আপনাদের মতামত
পাঠ্যবই ও সিলেবাসে যদি ইসলামী শিক্ষা না থাকে, তাহলে কোথায় থাকবে?
, ১০ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৮ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৬ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ০১ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) আপনাদের মতামত
পাঠ্যবই বিতর্ক এখন দেশজুড়ে। তবে নানা রকম বিতর্কের মাঝে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ, দেশাত্মবোধক, মানবতাবাদী বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা বেশি। তারা(!) বলতে চায়- ইসলাম শিখবেন, দ্বীন শিখবেন বাসায়, বাড়িতে, মা-বাবার কাছে। আর স্কুল-কলেজে এসে বাকি বিষয় শিখবেন; স্কুল-কলেজ নাকি দ্বীন শিক্ষার জায়গা নয়।
আমরা যদি ইসলামকে পরিপূর্ণ বলে স্বীকার করেই থাকি, তাহলে তো ইসলাম ছাড়া বাকি যা আছে তাকে অনৈসলামী বা ইসলামবিরোধীই বলতে হবে। তবে তাদের (!) কথার প্রেক্ষিতে বলতে হয় স্কুল-কলেজ কি তাহলে বিধর্মী-বিজাতীয় শিক্ষা লাভের জায়গা?
মূলত এ ধরণের কথা মুসলমানদের কথা নয়, ঈমানদারদের কথা নয়, দ্বীন ইসলাম উনার কথা নয়। মুসলমান শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ইসলাম শিখবে, ইসলাম যা যা অনুমতি দেয় তাই শিখবে। এর বাইরে এর ব্যতিক্রম বা ইসলাম নিষিদ্ধ কিছু শিখবে না এটাই স্বাভাবিক। কোন মুসলমান বইয়ের মাধ্যমে কখনো গান-বাজনা, ঢোল-তবলা, বেপর্দা-বেশরা, খেলা-ধুলা, রথযাত্রা, বৈশাখী মেলা, বিধর্মীদের জীবনী এগুলো শিখতে পারে না। কারন এগুলো সবই দ্বীন ইসলাম মুতাবিক নিষিদ্ধ, নাজায়িজ।
মুসলমানগণ কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা-ক্বিয়াস মুতাবিক শিক্ষা গ্রহণ করবেন, ইসলামী ইতিহাস শিক্ষা করবেন, ইসলামী ব্যক্তিত্বগণ উনাদের জীবনী মুবারক শিখবেন- এভাবে করেই এ পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে।
দু-একটা সংখ্যালঘুদের লম্পঝম্পতে কান না দিয়ে সরকারকে ধারাবাহিকভাবে সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তকগুলোর ইসলামীকরণ করার কাজ হাতে নিতে হবে। এ জন্য হক্কানী-রব্বানী আলেম ওলামা উনাদের নিয়ে বিশেষ শিক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে। যারা এতদিন বিধর্মী-বিজাতীয়দের বিষয়গুলো বইয়ে পাঠ্য করেছে তাদেরকে কমিটি থেকে বহিষ্কার করে, জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বোপরি দেশের সকল মুসলমান মা-বাবা, অভিবাবক, শিক্ষক ও যুব সমাজকে এ বিষয়ে বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে। এ নিয়ে যার যার অবস্থান থেকে প্রচার করতে হবে, বলাবলি করতে হবে, লেখালেখি করতে হবে, সকলকে বুঝানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
-রিয়াসাত পারভেজ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অমুসলিম-বিধর্মীদের নামে রাস্তা-ঘাটের নামকরণ এদেশের মুসলমানদের অপমান করার শামিল
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ফিলিস্তিনি সংবাদ প্রচারে বাধা দিচ্ছে ফেইসবুক এরপরেও কী বিশ্ব মুসলিম ফেইসবুক বয়কট করবে না?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গাজায় ইহুদীবাদী আগ্রাসন: আরব সরকারগুলো নীরব ও নিস্ক্রিয় থাকলেও ইহুদী পণ্য বর্জনের মাধ্যমে আরব মুসলিম নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধে উজ্জীবিত হচ্ছে ইনশাআল্লাহ
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
উলামায়ে ‘সূ’ আহাজারীর কুফরী মন্তব্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে সব ঈমানদারদের আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কনসার্ট, যাত্রা, সিনেমা ও জোকারী কায়দায় ওয়াজকারীদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে আইনী পদক্ষেপ নিতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসলামী মূল্যবোধ, আদর্শ ও ইতিহাস থেকে ভালো শাসক হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুখ্যাত জেনাখোর এবং জেনা করার জন্য ওয়াজকারী আমীর হামজা কী? তার ওস্তাদ তারেক মনোয়ারের কাছ থেকেই হারামের (ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী) দীক্ষা পেয়েছে?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ইতিহাস, লুটপাটের ইতিহাস
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রেক্ষিত
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
গণমাধ্যমে হেডিং হয়েছে, “..... সৌন্দর্য নিয়ে ওয়াজ; ক্ষমা চেয়ে আমির হামজা বললো ‘আমি সুস্থ না’” হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ বিরোধী হামজা গং ইলমে তাসাউফের বিরোধীতা করায় ওয়াজের গযবে- এখন জিনা করার জন্য ওয়াজ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: কুয়েতে ঋণ নিয়ে নার্সসহ দেড় হাজার ভারতীয়ের পলায়ন অবিলম্বে সব মুসলিম দেশ থেকে ভারতীয় হিন্দুদের উচ্ছেদ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পশ্চিমা মিডিয়ার স্বাধীনতার নমুনা
১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)