পৃথিবী পড়ে যায় না কেন (২)
, ২২ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৩০ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ২৮ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
এবার ফিরে আসা যাক সেই প্রশ্নে, মহাকাশে পৃথিবী নিজে কোথায় পড়ছে?
বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ছোট সব সময় বড়র ওপর পড়ে। পৃথিবী সূর্যের তুলনায় একদম ছোট। এই কারণে পৃথিবী সূর্যের ওপর পড়ছে।
কিন্তু এ যে ভয়ানক ব্যাপার! সূর্য হলো একটা অগ্নিপি-। এর অর্থ, পৃথিবী শিগগিরই সূর্যের গায়ে আছড়ে পড়বে, তবে পড়া মানেই কিছুর গায়ে আছড়ে পড়া নয়। পাশ কাটিয়েও পড়া যায়।
পৃথিবী যদি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকত, তাহলে সোজা পড়তে থাকত সূর্যের দিকে।
কিন্তু আসল ঘটনা এখানেই যে পৃথিবী এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। পৃথিবী এক পাশে ছুটে যায় ঠিক যেন গতিবেগ অর্জনের উদ্দেশ্যে, যাতে সূর্যের পাশ কাটিয়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়া যায়। সূর্য তাকে নিজের দিকে টানে। পৃথিবীও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। কিন্তু ঘোরে আস্তে আস্তে গড়ানোর ভঙ্গিতে, যেহেতু ওড়ে খুব দ্রুত। এই কারণেই সূর্যের কাছাকাছি আসে না, স্রেফ তাকে প্রদক্ষিণ করে তার চারপাশ দিয়ে ঘুরে যায়।
মহাকাশে পৃথিবীর গতি রুদ্ধ করার মতো কিছু নেই। সেখানে প্রতিকূল বায়ুপ্রবাহ নেই, নেই খরখরে পথ। মোটকথা, কিছুই নেই সেখানে। তাই পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে তো ঘুরছেই, থামতে আর পারে না।
একইভাবে চাঁদও ঘুরছে মহাকাশে। তবে সে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে না, প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবীকে ঘিরে। পৃথিবী চাঁদের চেয়ে বড়। তাই চাঁদও পড়ছে পৃথিবীর দিকে, কিন্তু পড়তে পড়তেও পড়ছে না, কেবলই তার পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। কারণ চাঁদও দ্রুত এক পাশে ছুটে চলে যায়, তাই তার পক্ষেও আকস্মিক বাঁক নেওয়া কঠিন। তাহলে দাঁড়াচ্ছে এই যে- মহাকাশে চন্দ্র-সূর্য-গ্রহ-তারা কারোরই কোনো অবলম্বন নেই, সবই কোথাও না কোথাও পড়তে যাচ্ছে, কিন্তু পড়েছে পাশ কাটিয়ে। আর এই কারণে তারা সবাই ঘুরছে, ঘুরছে তো ঘুরছেই। চাঁদ ঘুরছে পৃথিবীর চারপাশে। আর পৃথিবী ঘুরছে সূর্যের চারপাশে।
কিন্তু পৃথিবী ও চাঁদের মতো সূর্যও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে না। সূর্যও কিন্তু তার চেয়ে বড় তারার মধ্য দিয়ে অতল গহ্বরের মধ্যে কোথাও গিয়ে পড়তে যাচ্ছে। এদিকে তারাগুলোও ভাসছে শূন্যতার মধ্যে। আসলে সম্পূর্ণ বিষয়টিই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতময় বিষয়! যা এই কথিত বিজ্ঞানী দাবিদারদের বোঝার সাধ্য নেই।
এরপর মহাকাশে এমন কোনো জ্যোতিষ্কম-লী নেই, যে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সবই কোথাও না কোথাও ছুটছে।
কিন্তু অবাক কা-! আকাশের দিকে তাকালে মনেই হবে না যে জ্যোতিষ্কম-লী উড়ছে। চাঁদের কথাই ধরা যাক- চাঁদকে দেখলে মনে হবে যেন আকাশের গায়ে সাঁটা। এ রকম মনে হওয়ার কারণ এই যে চাঁদ অনেক দূরে অবস্থান করছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অনেকে লক্ষ্য করে থাকবে- কোনো জাহাজ যখন আমাদের কাছ থেকে দূরে, দিগন্ত রেখার গায়ে, তখন সমুদ্রের বুকে সেটা কেমন গুটি গুটি এগিয়ে আসতে থাকে?
অথচ জাহাজ কিন্তু তখন ঢেউ ভেঙে প্রচ- বেগে ছুটছে, আবার দূর আকাশের গায়ে কোনো বিমানকে যখন একটা ছোট্ট বিন্দুর মতো দেখায় তখন তার গতি কী মন্থর বলেই না মনে হয়!
আকাশে চাঁদ উড়ছে বিমানের চেয়ে চার গুণ বেগে। ধারণা করা যেতে পারে, আমরা যদি চাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম, কী প্রচ- বেগে সে আমাদের পাশ দিয়ে ছুটে বেরিয়ে যেত? বিষয়টি লক্ষ করা যায় কেবল চাঁদের পাশাপাশি ছোট ছোট তারাদের দিয়ে।
চাঁদের তুলনায় তারাগুলো আরো বহু গুণ দূরে। এই কারণে তাদের একেবারে স্থির মনে হয়, যদিও চাঁদের চেয়ে তারা অনেক বেশি দ্রুতগতিতে ওড়ে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সাতমসজিদ রোডের ঈদগাহ এক অনন্য মোগল পুরাকীর্তি
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চাঁদের মাটিতে গাছ
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৭ দিন ধরে মৃত বাচ্চাকে বহন করা সেই ‘তিমি’র বাচ্চা হয়েছে আবার
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ডায়াবেটিস ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মহাঔষধ মেথি শাক!
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সূর্যের দিকে সবচেয়ে কাছের যাত্রায় মহাকাশযান
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
১৮০০ বছর পর তুরস্কের প্রাচীন কেস্ট্রোস ফোয়ারা চালু
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দিনে তিন কাপ কফি মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি করতে সক্ষম - ক্যানসার-হার্টের মত আত্মঘাতী রোগ-ব্যাধি দূর করে
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম প্রজাতন্ত্রের দেশ সেনেগাল
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সেনেগালে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও ইসলামী আদর্শে নতুন মাত্রা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ঘরোয়া ঔষধ হিসেবে আদা
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
রাশিয়ার আকাশে দেখা মিললো উজ্জ্বল গ্রহাণুর
১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মসজিদের ভেতরে ৫৪০ বছরের পুরনো জিনের মসজিদ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)