সুওয়াল-জাওয়াব
প্রসঙ্গ: নামাযের মাসায়িল
, ০৬ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৩ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ২১ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মাকরূহ ওয়াক্ত বলতে কি বুঝায়? কোন কোন সময় নামায, ছলাতুল জানাযা নিষেধ?
জাওয়াব:
মাকরূহ ওয়াক্ত বলতে নিষিদ্ধ ওয়াক্তকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ যে ওয়াক্ত বা সময়ে নামায পড়া ও ছলাতুল জানাযা পড়া নিষেধ। যেমন- সূর্য উদয়কালে, দ্বি প্রহরের সময় এবং সূর্যাস্তের সময়। উল্লেখিত তিন সময় সর্বপ্রকার নামায আদায় করা এবং মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াতে সিজদাহ তিলাওয়াত করা মাকরূহ তাহরীমী।
এ সর্ম্পকে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَـتَحَرَّى أَحَدُكُمْ فَـيُصَلِّيَ عِنْدَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَلَا عِنْدَ غُرُوْبِهَا وَفِيْ رِوَايَةٍ قَالَ: إِذَا طَلَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلَاةَ حَتّٰى تَـبْـرُزَ. فَإِذَا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَدَعُوا الصَّلَاةَ حَتّٰى تَغِيْبَ وَلَا تَحَيَّـنُـوْا بِصَلَاتِكُمْ طُلُوْعَ الشَّمْسِ وَلَا غُرُوْبَـهَا فَإِنَّـهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَـرْنَيِ الشَّيْطَانِ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ যেন সূর্য উদয়ের ও অস্ত যাওয়ার সময় ছলাত (নামায) আদায়ের জন্য চেষ্টা না করে। একটি বর্ণনার ভাষ্য এরকম যে, তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন নামায ত্যাগ করবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন নামায আদায় করা থেকে বিরত থাকবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় নামায পড়ার ইচ্ছা করবে না। কারণ সূর্য শয়তানের দু’ শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
অর্থাৎ “সূর্য শয়তানের দু’ শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়” এর ব্যাখ্যা হচ্ছে, কাফির-মুশরিক বা সূর্যপূজকরা ঐ সময় সূর্যের পূজা করে এবং শয়তান এসে সূর্যকে পিছনে রেখে এবং উপাসককে সম্মুখে করে উহা গ্রহণ করতে দাঁড়ায়।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ: ثَلَاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـنْـهَانَا أَنْ نُّصَلِّيَ فِيْهِنَّ أَوْ نَـقْبُـرَ فِيْهِنَّ مَوْتَانَا: حِيْنَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتّٰى تَـرْتَفِعَ وَحِيْنَ يَـقُوْمُ قَائِمُ الظَّهِيْـرَةِ حَتّٰى تَمِيْلَ الشَّمْسُ وَحِيْنَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوْبِ حَتّٰى تَـغْرُبَ
অর্থ: হযরত উকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামায আদায় করতে ও মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন। প্রথম হলো সূর্য উদয়ের সময়, যে পর্যন্ত না তা সম্পূর্ণ উদিত হয়। দ্বিতীয় হলো দুপুরে একবারে সূর্য ঠিক স্থির হওয়ার সময় থেকে সূর্য ঢলার আগ পর্যন্ত। আর তৃতীয় হলো সূর্য ডুবে যাওয়ার সময় যে পর্যন্ত না তা ডুবে যায়। (মুসলিম শরীফ)
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা দ্বারা মৃত ব্যক্তির জানাযার নামায পড়ানোকে বুঝানো হয়েছে।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِيْـنَةَ فَـقَدِمْتُ الْمَدِيْـنَةَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَـقُلْتُ: أَخْبِرْنِيْ عَنِ الصَّلَاةِ فَـقَالَ صَلِّ صَلَاةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلَاةِ حَتّٰى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَتّٰى تَـرْتَفِعَ فَإِنَّـهَا تَطْلُعُ حِيْنَ تَطْلُعُ بَـيْنَ قَـرْنَيْ شَيْطَانٍ وَحِيْـنَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُوْدَةٌ مَحْضُوْرَةٌ حَتّٰى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بِالرُّمْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلَاةِ فَإِنَّ حِيْـنَئِذٍ تُسْجَرُ جَهَنَّمُ فَإِذَا أَقْـبَلَ الْفَيْءُ فَصَلِّ فَإِنَّ الصَّلَاةَ مَشْهُوْدَةٌ مَحْضُوْرَةٌ حَتّٰى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلَاةِ حَتّٰى تَـغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّـهَا تَـغْرُبُ بَـيْنَ قَـرْنَيْ شَيْطَانٍ وَحِيْـنَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ
