মন্তব্য কলাম
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন “কোনদিন ভাবতে পারিনি এতগুলো তাজা প্রাণ ঝড়ে যাবে”। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে হয়- “প্রশাসন দেখুন কত সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবি মানুষ এমনকী কচি দুধের শিশুকে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে”। স্বজন হারা এক প্রধানমন্ত্রী এত স্বজন হারাদের কত স্বান্তনা দিবেন? বঙ্গবন্ধুর ভাষায় জিজ্ঞাসা করতে হয় ‘কি অন্যায় করেছিল তারা?
, ২৭ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ০৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মন্তব্য কলাম
২০১৭ সালে ইউনেস্কো ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া.......
ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
অভিজ্ঞমহলের মতে বর্তমান কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় মৃতদের ঘটনার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের প্রাসঙ্গিক অংশ বিশেষ নীচে তুলে ধরা হলো-
আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে।
(কোটা আন্দোলনে প্রাসঙ্গিকতা- বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে এই পর্যন্ত ২০৯ জনেরও অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছে, ‘যেহেতু স্বজন হারিয়েছি আমি জানি কষ্ট তাই আমি যারা আপনজন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্থাপনা ধ্বংস করেছে, সেগুলো পুনর্গঠন করা যাবে কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল সেগুলো তো আমরা ফিরে পাবো না।’ .......
আমি কোনোদিন ভাবতে পারিনি এসময় এধরনের একটা অবস্থার সৃষ্টি হবে। আর সেখানে এতগুলো তাজা প্রাণ যাবে।')
..... আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।
কী অন্যায় করেছিলাম?
(কোটা আন্দোলনে প্রাসঙ্গিকতা- কোটা আন্দোলনে নিহিত ফুলের মত পবিত্র শিশু ও সাধারণ মানুষ কী অন্যায় করেছিল....... )
১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। (কোটা আন্দোলনে রংপুরের আবু সাইদ সহ শতাধিক ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে .......)
মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। (কোটা আন্দোলনে প্রাসঙ্গিকতা- কোটা আন্দোলনকারীদের ভাষায় তারা রক্ত দিতে শিখেছে) এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্। .......
আপনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, দেখে যান কীভাবে আমার গরিবের উপরে, আমার বাংলার মানুষের উপরে গুলি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কোটা আন্দোলনে ১৪৭ জন মারা গেছেন।
কী করে আমার মায়ের কোল খালি করা হয়েছে।....
কোটা আন্দোলনে প্রাসঙ্গিকতা- বঙ্গবন্ধু যে মায়েদের বুক খালি করার কথা বলেছেন তারা যে সন্তান হারিয়েছে তারা যথেষ্ট প্রাপ্ত বয়স্ক। কিন্তু কোটা আন্দোলন সহিংসতায় নিস্পাপ। ফুলের মত সমুজ্জল।
চাঁদের মতো হাস্যোজ্জল।
তারার ঝিকিমিকির মতো সমুজ্জল।
যারা আগামীদিনের দেশের সম্পদ। তারা বিকশিত না হতেই ঝড়ে পড়ল।
কোটা আন্দোলনে ফুলের মত নিষ্পাপ শিশুদের মৃত্যুতে গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে- “ফুল হয়ে ফোটার আগেই ঝরল ওরা” .......
আহাদ, রিয়া, সামির, হোসাইন, মোবারক, তাহমিদ, ইফাত ও নাঈমা নামের ফুলের মতো শিশুগুলো সবে ফুটছিল। তবে আর বিকশিত হতে পারেনি। বুলেটের আঘাতে ছোট্ট জীবনগুলো ঝরে গেছে কুঁড়িতেই। বাবার কোলের মতো নিরাপদ আশ্রয়েও তাদের আঘাত করেছে ঘাতক বুলেট। আবার কারফিউ মেনে ঘরের কোণে থেকেও কারও জীবনসৌরভ মুছে গেছে বারুদের গন্ধে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৯ শিশু গুলিতে নিহত হয়েছে। তাদের বয়স ৪ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই তারা গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত চারজন মারা গেছে নিজ বাড়িতেই। চারজন গুলিবিদ্ধ হয় সড়কে। সব ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গেছে এই শিশুদের। এখনও চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ এমন কিছু শিশু।
আন্দোলনে যোগ দেওয়া ১৮ বছরের কম বয়সের কয়েকজন নিহত হওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৬ বছরের ইফাত ২০ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে নিহত হয়। তাকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে বুকের বাঁ পাশে গুলি করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন। ইফাত নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মা কামরুন নাহার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। সে রাস্তায় পড়ে থাকা আহত একজনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। তবু তার বুকে গুলি করা হলো।’
মা-বাবার মাঝ থেকেই প্রাণ কাড়ল বুলেট
চার বছরের আবদুল আহাদের মৃত্যু পাষাণকেও কাঁদাচ্ছে। যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ এলাকায় ১১ তলা একটি বাড়ির আট তলার ভাড়া বাসায় থাকে তার পরিবার। ১৯ জুলাই বিকেলে পরিবারের সবাই বাসায় ছিলেন। সে সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ চলছিল। কী হচ্ছে দেখতে আর সবার মতো উৎসুক হয়ে ছোট্ট আহাদও বারান্দায় গিয়েছিল। এক পাশে ছিল বাবা, অন্য পাশে মা। হঠাৎ ঘাতক বুলেট তার ডান চোখে লাগলে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে শিশুটি।
চিকিৎসকরা জানান, গুলি চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার ভেতর আটকে গেছে। ২০ জুলাই রাতে আহাদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আবুল হাসান বলেন, ‘সবকিছু যেন চোখের পলকে ঘটে গেল। আমার আদরের ছোট ছেলেকে হারালাম। এ নিয়ে আর কী বলব!’
