পাথর উত্তোলন বন্ধের অমানবিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতার অভিমত কি? (১)
, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আপনাদের মতামত
বিদেশী শক্তির পাথর ব্যবসা চাঙ্গা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে দেশীয় পাথর উত্তোলন। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে মর্মান্তিক চিত্র।
সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের মতে, স্থানীয় অর্থনীতির মজবুত ভিত্তি হচ্ছে পাথর কোয়ারি। এবার সেই কোয়ারিগুলো থেকে পরিবেশসম্মতভাবে পাথর উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়া জরুরী। এই দাবি কোয়ারি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদেরও। তাদের দাবি, কয়েক বছর কোয়ারি বন্ধ থাকা ও পাথর উত্তোলন না করায় নদীর প্রবেশমুখে স্তুপাকারে আটকে আছে পাথর। এতে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে। অন্যদিকে, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাথর লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। এতে সরকারও বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া কোয়ারি বন্ধ থাকায় বেকার হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ শ্রমিক। মানবেতর জীবনযাপন করছেন কোয়ারির সাথে জড়িত পাথর ও পরিবহন ব্যবসায়ী, বেলচা, বারকি, পরিবহন ও লোড-আনলোড শ্রমিকরা। এই ইস্যুতে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন জোরালো হচ্ছে।
সীমান্ত ঘেঁষা সিলেট বিভাগের চার জেলার অন্তত ১০/১২টি এলাকায় ভারত থেকে বয়ে আসা নদ নদীর উৎসমুখে রয়েছে বিশাল পাথরের ভান্ডার। এর মধ্যে সিলেটের ভোলাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, বিছনাকান্দি, লোভাছড়া, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, শ্রীপুর অন্যতম।
ব্যবসায়ীদের অভিমত, স্বাধীনতা উত্তর কাল থেকে সারা দেশের পাথর সরবরাহ করা হয়ে আসছিল ভোলাগঞ্জ, বিছনাকান্দি, জাফলং এবং লোভাছড়া পাথর কোয়ারি থেকে। কিন্তু, ২০১৮ সাল থেকে সিলেট অঞ্চলের সবকটি কোয়ারি থেকে বন্ধ রয়েছে পাথর উত্তোলন। এর ফলে কোয়ারি নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা থাকায় ব্যবসায়ীরা হয়ে গেছেন দেউলিয়া। শ্রমিকরা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। বিশেষ করে সিলেটের ট্রাক মালিক ও শ্রমিকদের ব্যবসায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অধিকাংশ ট্রাক মালিক ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা কোম্পানীগুলোর কাছ থেকে কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে তাদের গাড়ী কিনেছেন। গত ৬ বছর ধরে কোয়ারি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাক মালিকদের পণ্য পরিবহনে ভাটা পড়ে। অনেক মালিক ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকেই ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে চরম আর্থিক সংকটে নিপতিত হয়েছেন। ব্যাংক লোন থাকায় অনেকের ঘরবাড়ি নিলামে উঠে গেছে। পাথর পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপুল সংখ্যক ট্রাক মালিক, স্টোন ক্রাশার মালিক ও ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দিন যাপন করছেন।
-মুহম্মদ মুশফিকুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আপনি কি কথিত ভদ্রলোক, না কি মুসলমান?
০৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নবাব সিরাজুদ্দৌলাও হোলিপূজা করে পার পায়নি, বর্তমান শাসকরা পার পাবে কি করে?
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুক্তি কোন পথে, খিলাফত নাকি গণতন্ত্র?
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বর্তমান সময়ে এসে মুসলমানদের শোচনীয় অবস্থার মূল কারণ
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিজাতীয়দের দেশগুলোর ‘সন্ত্রাসীপনার’ একটি পরিসংখ্যান
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
খিলাফত মানে কী?
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নারিকেল দ্বীপে পর্যটকদের ভ্রমনে বাধা; নেপথ্যে রয়েছে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নারিকেল দ্বীপকে যেভাবে করা হয়েছিলো সেন্টমার্টিন
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৬)
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দূষণের অজুহাতে নারিকেল দ্বীপে যাওয়া নিষিদ্ধ করতে হলে, সবার আগে রাজধানী ঢাকায় মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও পাহাড়িদের কোনভাবেই ‘আদিবাসী’ বলার সুযোগ নেই? (৫)
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন রোগই ছোঁয়াচে নয়, ছোঁয়াচে বিশ্বাস করা কুফরী
২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)