকেই বিষয়টি নিশ্চিত বলে প্রতীয়মান হয়। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন সতর্কবার্তা এখন অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ছে।
অর্থনৈতিক খাতে সুশাসন ও মান উন্নয়নে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়িক নেতারা দীর্ঘদিন ধরেই কর্তৃপক্ষকে সংস্কারের কথা বলছে। সরকারের এজেন্ডায় সংস্কার উদ্যোগ মাঝেমধ্যে ছিল, তবে তা কখনোই অগ্রাধিকার তালিকায় ছিল না। বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে জরুরি ঋণ নিচ্ছে, অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে বিশ্বব্যাংকের কাছে আরো তহবিল চাইছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে- আর্থিক ব্যবস্থায় সংস্কার। সম্প্রতি দুটি পৃথক সফরে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা বাংলাদেশকে রাজস্ব নীতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কর প্রশাসনে ব্যাপক সংস্কার করার আহ্বান জানিয়েছে। মানবপুঁজিতে সরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম। তাই স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতসহ বিভিন্ন সামাজিক খাতের উন্নয়নে অনেক কাজ করতে হবে। কম সরকারি বিনিয়োগের ফলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকছে। দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য অনেক বেশি। সরকারের উচিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মান নিশ্চিতে বাজেটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। ধনী-দরিদ্র বৈষম্য কমাতে এবং মানবসম্পদ ও পুষ্টি সূচকগুলোর মান বাড়াতে বাজেটারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে পরের পাঁচ বছরে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছার স্বপ্ন দেখছে।
অর্থনীতিবিদেরা একসময় উপলব্ধি করে যে উচ্চ আয়বৈষম্য থাকলে মাথাপিছু আয় দিয়ে কোনো দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য নিরূপণ করা যায় না। এই আবিষ্কারের আলোকে প্রণীত হয় (১৯৯০) জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই)। কেবল মাথাপিছু আয়ের পরিবর্তে একটি দেশের সার্বিক মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু বিষয় নিয়ে প্রণীত এই সূচক যে অধিকতর গ্রহণযোগ্য, তার যৌক্তিকতা মেলে মধ্যম আয়ের চক্করে পড়া দেশগুলোর দৃষ্টান্ত থেকে। এই সূচকের মূল চারটি বিবেচ্য বিষয়ের একটি হচ্ছে মাথাপিছু আয়। এই সূচকের আংশিক সংশোধন করে পরবর্তী সময়ে বৈষম্য-সমন্বিত সূচক প্রবর্তন করা হয়, যাতে কেবল স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং আয়কেই বিবেচনায় নেওয়া হয় না, এসব ক্ষেত্রের প্রাপ্তির ফলাফলকে নিরূপণ করা হয় বৈষম্যের বিচারে। বৈষম্যের কারণে মানব উন্নয়নের যে ক্ষতি সাধিত হয়, সেটিই আগের সূচকের সঙ্গে এটির পার্থক্য।
একটি দেশ মাথাপিছু আয়ের বিচারে উচ্চ অবস্থানে থেকেও মানব উন্নয়ন সূচকে পড়ে থাকতে পারে অনেক নিচে। অতএব, এ কথা সহজেই বলা যায়, কেবল মাথাপিছু আয় নিয়ে সন্তুষ্ট থেকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, কর্মসংস্থান ইত্যাদি বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করলে দীর্ঘ মেয়াদে দেশ আটকে পড়তে পারে নিম্ন মধ্যম আয়ের চক্করে, তখন উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে যুক্ত হওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে।
মধ্যম আয়ের যাত্রা অতি দীর্ঘ হওয়ার কারণে একে ফাঁদ বলে মনে হয়। নিম্ন আয় থেকে যত তাড়াতাড়ি নিম্নমধ্যম আয়ে পৌঁছানো যায়, নিম্নমধ্যম আয় থেকে উচ্চ মাথাপিছু আয়ের সক্ষমতায় তত তাড়াতাড়ি পৌঁছা সম্ভব হয় না। এর কারণ দুটো। প্রথম কারণ মধ্যম আয়ের জন্য বিশ্বব্যাংকের বন্ধনীর ব্যাপক বিস্তৃতি। এই শ্রেণির বিস্তৃতি পামির মালভূমির মতো এত বিশাল কেন-তার বিজ্ঞানসম্মত উত্তর বিশ্বব্যাংকের কাছে নেই। ১ হাজার ১০০ ডলার আর ১৩ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়সম্পন্ন দুটো দেশের মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কিন্তু কী কারণে ওরা উভয়েই মধ্যম আয়ের শ্রেণিভুক্ত, তা বোঝা গেল না। নেপাল, তাঞ্জানিয়া বা জাম্বিয়ার মতো ১১০০-১২০০ ডলারের মাথাপিছু আয়সম্পন্ন দেশগুলোকে রাশিয়া, বুলগেরিয়া বা চীনের মতো প্রায় ১২০০০-১৩০০০ ডলারের দেশ হতে অনেক সময় দিতে হবে। অথচ ওরা একই শ্রেণিভুক্ত।
