পাহাড়ে নতুন উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন কেএসএফের আত্মপ্রকাশ
কয়েক হাজার কর্মী এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে নামছে পার্বত্যাঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। এখনই এদের প্রতিরোধ না করলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
, ০৫ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
এরই মধ্যে পাহাড়ে নতুন করে এক উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের আবির্ভাব হয়েছে। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট(কেএনএফ) নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে এক ভয়াবহ সশস্ত্র গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধেক ভূমি নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্ত্বশাসন ক্ষমতাসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুকি-চিন রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবীতে সশস্ত্র আন্দোলনে নামতে চলেছে। আসন্ন বর্ষায় তারা আত্মপ্রকাশ করতে পারে বলে জানা গেছে। গত ২৪ মার্চ ভারতের মিজোরামে অবৈধ সরঞ্জামসহ এই সংগঠনের ৬ বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতিকে আটক করে ভারতীয় বিএসএফের ১৯৯ নং পারভা ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। এরপরই আলোচনায় আসে সংগঠনটি।
কেএনএফ মনে করে, বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলা নিয়ে তাদের কল্পিত কুকি-চীন রাজ্য গঠিত। ২০০৮ সালে এই সংগঠনের জন্ম। শুরুতে এ সংগঠনের নাম ছিলো কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও)। বম, পাঙ্খুয়া, লুসাই, খুমী, ম্রো, খিয়াং নামের ছয় জাতি গোষ্ঠী মিলে কেএনএফ গঠিত। তারা নিজেদের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দা মনে করে (যদিও তারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী)। এ সংগঠনের সভাপতি নাথান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা এক গ্রাজুয়েট। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বান্দরবান থেকে সে প্রার্থীও হয়েছিলো।
বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠনের নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)। প্রথমদিকে তারা ভারতের মনিপুর ও বার্মার চীন রাজ্যের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রথম ব্যাচে শতাধিক সদস্যকে মণিপুরে প্রশিক্ষণে পাঠায়। এরপর ১০০ সদস্যকে ভারতের মণিপুর, বার্মার কারেন ও কাচিন রাজ্যে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করে।
সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ইনফেন্ট্রি ও কমান্ডো প্রশিক্ষণের পর তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরে আসে। শুরুতে তারা নিশ্চুপ থাকে কিছুদিন, এরপর বর্তমানে সক্রিয় হয়েছে। এই সংগঠনের সকল সদস্যই খ্রিষ্টান। কেএনএফ তাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পার্বত্য চট্টগ্রামের কুকি-চিন রাজ্যে হস্তক্ষেপ ও অনুপ্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে। সরকারের প্রতি তাদের দাবী পুরণের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, অন্যথায় তারা দাবী আদায়ে সশস্ত্র যুদ্ধে নামবে। বর্তমানে তাদের সশস্ত্র গ্রুপের সংখ্যা ৩-৪ হাজার, যারা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও মিজোরামে সক্রিয় রয়েছে।
অনুসন্ধান বলছে, বর্তমান কেএনএ’র সশস্ত্র সদস্যদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ তিন মাস। এরমধ্যে একমাস মিজোরামে তাত্ত্বিক ও শারিরীক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং বাকি দুইমাস মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের সাথে মিয়ানমার আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এ ধরণের প্রশিক্ষণে সংগঠনের ২০ জনের বেশি সদস্য মিয়ানমার আর্মির সাথে যুদ্ধে মারা গেছে। সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত কেএনএ‘র প্রতিটি সদস্য সামরিক কৌশলে উচ্চতর দক্ষতা সম্পন্ন। এ ছাড়াও তাদের কাছে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র।