বাবার কোলও থাকেনি নিরাপদ
নারায়ণগঞ্জের ছোট্ট শিশু রিয়ার বয়স হয়েছিল সবে ৬ বছর। স্কুলে যেতে শুরু করেছিল। পুতুলের মতো মেয়েটি ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় বাড়ির ছাদে খেলছিল। গোলাগুলি শুরু হলে বাবা তাকে কোলে নেন। হঠাৎ একটি গুলি এসে লাগে রিয়ার মাথায়। ওই দিনই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৫ জুলাই নিভে যায় রিয়ার জীবনপ্রদীপ।
সন্তান হারানোর হাহাকার বুকে নিয়ে রিয়ার বাবা বলেন, পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মেয়েটা চার তলা বাড়ির ছাদে গিয়েছিল। তাতেই চলে গেল জীবনটা। এই শোক কী করে সইব?
ঘরে যমদূত বুলেটের হানা
টিয়ার গ্যাসের শেলের ধোঁয়া ঘরে আসা ঠেকাতে ১১ বছরের সাফকাত সামির জানালা বন্ধ করতে গিয়েছিল। তখনই একটি গুলি এসে বিদ্ধ করে তাকে। চোখ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুলি লাগে ঘরে থাকা চাচা ১৭ বছরের মশিউর রহমানের কাঁধেও।
মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত সামির। তার পরিবার থাকে রাজধানীর মিরপুরে কাফরুল থানা-সংলগ্ন বাড়িতে। ১৯ জুলাই ওই এলাকায় পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছিল। পুলিশ এক পর্যায়ে বুলেট ছোড়ে। তাতে ঘরের মধ্যেই প্রাণ যায় সামিরের।
‘আমি ছোট্ট, আমারে কে গুলি করবে’
২০ জুলাই পড়ন্ত বিকেল। তখনও টিয়ার শেলের গ্যাসে রাজধানীর চিটাগং রোড এলাকা ধোঁয়াচ্ছন্ন। ‘বুকের মানিক’ ১০ বছরের হোসাইনের খোঁজে দিগি¦দিক ছুটছেন বাবা মানিক মিয়া। বিকেল গড়িয়ে রাত, সংঘর্ষ তখন আরও তীব্র। মানিক মিয়া আবার খোঁজ নিয়ে জানলেন, বাসায় ফেরেনি ছেলে। এর পর স্ত্রীকে নিয়ে রাতে ফের খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
৯টার দিকে কেউ একজন মোবাইল ফোনে আহত হোসাইনের ছবি দেখান। সহিংসতার মধ্যে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মানিক পৌঁছান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এক চিকিৎসকের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, চিটাগং রোড থেকে আসা আহতদের চিকিৎসা চলছে। রাত ২টার পর এক লোক এসে মানিক মিয়াকে মর্গে নিয়ে যান। সেখানে লাশের স্তূপে পান তার ছেলের গুলিবিদ্ধ শরীর।
হোসাইনের বাবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার বরিশল গ্রামে। তার নানার বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বেতরা গ্রামে। মা-বাবার সঙ্গে চিটাগং রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকত সে।
মা মালেকা বেগম বলেন, ‘ভাত খেয়ে ঘরে থাকতে বলছিলাম। ছেলে বের হয়ে যায়। আমি বারবার ডেকে ঘরে আনার জন্য যাই আর বলি, বাবা, রাস্তায় গোলাগুলি হচ্ছে, তুই বাসায় চলে আয়। ছেলে বলে, মা, আমি ছোট্ট। আমারে কে গুলি করবে?’
আন্দোলন দেখতে গিয়ে আর ফিরল না মোবারক
১৩ বছরের দুরন্ত কিশোর মোবারক হোসেন ১৯ জুলাই অন্য অনেকের মতো রাজধানীর কাঁঠালবাগান ঢাল এলাকার বাসা থেকে অদূরে কারওয়ান বাজার মোড়ে গিয়েছিল আন্দোলন দেখতে। সেই দিন বিকেল ৫টার দিকে ছেলের মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পান মা ফরিদা বেগম।
বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, ‘খ্যালতে যাওয়ার সময় না হয় আন্দোলন দ্যাখতে গ্যাছেই। আমার পুলারে গুলি কইরা ক্যান মারছে? মিছিল দেখতে গ্যাছে- অয় যদি অপরাধ কইরা থাহে, এক-দুইডা থাপ্পড় দিয়া খেদায় দিত। মাথার মধ্যে গুলি করল ক্যান?’
