প্ররোচনা ও উসকানি কি? প্ররোচনা ও উসকানি দাতাদের আইনগত শাস্তি কি?
, ০৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৪ ছানী, ১৩৯১ শামসী সন , ২৩ জুলাই, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আইন ও জিহাদ
কিছু মানুষ আছে তাদের নিত্যদিনের কাজ হলো মানুষের সাথে মিশে মানুষকে বিভিন্ন অপরাধের দিকে প্ররোচনা ও উসকিয়ে দেওয়া। আর এসব প্ররোচনা ও উসকানি নিয়ে যাবে বিভিন্ন অপরাধের দিকে।
প্ররোচনা:
প্রত্যক্ষভাবে অপরাধ কাজের সঙ্গে যাদের সংযোগ পাওয়া যায়, আমরা শুধু তাদেরকে দ-যোগ্য আসামি বলে মনে করি। কিন্তু একটি অপরাধের পেছনে থাকতে পারে বহু ব্যক্তির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহায়তা। কেউ আবার আড়ালে-আবডালে থেকে কলকাঠি নাড়েন এবং অপরাধ কাজে প্ররোচনা দিতে থাকেন। অপরাধ কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ব্যক্তিটির মতোই সহায়তা বা প্ররোচনাদানকারীরাও সমান অপরাধী।
দন্ডবিধির ১০৭ ধারা অনুসারে, অপরাধকাজ সংঘটনের আগে বা সংঘটনের সময়ে দেয়া সহায়তা হিসেবে গণ্য হয়। মূল অপরাধীর মতো সহায়তাকারীরও একই রকম সাজা হবে, এটাই আইনের সাধারণ নিয়ম।
অপরাধ সংঘটনের আগে কিংবা অপরাধ সংঘটনের সময়ে (কিন্তু পরে নয়) অপরাধকাজে সহায়তা দান করা দন্ডনীয় অপরাধ। ‘সহায়তা’ বলতে সাধারণত বস্তুগত সহায়তা বোঝানো হয়। যেমন, অপরাধকাজে হাতিয়ার জোগানো, মৌখিকভাবে ফুসলিযে দেওয়া, তবে এর পাশাপাশি অন্যান্য ছোটখাটো সাহায্যও এর অন্তর্ভুক্ত। যেমন, অপরাধীর হয়ে প্রহরীর কাজ করা কিংবা অপরাধীর সাহায্যে ঘটনাস্থলে গাড়ি বা কোনো যানবাহন নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অপরাধকাজে প্ররোচনাদাতা ও সাহায্যকারীরা ‘অপরাধসহায়ক’ হিসেবে গণ্য হয় এবং তাদেরও বিচারের আওতাভুক্ত করা হয়।
কেবল অপরাধস্থলে উপস্থিতিই অপরাধকাজে প্ররোচনা ও সহায়তাদান হিসেবে গণ্য হয় না। যেমন ধরুন সন্ত্রাসীরা রাস্তায় একজনকে হত্যা করল। তার আগে তারা চারপাশে এমন ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছিল যে আশপাশে থাকা লোকজন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারল না। কেবল হত্যাকা-টির তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে হলো। এ ক্ষেত্রে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন প্ররোচনা বা সহায়তার দায়ে দোষী হবে না।
আবার অপরাধকাজে প্ররোচনা ও সহায়তা দেয়ার দোষে অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অপরাধমূলক অভিসন্ধি থাকার কোনো আবশ্যকতা নেই, উদ্দিষ্ট ব্যক্তি অপরাধে প্ররোচনা ও সহায়তা দিয়েছেন, এ জ্ঞানটুকু থাকাই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট। যেমন ধরুন ‘ক’ ও ‘খ’ দুই বন্ধু। ‘খ’ তার স্ত্রীকে হত্যার জন্য ‘ক’-এর কাছ থেকে অস্ত্র ধার করল। কাউকে হত্যা করা হবে, এটি জেনেও ‘ক’ তার বন্ধু ‘খ’কে অস্ত্র দিলে ‘ক’কে সহায়তাকারী হিসেবে সাজা পেতে হবে।
প্ররোচনার শাস্তি:
