সুওয়াল-জাওয়াব:
প্রসঙ্গ: ইন্তেকালের পর পরিত্যক্ত সম্পত্তি বণ্টন
, ২১ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১০ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) শিক্ষামূলক জিজ্ঞাসা
সুওয়াল:
একজন পুরুষ অথবা একজন মহিলার ইন্তেকালের পর তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তি কিভাবে বণ্টিত হবে? জানতে বাসনা রাখি।
জওয়াব:
মহান আল্লাহ পাক তিনি পরিত্যক্ত সম্পত্তি বন্টন সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰهُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمْ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ ۚ فَاِنۡ کُنَّ نِسَآءً فَوۡقَ اثۡنَتَیۡنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَکَ ۚ وَ اِنۡ کَانَتۡ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصۡفُ ؕ وَ لِاَبَوَیۡهِ لِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَکَ اِنۡ کَانَ لَهٗ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّهٗ وَلَدٌ وَّ وَرِثَهٗۤ اَبَوٰهُ فَلِاُمِّهِ الثُّلُثُ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَهٗۤ اِخْوَةٌ فَلِاُمِّهِ السُّدُسُ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِيَّةً یُّوۡصِیۡ بِهَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ اٰبَآؤُکُمۡ وَ اَبۡنَآؤُکُمۡ لَا تَدۡرُوۡنَ اَیُّهُمۡ اَقۡرَبُ لَکُمۡ نَفۡعًا ؕ فَرِيْضَةَ مِّنَ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا
অর্থ মুবারক: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, একজন ছেলের জন্য দুইজন মেয়ের অংশের সমপরিমাণ। তবে যদি দুইয়ের অধিক মেয়ে হয়, তাহলে তাদের জন্য হবে, যা সে রেখে গেছে তার তিন ভাগের দুই ভাগ; আর যদি একজন মেয়ে হয় তখন তার জন্য অর্ধেক (যদি কোন ছেলে সন্তান না থাকে)। আর যদি তার সন্তান থাকে তার মাতা পিতা উভয়ের প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ যা সে রেখে গেছে তা থেকে। আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং তার ওয়ারিছ হয় তার মাতা পিতা তখন তার মাতার জন্য তিন ভাগের এক ভাগ। আর যদি তার ভাই বোন থাকে তবে তার মায়ের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ। অসীয়ত পালনের পর, যা দ্বারা সে অসিয়ত করেছে অথবা ঋণ পরিশোধের পর। (এ বন্টন হবে ওসীয়ত পূরণের পর বা ঋণ পরিশোধের পর) তোমাদের মাতা পিতা ও তোমাদের সন্তান সন্ততিদের মধ্যে তোমাদের উপকারে কে অধিক নিকটবর্তী তা তোমরা জান না। ইহা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে নির্ধারিত। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা শরীফ- আয়াত শরীফ নং ১১)
(একজন পুরুষের সম্পত্তির ওয়ারিশ হল পাঁচজন। যথা: পিতা, মাতা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে। উপরোক্ত পাঁচজন থাকলে আর অন্য কেউ সম্পত্তির ওয়ারিশ হবে না। )
যদি কোন মাইয়্যিতের পিতা ও ছেলে না থাকে, মা, স্ত্রী ও ২ মেয়ে থাকে।
তাহলে তার (মাইয়্যিতের) সম্পত্তি বন্টন হবে মা পাবেন- সমস্ত সম্পত্তির ৬ ভাগের ১ ভাগ, স্ত্রী পাবে- সমস্ত সম্পত্তির ৮ ভাগের ১ ভাগ, আর ২ মেয়ে পাবে- সমস্ত সম্পত্তির ৩ ভাগের ২ ভাগ। মা, স্ত্রী ও ২ মেয়ের ভগ্নাংশের হরের ল.সা.গু হয় ২৪। সুতরাং মা পাবেন সম্পত্তির ২৪ ভাগের ৪ ভাগ, স্ত্রী পাবেন সম্পত্তির ২৪ ভাগের ৩ ভাগ, আর ২ মেয়ে পাবে সম্পত্তির ২৪ ভাগের ১৬ ভাগ, অবশিষ্ট থাকে ১ ভাগ। বাবা নেই, বাবার স্থলাভিষিক্ত দাদাও নেই, ছেলে নেই, ছেলের স্থলাভিষিক্ত নাতিও নেই, তাই উক্ত ১ ভাগ মাইয়্যিতের ভাই-বোন পাবে। ভাই-বোন যদি না থাকে তাদের ছেলে মেয়ে পাবে। তারাও যদি না থাকে চাচা ফুফুরা পাবে। তারাও যদি না থাকে তাদের ছেলে মেয়েরা পাবে। কেউ না থাকলে রদ হবে অর্থাৎ অবশিষ্ট ১ ভাগ মা ও মেয়েদের মধ্যে বন্টন করতে হবে, তাদের হিসসা অনুযায়ী।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রসঙ্গ ছবি তোলা এবং ছবি সংরক্ষণ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গঃ ঘরের কাজে আহালের ভূমিকা
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : নামাযের পর ঘুরে বসা
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ মূর্তি-ভাস্কর্য দ্বীন ইসলামে নিষিদ্ধ
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সুওয়াল : নামাজে পুরুষ ও মেয়েদের হাত বাঁধার সুন্নত তরীক্বা কি?
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রসঙ্গ: মৃত ব্যক্তিকে দেখানো
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুওয়াল-জাওয়াব
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: আহলিয়া বা স্ত্রীকে তালাক দেয়া
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সুওয়াল-জাওয়াব
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)