প্রসঙ্গত, সন্তু যখন সরকারের সাথে শান্তিচুক্তি করেছিলো তখন তাদের গুটিকয়েক সন্ত্রাসী পুরনো কিছু অস্ত্রপাতি জমা দিয়েছিলো। এর বাইরে তাদের অধিকাংশ সন্ত্রাসীই পরবর্তীতে বিচ্ছিন্নতাবাদী তথা বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলো। যার ধারাবাহিকতা এখনও চলমান। শান্তিচুক্তির পর যদি এই উপজাতি সন্ত্রাসীদের উপর সঠিকভাবে মনিটরিং এবং নজরদারি করা হতো, যারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হতো তাহলে বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তা দেখতে হতো না রাষ্ট্রকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, কেএনএফ নামে বর্তমানে যে উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি বাংলাদেশের অখন্ডতা এবং সার্বভৌমত্ত্বকে অস্বীকার করে পার্বত্যাঞ্চলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তাদের যদি এখনই প্রতিরোধ করা না হয় তাহলে পরবর্তীতে জেএসএস, ইউপিডিএফের মতো এরাও পাহাড়ে হত্যা, নির্যাতন, চাঁদাবাজির স্টিমরোলার পরিচালনা করবে। যা হয়তো সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাবে। এর ফলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের দীর্ঘদিনের লালিত যে স্বপ্ন, বাংলাদেশ থেকে ৩ পার্বত্যাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করা তা বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে। এমনটি হলে দেশের স্বাধীনতাও হুমকির মুখে পড়বে।
আমরা মনে করি, পূর্বের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই এই নতুন আত্মপ্রকাশ করা উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। পাহাড়ের নিরাপত্তার স্বার্থে পাহাড় থেকে প্রত্যাহার করা সেনা পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা। পাহাড়ে টহল ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। এদের প্রতি এখনও যদি রাষ্ট্র নমনীয় ভাব দেখায় তাহলে তা হবে আত্মঘাতি।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পেয়াজ, সরিষা, ধান এমনকি ভরা মৌসুমে আলুর নিম্নমানের বীজে মহা ক্ষতির মুুখে চাষিরা। বহুদিন ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর বীজে প্রবঞ্চিত হবার পর এখন খোদ সরকারের প্রণোদনার বীজেও প্রতারিত কৃষক। কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক ও কৃষিপণ্য নিয়ে এমন ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানের সংজ্ঞা কতজন মুসলমান জানে? প্রকৃত মুসলমান না হয়ে শুধু বাহ্যিক মুসলমান দাবি কী অন্যায় নয়? মুসলমান মাত্রই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে প্রবেশ করতে হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ডিজিটালাইজেশনের নামে শিশু-কিশোরদের ইন্টারনেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। দেশের ইন্টারনেট জগতে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিশু-কিশোররা আক্রান্ত হচ্ছে অশ্লীলতায়। শিখছে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা, হিংস্রতা। সরকারের উচিত- দ্রুত দেশের ইন্টারনেট জগতে কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা করা। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের ইন্টারনেট আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুশাসন প্রচার প্রসার করা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত স্ট্যাটাস প্রবণতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি? তাহলে কী রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত নয়- ছবি না তুলে, বেপর্দা না হয়ে দ্বীনদার মুসলমানরা যাতে সাংবিধানিক সুযোগ পায় সে অধিকার সংরক্ষিত করা। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতিবছর ২৫ লাখ বাংলাদেশী রোগী ভারতে গিয়ে ৬০ হাজার কোটি টাকা অপচয় করে এর পেছনে রয়েছে ভারতের মেডিক্যাল টুরিজমের ফাঁদ, এদেশের হাসপাতালের হিন্দুবাদী ডাক্তারদের ষড়যন্ত্র এবং কিছু লোকের অজ্ঞতা ও তথাকথিত ষ্ট্যাটাস প্রবনতা এবং হিন্দু বিদ্বেষী ঈমানী চেতনা না থাকা ভারতের সেবাদাস- পতিত সরকার ভারতের কুপরামর্শে- দেশের চিকিৎসাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ, স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হতে দেয়নি অবিলম্বে চিকিৎসা খাতকে সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (তৃতীয় পর্ব)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা দরকার ইনশাআল্লাহ (প্রথম পর্ব)
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
খাদ্যদ্রব্যে অতিরিক্ত ভেজাল মিশ্রণে হুমকির মুখে ৪৫ কোটি মানুষ। ভেজাল খাবারে দেশব্যাপী চলছে নীরব গণহত্যা। ভেজাল দমনে সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রসঙ্গ: শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপদ করতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল গাইড লাইন তৈরি করছে সরকার নিয়ন্ত্রনহীন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করে অশ্লীলতা, হিংস্রতা ও অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হচ্ছে শিশু কিশোররা সরকারের উচিত হবে এই গাইডলাইনে দীর্ঘসূত্রিতা না রেখে তা ত্বরিৎ বাস্তবায়ন করা।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)