১৮৬০ সালের দ-বিধিতে অপরাধের প্ররোচনা ও সহায়তা বিষয়ে বেশকিছু মূলনীতি বর্ণিত রয়েছে। ১০৭ ধারায় অপসহায়তা বা প্ররোচনার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা হয়েছেথ যে ব্যক্তি কোনো বিষয় সম্পাদনের জন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করে; কোনো বিষয় সম্পাদনের জন্য অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়, কিংবা কোনো কাজ করা বা না করার মধ্য দিয়ে ওই বিষয়টি সম্পাদনে ইচ্ছাকৃতভাবে সাহায্য করে, সেই ব্যক্তি ওই বিষয় সম্পাদনের জন্য প্ররোচনা দেয় বা অপসহায়তা করে। যে ব্যক্তি এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা প্রকাশ করতে সে বাধ্য, তা স্বেচ্ছাকৃতভাবে গোপন করে কোনো বিষয় সম্পাদন করার ব্যবস্থা করে বা করায় কিংবা তা সম্পাদনকরণের বা সম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়, সেই ব্যক্তি ওই বিষয়-সম্পাদনে প্ররোচনা দান করে বলে বিবেচিত হবে।
শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি কোনো কাজ সম্পাদনের সময় ওই কাজ সম্পাদন সহজ করার জন্য কোনো কিছু করে এবং তার মাধ্যমে তার সম্পাদন সুগম করে, সেই ব্যক্তিও ওই কাজ সম্পাদনে সহায়তা করেন বলে বিবেচিত হবে।
দ-বিধির ১০৮ ধারা অনুসারে, যে ব্যক্তি কোনো অপরাধ সংঘটনে বা ‘অপরাধ বলে গণ্য কোনো কাজ’ সংঘটনে সহায়তা করে, তখন ধরে নেয়া হবে যে সেই ব্যক্তি অপসহায়তা করেছে, যদি ওই অপরাধ-কাজটি অপসহায়তাকারী ব্যক্তির মতো একই ইচ্ছায় বা জ্ঞানে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে ‘আইনত সমর্থ ব্যক্তি’ কর্তৃক সংঘটিত হয়।
কোনো কাজ থেকে বেআইনিভাবে বিরত থাকার মধ্য দিয়ে অপসহায়তার অপরাধ সংঘটিত হতে পারে, যদিও অপসহায়তাকারী ব্যক্তি ওই কাজ করার জন্য স্বয়ং বাধ্য ছিলো না।
অপসহায়তার অপরাধ সংঘটনের জন্য এটি জরুরি নয় যে, অপসহায়তাকৃত কাজটি সংঘটিত হবে বা অপরাধ-সংঘটনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিণতি ঘটতে হবে। যেমন, রাজীব নামের একজন খালিদকে হত্যার জন্য শাহেদকে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু শাহেদ সেই প্ররোচনা প্রত্যাখ্যান করেন। এখানে অপরাধটি সংঘটিত না হওয়া সত্ত্বেও রাজীব দোষী সাব্যস্ত হবে।
যাকে অপসহায়তা করা হয়েছে, তাকে অপরাধ সংঘটনের জন্য আইনত সমর্থ হওয়া জরুরি নয় কিংবা অপসহায়তাকারীর মতো তারও একই রকম দুষ্ট অভিপ্রায় বা জ্ঞান থাকা জরুরি নয়। যেমন সুস্থ জ্ঞানসম্পন্ন ফরিদ যদি কোনো শিশুকে হত্যার জন্য নিয়োগ করেন, তখন ওই শিশু কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের দায়ে শিশুটি দায়ী না হলেও ফরিদকে ঠিকই দায়ী করা হবে।
অপসহায়তা ‘অপরাধ’ হিসেবে গণ্য হয় বলে একইভাবে অপসহায়তার অপসহায়তাও অপরাধ বলে গণ্য হবে। যেমন, ‘ঘ’কে হত্যা করল ‘গ’, যাকে প্ররোচনা দিয়েছিল ‘খ’, আবার ‘খ’কে নিয়োগ করেছিল ‘ক’। সুতরাং প্ররোচনার অপরাধে ‘ক’ ও ‘খ’ উভয়ে দায়ী হবে।
ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অপসহায়তার অপরাধ সংঘটনের জন্য অপসহায়তাকারী ওই অপরাধ সংঘটনকারীর সঙ্গে একত্রে তা সংঘটন করা জরুরি নয়। যে ষড়যন্ত্রের অনুসরণে ওই অপরাধ সংঘটিত হয়, সে ষড়যন্ত্রে তার যোগদানই যথেষ্ট বলে গণ্য হবে। সুতরাং প্ররোচনাকারী দূরে থেকে প্ররোচনা বা সহায়তা দিলেও তাকে সাজা পেতে হবে।
দন্ডবিধির ১০৮ক ধারা অনুসারে, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে অবস্থান করে যদি ভিন্ন দেশের এমন কোনো অপরাধে সহায়তা করেন, যা বাংলাদেশেও অপরাধ বলে বিবেচিত হয়, সে ক্ষেত্রে তিনি অপসহায়তার অপরাধে অপরাধী হবেন। দ-বিধির ১০৯ ধারা অনুসারে, যে ব্যক্তি কোনো অপরাধে অপসহায়তা করলে যদি তার ফলে কাজটি সংঘটিত হয় এবং আইনে ওই অপসহায়তার শাস্তির বিধান বর্ণিত না থাকে, তাহলে অপসহায়তাকারী সংঘটিত অপরাধের জন্য প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করবেন। প্ররোচনা বা ষড়যন্ত্রের ফলে বা অপসহায়তকারীর সহযোগিতার ফলে যে কাজ বা অপরাধ সংঘটিত হয়, তা অপসহায়তার ফলে সংঘটিত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৩৯ ধারা অনুসারে অপরাধকারী ও অপসহায়তাকারীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে অভিযোগ গঠন করা যায়।
