প্যাটেন্ট রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি
, ০৬ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১১ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) আইন ও জিহাদ
পেটেন্ট কি:
পেটেন্ট হল বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ।
পেটেন্ট একটি অধিকার যা উদ্ভাবককে তার নতুন উদ্ভাবনের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে দেয়া হয়। এটি উদ্ভাবকের স্বত্বের অধিকার যা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেয়া হয়। উদ্ভাবন বলতে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান বোঝায়। উদ্ভাবন টি হতে পারে কোন পণ্য, কোন কিছু সম্পন্ন করার নতুন কোন পদ্ধতি বা কোন সমস্যার কারিগরি সমাধান। পেটেন্ট তার উদ্ভাবককে এই নিশ্চয়তা দেয় তার অনুমতি ব্যতিত কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবে না।
পেটেন্টের মেয়াদ:
বাংলাদেশের পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন ১৯১১ অনুযায়ী পেটেন্টের মেয়াদের সময়সীমা, তার তারিখ থেকে ষোল বছর এবং নবায়ন করতে হয় চার বছর পর।
পেটেন্ট লাভের শর্ত:
পেটেন্টের অধিকার লাভ করতে গেলে প্রধানত ৩ টা শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন-
১) উদ্ভাবনটিকে অবশ্যই নতুন হতে হবে থাকতে হবে অভিনব উপাদান ও আনকোরা বৈশিষ্ট্য।
২) উদ্ভাবনটির বাস্তবিক ব্যবহার থাকতে হবে। যা উদ্ভাবনের পর কোন কাজেই লাগবে না তার পেটেন্ট হবে না।
৩) উদ্ভাবনের বিষয়বস্তু পেটেন্ট যোগ্য বলে স্বীকৃত হতে হবে। প্রকৃতিতে পাওয়া জিনিসের পেটেন্ট হয় না।
পেটেন্টের সুবিধা:
একজন উদ্ভাবক অনেক কস্ট ও পরিশ্রমের পর নতুন কিছু আবিস্কার করেন এই ভেবে যে ইহা জনকল্যাণে কাজে লাগবে। তার অনুমতি ব্যাতিত যদি কেউ এটি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করে তাহলে উদ্ভাবন মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু পেটেন্ট সুবিধা গ্রহনের মাধ্যমে এই নিশ্চয়তা পান তার উদ্ভাবিত জিনিসে শুধু তারই অধিকার রয়েছে, অন্য কেউ এটি ব্যবহার করতে পারবেনা। যেহেতু পেটেন্টের মাধ্যমে তিনি সুরক্ষা পান ফলে তিনি আরো নতুন কিছু উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহিত হন।
পেটেন্টের অসুবিধা:
পেটেন্ট সুবিধা না নিলে অন্য কেউ ইচ্ছামত ব্যবহার করবে এতে উদ্ভাবকের শ্রম ও সুনাম নস্ট হয়। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তিনি।
পেটেন্ট রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি:
যে কোন ব্যাক্তি নির্ধারিত ফিস জমা দিয়ে পেটেন্ট দাখিল করতে পারেন। পণ্য বা পদ্ধতির উদ্ভাবনকারী ও তার আবেদনকারী একই ব্যক্তি হলে নির্ধারিত ফরম এর মাধ্যমে পেটেন্ট দরখাস্ত করতে হয়।
আবেদনকারীকে দরখাস্তের সাথে পণ্য বা পদ্ধতির সমুদয় বর্ণনা এবং কোন দাবী থাকলে তা নির্ধারিত ফরমে জমা দিতে হয়। পণ্য বা পদ্ধতির বর্ণনার সাথে ড্রয়িং, প্লান, ডায়াগ্রাম থাকলে সেটি ও প্রদান করতে হয়। পেটেন্ট জমা দেয়ার পর স্বীকৃতিপত্র দেয়া হয়।
পেটেন্ট আইন অনুসারে ১৮ মাসের মধ্যে পেটেন্ট গ্রহণের বা দরখাস্ত সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পেটেন্ট গ্রহণ করা হলে পেটেন্ট সীল করার জন্য ফরম-৮ এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফিস দিতে হয়।
গৃহীত পেটেন্ট দরখাস্ত বাংলাদেশ গেজটে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। গেজেট প্রকাশের চার মাসের মধ্যে কোন বিরোধিতা দরখাস্ত দাখিল না হলে মূল পেটেন্ট সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
................
সংবাদ:
পেটেন্ট মেয়াদ এখন ২০ বছর, সংসদে বিল পাস
পেটেন্ট মালিকের স্বত্ব ১৬ বছরের বদলে ২০ বছরের জন্য সংরক্ষিত রাখার বিধান রেখে একটি আইন পাসের পস্তাবে সায় দিয়েছে জাতীয় সংসদে।
ফলে পেটেন্টধারী ব্যক্তি এখন থেকে ২০ বছরের জন্য স্বত্বের মালিক থাকবেন, ২০ বছর পর তা ‘জনগণের’ সম্পদ হয়ে যাবে। পুরনো আইনে এর মেয়াদ ছিল ১৬ বছর।
সম্প্রতি সংসদে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়।
এখনকার পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনটি ১৯১১ সালের। ২০১৬ সালে এ আইনটিকে দুই ভাগ করে একটি পেটেন্ট আইন, আরেকটি ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল।
বিলে বলা হয়, নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্য পেটেন্টযোগ্য হবে।
তবে আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গাণিতিক পদ্ধতি, ব্যবসা পদ্ধতি, সম্পূর্ণভাবে মানসিক কাজ সম্পদনের বা খেলাধুলার নিয়মাবলি বা পদ্ধতি এবং এমন কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম পেটেন্ট সুরক্ষার আওতার বাইরে থাকবে।
এছাড়া জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন- এমন উদ্ভাবনসহ আরও বেশ কিছু বিষয় পেটেন্ট সুরক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইনের কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হন, তাহলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য করতে পারবে।
এ আইনের অধীনে সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বইয়ে মিথ্যা ভুক্তি তৈরি করলে, বা করালে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বাংলাদেশে কোনো পণ্যের পেটেন্ট না থাকার পরও কেউ যদি দাবি করেন যে তিনি ওই পেটেন্টধারী, অথবা পেটেন্টের আবেদন করেছেন, তা হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনের আবেদন হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রে যদি ‘জেনেটিক রিসোর্সের’ অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাবে।
পেটেন্ট বাতিল এবং অধিকার কার্যকর করার বিধানও রাখা হয়েছে বিলে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত জিহাদের ময়দানে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বীরত্ব মুবারক (২)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৩)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬২)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত জিহাদ উনার ময়দানে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুমগণ একজন অপরজনকে প্রাধান্য দেয়ার বেমেছাল দৃষ্টান্ত মুবারক
২৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৭)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৮)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৬)
১৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৭)
১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৬০ জন সম্মানিত মুসলিম বীর মুজাহিদ উনারা সম্মানিত জিহাদ করলেন ৬০ হাজার কাফিরের বিরুদ্ধে (৫)
০৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ (৬)
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)