খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ঈমানদাররা! তোমরা ছদিক্বীন বা সত্যবাদী অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো।
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্যই ফরয- একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ছোহবত ইখতিয়ার করে ও নিয়মিত সবক আদায় করে ইছলাহ ও নিসবত হাছিল করা।
, ২৮ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১০ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২৬ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মানুষের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সেটা আলাদা মাসয়ালা। কিন্তু শর্ত হচ্ছে ঈমানের সাথে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি করা যাবে না। ঈমানের সাথে যেতে হলে ইলম অর্জনের সাথে সাথে একজন হক্কানী-রব্বানী মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হয়ে তরীক্বা অনুযায়ী যিকির-আযকার করতে হবে। তরীক্বার প্রাথমিক যিকির, পাছ-আনফাছ এবং ইশা ও ফজর বাদ ১০০ বার করে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর ১০০ বার পবিত্র দরূদ শরীফ উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত পয়দা হবে এবং ফজর উনার নামাযের পর ১০০ বার পবিত্র দরূদ শরীফ উনার দ্বারা আল্লাহওয়ালা উনাদের মুহব্বত পয়দা হবে। আর পবিত্র পাছ-আনফাছ যিকির উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পয়দা হবে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে আমরা সরল পথ চাই, নিয়ামতপ্রাপ্ত উনাদের পথ চাই। নিয়ামতপ্রাপ্ত হচ্ছেন, হযরত নবী, ছিদ্দীক, শহীদ, ছলেহীন উনারা। উনাদের পথ আমরা চেয়ে থাকি। হযরত নবী আলাইহিমুস্ সালাম উনারা হচ্ছেন এক তবক্বা, আর ছিদ্দীক, শহীদ ছলেহ উনারা হচ্ছেন হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের তবক্বা। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন ১৭ রাকায়াত ফরয নামায, বিতর তিন রাকায়াত, আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা বারো রাকায়াত নামায আদায় করি। তাহলে কমপক্ষে প্রতিদিন ৩২ রাকায়াত নামাযে ৩২ বার মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বলি, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের সরলপথ প্রদর্শন করুন।” অর্থাৎ হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের পথ আমাদেরকে দান করুন। আমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে এ দোয়া করি। শুধু মুখে মুখে দোয়া করলেই চলবে না। সাথে সাথে কাজও করতে হবে। অর্থাৎ সর্বদা পাছ আনফাছ যিকির করতে হবে এবং প্রতিদিন পবিত্র ইশা ও ফজর নামাযের পর পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র পাছ-আনফাছ যিকির করতে সময় লাগে না। এটা চলাফেরা, ওঠা-বসা সব সময় করা যায়। শোয়ার সময় করলেও আস্তে আস্তে জারি হয়ে যায়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে করা যেতে পারে। পড়াশুনার সাথে সাথে সব সময় করা যেতে পারে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “পবিত্র আরশে মুয়াল্লা উনার সামনে একটা নূরের স্তম্ভ বা খুঁটি আছে, যখন কেউ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ উনার যিকির করতে থাকে তখন খুঁটিটি কাঁপতে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি খুঁটিকে জিজ্ঞাসা করেন, হে খুঁটি! তুমি কাঁপো কেন? খুঁটি উত্তর দেয়, হে মহান আল্লাহ পাক! আপনার অমুক বান্দা পবিত্র কালিমা শরীফ উনার যিকির করছে সেজন্য আমি কাঁপছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে খুঁটি! তোমার কাঁপা বন্ধ করো। খুঁটি বলে, হে মহান আল্লাহ পাক! আমি কাঁপা বন্ধ করবো তাকে ক্ষমা করলে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যাও তাকে ক্ষমা করে দিলাম।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইশা উনার নামায বাদ পবিত্র দরূদ শরীফ পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর রাতে শোয়ার আগে ১০, ১১, ১২, ১টা পর্যন্ত পড়া যেতে পারে। আর পবিত্র ফজর নামায বাদ পবিত্র দরূদ শরীফ ৭, ৮, ৯, ১০টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ে নিলে কোন অসুবিধা নেই। আর পাছ-আনফাছ অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সবক্ব নিতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্যই ফরয- একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ছোহবত ইখতিয়ার করে ও নিয়মিত সবক আদায় করে ইছলাহ ও নিসবত হাছিল করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস অত্যন্ত জওক-শওক এবং সাখাওয়াতির সাথে ব্যাপকভাবে উদযাপনে সার্বিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা।।
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবত্রি সুন্নত মুবারক পালনরে অফুরন্ত ফযীলত মুবারক।
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উত্তম কথা উত্তম গাছরে ন্যায় ফলদায়ক।
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না। " পরকালরে তুলনায় দুনযি়াবী সম্পদ অতি সামান্য।
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যখন তোমরা কাউকে আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালি দিতে দেখবে তখন তোমরা বলবে, তোমাদের এ মন্দ কাজের জন্য তোমাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তিরস্কার করা, গালমন্দ করা কঠিন লা’নতের কারণ।
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বর্তমানে মুসলমানরা যে সারাবিশ্বে ইহুদী-নাছারাদের দ্বারা যুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার একটাই কারণ- মুসলমানরা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ!¬
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পর্দা বা বোরকা মুসলমানগণ উনাদের দ্বীনি অধিকার আর খাছ করে মুসলিম মহিলাগণ উনাদের সম্মান এবং ব্যক্তিত্বেরও প্রতীক।
১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অন্তর থেকে বদ খাছলতসমূহ দূর করে দিয়ে পবিত্র নেক খাছলতসমূহ পয়দা করার মাধ্যমেই হাক্বীক্বী ইছলাহ বা পরিশুদ্ধতা লাভ সম্ভব। মুহলিকাতের (বদ খাছলত) কারণে ক্বলব বিনষ্ট হয়। আর মুনজিয়াতের (নেক খাছলত) কারণে ক্বলব পরিশুদ্ধ হয়।
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফা‘য়াতকারী হবো। ” সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
১৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত হযরত বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সমুন্নত শান-মান মুবারক নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ করা, উনাদের সমালোচনা করা সুস্পষ্ট হারাম, কুফরী ও কবীরাহ গুণাহ এবং কঠিন লা’নতগ্রস্ত হওয়ার কারণ। মূলত, উনারাই হচ্ছেন ঈমান এবং জান্নাতের মালিক। উনাদের প্রতি ঈমান না আনলে ঈমানদার হওয়া যায়না। জান্নাতীও হওয়া যায়না।
১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)