উসকানি:
দ-বিধির ১০৭ ধারায় প্ররোচনার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘‘যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে অপরাধ সংঘটনের জন্য সহায়তা করে, পরামর্শ দেয় বা উসকানি দেয় কিংবা ষড়যন্ত্র করে বা কার্যবিরতির দ্বারা অপরাধ সংঘটনের পথ সুগাম করে দেয় তবে তাকে প্ররোচনা বলে।
এই সংজ্ঞায় স্পষ্ট যে, কোনো অপরাধে প্ররোচনা দেয়া যায় উসকানির মাধ্যমে। আর এর শাস্তি মূল অপরাধের সমান। অপরাধটি সংঘটিত না হলেও উসকানির অপরাধে সাত বছরের শাস্তির বিধান আছে।
উসকানির শাস্তি:
দ-বিধির ৫০৫ এবং ৫০৫ (ক) ধারায় উসকানির মাধ্যম বলা আছে। তাতে বলা হয়েছে উসকানি হতে পারে মৌখিক এবং লিখিত উভয় প্রকার।
অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়ও উসকানির বিষয়টি রয়েছে। এই আইনে ইলেক্ট্রনিক বিন্যাস ব্যবহার করে উসকানি দেয়ার বিষয়টি অপরাধ হিসেবে গণ্য। আর এটি কোনো ব্যক্তি, রাষ্ট্র বা ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়ে হতে পারে। আর এর শাস্তি মূল অপরাধের সমান। অপরাধটি সংঘটিত না হলেও উসকানির অপরাধে সাত বছরের শাস্তির বিধান আছে।
২
সুইডেনে বারবার কোরআন শরীফ অবমাননায় বাংলাদেশের নিন্দা
আল ইহসান ডেস্ক:
সুইডেনে বারবার পবিত্র কোরআন শরীফের প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
গত জুমুয়াবার (২১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সুইডেনে পবিত্র কোরআন শরীফে প্রকাশ্যে অবমাননার আরেকটি ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে মুসলমানদের পবিত্র মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীকের অবমাননার এ ধরনের ইসলামফোবিক কর্মকা-ের পুনরাবৃত্তির বিষয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে।
ইসলাম শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, যেকোনো পরিস্থিতিতে ধর্মের স্বাধীনতাকে সমুন্নত ও সম্মান করতে হবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট সকলকে অযৌক্তিক উস্কানি থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগেও সুইডেনের পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশ নিন্দা জানিয়েছিল। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাসের কূটনীতিককে তলবও করা হয়েছিল।
এরপর গত ২০ জুলাই সুইডেনে আবারও কোরআন শরীফের অবমাননা করা হয়েছে। এ ঘটনায়ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিল বাংলাদেশ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৭)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৫)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৪)
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৩)
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (২)
২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (১১)
১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (১)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ বিজয় (১০)
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)