পাঁচ ভাইবোনের সবার ছোট মোবারক দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া করতে পারেনি। মা-বাবার সঙ্গে থেকে গরুর খামার দেখাশোনা করত।
গুলিতে ঝাঁজরা তাহমিদের বুক
গত ১৮ জুলাই নরসিংদী শহরে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ১৪ বছরের তাহমিদ ভূঁইয়া। সে পড়ত নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের (এনকেএম) নবম শ্রেণিতে। ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নরসিংদীর জেলখানা মোড় এলাকায় জড়ো হয়েছিল আন্দোলনকারীরা। তাহমিদ সেখানে গিয়েছিল সহপাঠীদের সঙ্গে। পরে পুলিশের ছররা গুলিতে তার বুক ঝাঁজরা হয়ে যায়।
তাহমিদের লাশ হাসপাতাল থেকে নিয়ে পরে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে আন্দোলনকারীরা। তাতেও পুলিশ গুলি করে। মৃত্যুর পর আবার গুলিবিদ্ধ হয় তাহমিদ।
বারান্দায় নাইমার ঘাতক হয়ে আসে বুলেট
রাজধানীর উত্তরায় বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৯ জুলাই নিহত হয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাঈমা (১৬)। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আমুয়াখান্দা উত্তরপাড়ায়।
নাঈমার মা আইনুন নাহার বলেন, বাসার সামনের সড়কে সংঘর্ষ হচ্ছিল। তা দেখতে চার তলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেয়ের মাথায় গুলি লাগে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। নাঈমার বাবা চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা দেওয়ান বলেন, সন্তানদের মানুষ করতে গ্রাম থেকে ঢাকায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়ে লাশ হয়ে ফিরল। এর দায় কার?
কৌতূহলবশত বেরিয়ে লাশ সাদ
২০ জুলাই বিকেলে সাভারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় শাহীনবাগ এলাকায় বাড়ির পাশের চাপাইন সড়কে ধোঁয়া দেখে কৌতূহলবশত সড়কের নিউমার্কেটের পাশে যায় ১৪ বছরের সাদ মাহমুদ। সেখানে পৌঁছাতেই তার বাঁ পায়ে গুলি লাগে। স্থানীয়রা এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সাদের বাবার নাম বাহাদুর খান। তার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা খানপাড়ায় হলেও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার জন্য শাহীনবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তিন সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে ছিল সাদ। সে শাহীনবাগ এলাকায় জাবালে নূর দাখিল মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাপবিত্র রওজা শরীফ ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফের পবিত্র ভূমি জাজিরাতুল আরবকে অপবিত্র করে দিন দিন পরিণত করা হচ্ছে অবাধ পাপাচারের পঙ্কিলরাজ্যে নাউযুবিল্লাহ! কা’বা শরীফের আদলে তৈরি মঞ্চে চলছে খোলামেলা পোশাকে ফ্যাশন শো, উদ্দাম কনসার্ট, বিক্রি হয়েছে ৩৬ লাখ কোটি টাকার ভারতীয় সিনেমার টিকিট; পালিত হচ্ছে হ্যালোইনও! নাউযুবিল্লাহ!
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ : কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের ধারণা ও ক্বিয়ামতের তথ্য
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার অনবদ্য তাজদীদ ‘আত-তাক্বউইমুশ শামসী’ সম্পর্কে জানা ও পালন করা এবং শুকরিয়া আদায় করা মুসলমানদের জন্য ফরয। মুসলমান আর কতকাল গাফিল ও জাহিল থাকবে?
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রসঙ্গ: ভয়ঙ্কর জেদ, মহা দাম্ভিকতা, চরম সীমালঙ্ঘন, প্রতিহিংসা, ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ইত্যাদি কুরিপুর কারণে সরকারের পতন কিন্তু কুরিপুর সংজ্ঞা, প্রতিকার, পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়ার বর্ণনা সংবিধানে তথা রাষ্ট্রীয় কোন কিতাবে নেই তাহলে রাষ্ট্রের সংস্কার হবে কীভাবে? নাগরিক সুরক্ষা হবে কেমনে?
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার আলোকে- সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ উনাদের কতিপয় ফযীলত মুবারক বর্ণনা।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১লা জানুয়ারি ২০২৫ থেকে সুইজারল্যান্ডে মুখ ঢেকে রাখলেই প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা (নাউযুবিল্লাহ) বোরকা পড়াকে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপীয় দেশ পর্দার আড়ালে নারীদের বন্দী, বৈষম্য এবং পিছিয়ে পড়ার অপবাদ দিলেও বাস্তবতা হচ্ছে গোটা ইউরোপ-আমেরিকায় নারীর প্রতি বৈষম্য হয়রানি, সহিংসতা, অত্যাচার আর ব্যভিচারের মাত্রা ভয়াবহ পশ্চিমাদের বোরকা নিষিদ্ধের প্রবনতা শুধুই ইসলাম আর মুসলিম বিদ্বেষ (পর্ব-১)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)