অর্থ: হযরত আমর ইবনে আবাসাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফে মুবারক তাশরীফ আনলে আমিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফে চলে আসলাম। এবং উনার নিকট উপস্থিত হলাম অতঃপর আমি বললাম, আমাকে নামায সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, ফজরের নামায আদায় করুন। এরপর নামায হতে বিরত থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য উঠে উপরে না আসে। কেননা, সূর্য উদয় হয় শয়তানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে। আর এ সময় কাফিররা (সূর্য পূজারীরা) একে সিজদা করে। অতঃপর (কিছু নফল) নামায পড়–ন। কেননা এ সময়ে (মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বান্দার) নামাযের উপস্থিতির সাক্ষ্য দেয়া হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ছায়া বর্শার উপর উঠে না আসে ও যমীনের উপর না পড়ে (অর্থাৎ ঠিক দুপুরের সময়)। এ সময়ও নামায হতে বিরত থাকুন। এজন্য যে, এ সময় জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। তারপর ছায়া যখন সামান্য ঢলে যাবে তখন নামায আদায় করুন। নামাযের সময়টা ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপস্থিতি ও সাক্ষ্য দেয়ার সময় যে পর্যন্ত আপনি আছরের নামায আদায় না করবেন। তারপর আবার নামায হতে বিরত থাকবেন সূর্য অস্তমিত যাওয়া পর্যন্ত। কারণ সূর্য শয়তানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে অস্ত যায়। এ মুহূর্তে সূর্যপূজক কাফিররা সূর্যকে সিজদা করে। (মুসলিম শরীফ)
উপরে উল্লেখিত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ সমূহের বর্ণনার আলোকে প্রতিভাত যে, সূর্য উদয়ের শুরু থেকে ঘড়ির মিনিট অনুযায়ী ২৩ মিনিট পর্যন্ত মাকরূহ ওয়াক্ত।
অনুরূপ যুহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টা পূর্ব পর্যন্ত মাকরূহ ওয়াক্ত।
একইভাবে সূর্য অস্তমিত যাওয়ার পূর্বে ২৩ মিনিট মাকরূহ ওয়াক্ত।
উক্ত তিন সময়ে সূর্যপূজারীরা সূর্যকে পূজা করে থাকে। যার কারণে উক্ত তিন সময়ে নামায পড়া, ছলাতুল জানাযা পড়া, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াতে সিজদাহ তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ তথা মাকরূহ তাহরীমী।
উল্লেখ্য, যে যে কারণে নামায ভঙ্গ হয়, সে সে কারণে তিলাওয়াতে সিজদাও ভঙ্গ হয়।
মাকরূহ ওয়াক্তে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত নিষেধ হওয়ার ক্ষেত্রে মূল যে কারণ তা হচ্ছে তিলাওয়াতে সিজদাহ। অর্থাৎ মাকরূহ ওয়াক্তে তিলাওয়াতে সিজদাহ সম্বলিত আয়াত শরীফসমূহ তিলাওয়াত করা মাকরূহ তাহরীমী। যেমন এ প্রসঙ্গে ‘তুহফাতুল ফিক্হ’্ কিতাবের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
لَوْ تَلَا اٰيَةَ السَّجْدَةِ فِيْ وَقْتِ غَيْرِ مَكْرُوْهٍ وَسَجَدَهَا فِيْ وَقْتٍ مَكْرُوْهٍ لَا يَجُوْزُ لِأَنَّـهَا وَجَبَتْ كَامِلَةً فَلَا تُـؤَدِّىْ نَاقِصَةً وَلَا تَلَا فِيْ وَقْتٍ مَكْرُوْهٍ وَسَجَدَهَا فِيْهِ جَازَ مِنْ غَيْرِ كَرَاهَةٍ
অর্থ: যদি কেউ পবিত্র আয়াতে সিজদা তিলাওয়াত করে মাকরূহ ওয়াক্ত ছাড়া এবং সিজদা করে মাকরূহ ওয়াক্তে, সেটা জায়িয হবে না। কেননা উক্ত তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হয়েছে কামেল বা পূর্ণ (মাকরূহবিহীন) ওয়াক্তে, তাই সেটা নাক্বিছ বা অপূর্ণ (মাকরূহ) ওয়াক্তে আদায় হবে না। আর কেউ মাকরূহ ওয়াক্তে তিলাওয়াত করেনি এবং মাকরূহ ওয়াক্তে সিজদাও করেনি সেটা মাকরূহ ছাড়াই বৈধ বা শুদ্ধ হয়ে যাবে।
অতএব, পবিত্র নামায, পবিত্র জানাযা ও মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার পবিত্র আয়াতে সিজদাহ কামেল বা পূর্ণ ওয়াক্তে পড়তে হবে। মাকরূহ ওয়াক্তে পড়া যাবে না। (দলীলসমূহ: বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ, মেরকাত শরীফ, হাশিয়ায়ে তাহতাবী, ফতহুল ক্বাদীর, ফতওয়ায়ে শামী, তুহফাতুল ফিক্হ্, শরহে হিন্দি-জাযরী, মুফীদুল ক্বারী, ওয়াসীলাতুল ক্বারী, ক্বারীউল-কুরআন ইত্যাদি)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উম্মু আবীহা, খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)