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে মধ্যম আয়ে পৌঁছার পর প্রতিটি দেশে ব্যাপক কাঠামোগত পরিবর্তন সাধিত হয়-আমাদের জীবনের কৈশোরের মতো। এই পরিবর্তনের ঝুঁকি অনেক বেশি। সঠিক ও সবল প্রতিষ্ঠান গড়ে যে দেশ এই পরিবর্তন চালিত করতে পারে, সে দেশই তরতরিয়ে উচ্চ আয়ে পৌঁছতে পারে। অধিকাংশ দেশই এতে ব্যর্থ হয়। কারণ, কোনো দেশ মধ্যম আয়ে পৌঁছানোর সঙ্গেই সে দেশের ধনিক ও ক্ষমতাবানদের লুণ্ঠন প্রবণতা বেড়ে যায়।
নিম্ন আয়ের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক ও দুর্বল প্রবৃদ্ধির শিকার বলে সেখানে এই লুটপাটের সুযোগ থাকে না বা কম থাকে। আবার উচ্চ আয়ের দেশে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও সবলতার কারণে সেখানে লুটপাট এতটা সহজ নয়। যত সুবিধা মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। আমাদের দেশের দিকে তাকালেও এর সাক্ষ্য মেলে। এই ‘রেন্ট সিকিং’ বা লুণ্ঠন, ব্যবসায়িক তস্করতা এবং রাজনৈতিক সাঙ্গপাঙ্গতা বা ‘ক্রৌনিইজম’-এর কারণে মধ্যম আয়ের যাত্রা শ্লথ হয় কিংবা কখনো আরও অধঃপতনে যায়। তাই একে ফাঁদ বলে মনে হয়।
মধ্যম আয়ের ফাঁদ বলতে প্রায় ১ হাজার ১০০ থেকে ১৩ হাজার ডলারের মাথাপিছু আয়ের মধ্যে আটকে থাকার ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে। মাঠের ব্যাঙ লাফাতে লাফাতে হঠাৎ কোনো কূপে আটকে যায়। আর লাফিয়ে উঠতে পারে না। সেটাকে ফাঁদে পড়া বলে।
বাংলাদেশ যে মধ্যম আয়ের দেশের সর্বনিম্ন সোপানে পা রাখতে সক্ষম হয়েছে, সেই সক্ষমতা এখনো টলমল, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কিংবা বড় কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় টলিয়ে দিতে পারে এই অবস্থান।
সেজন্য শুধু বস্তুতান্ত্রিক নির্ভরতাকে হিসেবে না নিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পূর্ণ তাওয়াক্কাল করতে হবে। পাশাপাশি দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ইত্যাদি ত্যাগ করে অবলম্বন করতে হবে ত্বাকওয়া। আর তাতে অচীরেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের কাছ থেকে তো বাঁচবেই বরং আশাতীত কম সময়ে হবে শীর্ষ সমৃদ্ধ দেশ ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উন্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
এদেশে যারা পহেলা বৈশাখের নামে বাঙ্গালীয়ানার হুজ্জোতে মেতে উঠে তারাই আবার ইংরেজী থার্টি ফার্স্ট নাইটের অশ্লীলতায় মজে থাকে। পহেলা বৈশাখের বাঙ্গালীয়ানা এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের খ্রীষ্টিয়ানা কোনটাই ৯৮ ভাগ মুসলমানের এদেশে চলতে পারে না। পশ্চিমা বিজাতীয় খ্রিষ্টানদের অপসংস্কৃতি থার্টি ফার্স্ট নাইট এদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিজাতীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ হারাম ও কুফরী তথা দেশের যুবসমাজের চরিত্র বিধ্বংসী।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে
২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সুন্দরবন ধ্বংসে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে ক্রমেই ছোট হচ্ছে সুন্দরবন, হুমকির মুখে জীববৈচিত্র্য আমাদের পরম প্রয়োজনীয় সুন্দরবন, এই সুন্দরবন বাঁচলে বাংলাদেশ ভালো থাকবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের ফুসফুস সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে ইনশাআল্লাহ
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে যাচ্ছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাড়ছে পরকীয়া, বাড়ছে তালাক সমাজে বাড়ছে কলহ-বিবাদ, শিথিল হয়ে পড়ছে পারিবারিক বন্ধন দ্বীনী মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজও বেশি বেশি করতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)