প্রকৃত আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়াত উনাদের ছহীহ্ আক্বাঈদ
, ০৪ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১০ খ্বমিস , ১৩৯২ শামসী সন , ০৮ অক্টোবর , ২০২৪ খ্রি:, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র ঈমান গ্রহণের পর আক্বীদা শুদ্ধ করার বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُواْ اٰمِنُواْ بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهِ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনয়ন করুন এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতিও। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ-পবিত্র আয়াত শরীফ ১৩৬)
এখানে ঈমানদারদের ঈমান আনয়নের কথা বলা হয়েছে তথা আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। উল্লেখিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্ট যে মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত ঈমানদারদেরকে পুনরায় ঈমান আনয়ন করার কথা ইরশাদ মুবারক করেছেন যে- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ তথা ঈমানদারদেরকে আক্বীদা শুদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে। এজন্য যে আক্বীদা যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে কোন আমলই গ্রহণ করা হবে না। এজন্যই আক্বীদা বিশুদ্ধ করে আমল করতে হবে। আর আক্বাঈদ বিশুদ্ধ করে আমল করলে তা কবুল করা হবে এবং উনারাই নাজাত পাবেন। তাই প্রকৃত আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াত উনাদের ছহীহ আক্বাইদসমূহ সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনার কোশেশ করছি-
আক্বাঈদ: (১-ক) মহান আল্লাহ পাক, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের শান, মান, মর্যাদা, মর্তবা অনুযায়ী পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অর্থ ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে।
তাহকীক্ব: মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الْعِزَّةَ لِلّٰـهِ جَمِيعًا ۚ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
অর্থ: “নিশ্চয়ই সমস্ত ইজ্জত সম্মান মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং তিনি সবকিছু শোনেন ও জানেন। ” (পবিত্র সূরা ইউসুফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيعًا
অর্থ: কেউ যদি সম্মান চায় তাহলে জেনে রেখো, সমস্ত ইজ্জত-সম্মান মহান আল্লাহ পাক উনারই জন্য। (পবিত্র সূরা ফাত্বীর শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ وَلِ رَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَكِنَّ المُنَافِقِينَ لا يَعْلَمُونَ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার জন্যই সমস্ত ইজ্জত-সম্মান এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য এবং মু’মিন মুসলমানদের জন্য। কিন্তু মুনাফিকরা এ সম্পর্কে আদৌ অবগত বা অবহিত নয়। ” (পবিত্র সূরা মুনাফিকূন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮)
উল্লেখিত পবিত্র আয়াত শরীফসমূহ দ্বারা বুঝা গেল যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি কুল-মাখলুকাতের খালিক্ব মালিক রব। সমস্ত প্রশংসা, পবিত্রতা, সম্মান-ইজ্জতের তিনিই মূল মালিক। এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হলেন মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব। তাই তিনিও সর্বোচ্চ সম্মান, মর্যাদা ও ইজ্জতের মালিক। আর মানুষের মধ্যে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম ও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম এবং ঈমানদার মুসলমানরাই হলেন সর্বোচ্চ সম্মান, মর্যাদা ও ইজ্জতের অধিকারী।
-মুহম্মদ আব্দুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)