পাঠক কলাম: হাঁচি সম্পর্কে মুসলমানদের জানা প্রয়োজন
, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
চিশতীয়া খান্দানের বিশিষ্ট বুযূর্গ হযরত খাজা উছমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আনিসুল আরওয়াহ নামক কিতাবে সপ্তদশ মজলিসে মু’মিন বান্দার হাঁচি সম্পর্কে বলেন, “যখন কোন মু’মিন বান্দা হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলেন তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তার সমস্ত গুনাহখতা মাফ করে দেন এবং ঐ বান্দার জন্য জান্নাতে একটা প্রাসাদ তৈরী করেন, যার মধ্যে একটা গাছ থাকবে এবং সে গাছের উপর সুমধুর কন্ঠের অধিকারী একটা পাখি বসে থাকবে। একজন গোলাম আযাদ করার ছওয়াবও তার আমলনামায় লিখা হবে। সুবহানাল্লাহ! এরপর সে যদি দ্বিতীয় হাঁচি দিয়েও অনুরূপ বলেন তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার পিতা-মাতার সমস্তগুনাহও ক্ষমা করে দেন। সুবহানাল্লাহ! যদি সে তৃতীয়বার হাঁচি দেয় তাহলে ভাববে এটা সর্দির প্রতিক্রিয়া। মুসলমানদের জেনে রাখা উচিৎ হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বললে গুনাহের প্রায়শ্চিত্ত (কাফফারা) আদায় করা হয় এবং আত্মিক উন্নতিও ঘটে। যে ব্যক্তি হাঁচির জবাবে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলবে সে রোজ হাশরে হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতিবেশী হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করবে এবং জান্নাতে হাজার হুর লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! এরপর আরও বলেন, যে ব্যক্তির প্রথম হাঁচি আসে, তিনি হচ্ছেন আবুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম এবং যে ব্যক্তি প্রথম হাঁচির জাবাব দেন তিনি হচ্ছেন জিবরীল আলাইহিস সালাম। সাইয়্যিদুনা হযরত ছফীউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন হাঁচি মুবারক দিয়ে আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন বললেন, তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি উত্তরে ইয়ার হামুকাল্লাহ বললেন। এরপরে আরও বললেন, আতিয়া নামে এক পর্দা জাহান্নামের মাঝে আগুনকে আড়াল করে রেখেছে। যখন কোন ব্যক্তি হাঁচি দেয় তখন সে ঐ পর্দার নিকটবর্তী হয় এবং যখন হাঁচির শুকরিয়া আদায় করে তখন সে ঐ পর্দা হতে বহুদূরে সরে আসে। সুবহানাল্লাহ! (আনিসুল আরওয়াহ)
যখন কেউ হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামীন জোরে বলেন, তখন যারা শুনবেন উনারা জবাব দিবেন। না শুনলে জাবাব দিতে হবে না। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে সম্মানিত শরীয়ত মুতাবেক ইখলাছের সাথে আমল করার তৌফিক দান করেন। (আমীন)
-আহমদ ফাতেমা আক্তার।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীর মহাসম্মানিত মুয়াল্লিমাহ্
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে জাদু করার কারণে উনার দাসীকে ক্বতল বা মৃত্যুদ-
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে তা’লীম গ্রহণ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইবনাতু আবীহা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত ছিফত মুবারক
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৪৫)
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুস সাদিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় মহাসম্মানিত মু’জিযাহ শরীফ
১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (৭)
১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সত্যের মাপকাঠি
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র “মাক্বামে মাহমূদ” উনার বেমেছাল তাফসীর বিষয়ে খারেজী জাহমিয়া ফিরকার মুখোশ উম্মোচন (৯)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কোনো স্থানেই সরাসরি বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক দ্বারা সম্বোধন মুবারক করেননি। যা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুলন্দী শান মুবারক উনারই বহিঃপ্রকাশ মুবারক (৪)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাইতুল্লাহ বা পবিত্র মসজিদ ও বাইতুর রসূল বা পবিত্র মাদরাসা সম্পর্কে ইলিম (১)
১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)