পর্যটক বহন করতে করতে পিঠ বেঁকে গেছে হাতির
, ০৩ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৬ ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রি:, ১২ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
বৃহৎ আকার ও প্রচ- শক্তিশালী হওয়ার জন্যই বিখ্যাত হাতি। তবে শক্তিশালী হাতির ওপর যদি বছরের পর বছর পর্যটক বহন করা হয়, তাহলে এটি মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে প্রাণীটির। থাইল্যান্ডের বন্যপ্রাণী রক্ষাকারী দলের প্রকাশিত একটি ছবিতেই দেখা গেছে এমনটি।
ওয়াইল্ডলাইফ ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন ইন থাইল্যান্ড (ডব্লিউএফএফইটি) নামের ওই সংস্থাটি ৭১ বছর বয়সী একটি হাতির ছবি প্রকাশ করেছে। হাতিটির নাম পাই লিন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর্যটকদের বহন ও আনন্দ দানে ব্যবহার করা হয়েছে এটিকে। যেখানে তাকে একবারে ৬ জন মানুষকে বহন করতে বাধ্য করা হতো। এতে হাতিটির পিঠের অংশ বেঁকে গেছে।
বর্তমানে পর্যটক বহন না করলেও হাতিটির শরীরে যে ক্ষতি হয়েছে সেটি এখনো দৃশ্যমান। থাইল্যান্ডের ওই সংগঠনটি জানিয়েছে, ‘শরীরের এক জায়গায় অব্যাহতভাবে চাপ পড়তে থাকলে এটি টিস্যু এবং হাড়ের ক্ষতি করতে পারে। যার মাধ্যমে বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির শঙ্কা বেড়ে যায়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পর্যটকদের হাতির পিঠে চড়ার বিষয়টি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু প্রাণী রক্ষাকারীরা জানিয়েছে, এটি খুবই নিষ্ঠুর একটি প্রথা। কারণ হাতির শরীর কোনো কিছু বহন করার উপযোগী না। পর্যটক বহন করে ব্যবসা করা ছাড়াও হাতিকে পণ্য পরিবহনের কাজে লাগানো হয়। একটা সময় কাজ করতে করতেই তাদের মৃত্যু হয়।
ডব্লিউএফএফইটি নামের ওই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এডউইন উইক যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছে, ‘পাই লিন নামের হাতিটি ২০০৬ সাল থেকে তাদের কাছে আছে। হাতিটির মালিকই আমাদের কাছে এটিকে দিয়ে যান। কারণ তার অভিযোগ ছিল, পাই লিন কাজে খুবই ধীর হয়ে পড়েছিল, সারাক্ষণ যন্ত্রণায় থাকত এবং ঠিকভাবে আর কাজ করতে পারছিল না।’
সংস্থাটির প্রজেক্ট পরিচালক টম টেইলর বলেছে, ‘ভারী কোনো কিছু বহন করার জন্য হাতির পিঠ উপযুক্ত নয়। তাদের মেরুদ- ওঠা-নামা করে। পেছনের হাড়ের ওপর পর্যটকদের অব্যাহত চাপ তাদের স্থায়ী শারীরিক ক্ষতি করতে পারে। যেমনটি হয়েছে পাই লিনের ক্ষেত্রে।’
সে জানিয়েছে, হাতির পিঠে যেন না চড়ে, সেজন্য সাধারণ মানুষদের বোঝানোর চেষ্টা করছে তারা। সে বলেছে, ‘এটি বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ যে হাতি ঘোড়ার মতো না, প্রাণীটি কোনো কিছু বহনে উপযুক্ত নয়। এছাড়া হাতি গৃহপালিত প্রাণীও নয়। এগুলোকে বন থেকে ধরে আনা হয় এবং ভয়াবহরকম পরিবেশে রাখা হয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মঙ্গলে বিস্ময়কর ‘সবুজ দাগের’ সন্ধান!
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আইসল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির গর্ভে বিজ্ঞানীদের নজর
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পরোক্ষ ধূমপান স্বাস্থ্যগত দিক থেকে যে সমস্ত মারাত্মক ক্ষতি করে?
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুসলমানদের বসবাস বা দ্বীন ইসলাম প্রচার নিষিদ্ধ করে রেখেছে যে সমস্ত বিধর্মী রাষ্ট্র
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
২০২২ সালে সৌরজগতের বাইরে মিলেছে ২০০ গ্রহের সন্ধান
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলিম দেশ সিয়েরা লিওনে যেভাবে দ্বীন ইসলাম ও দ্বীনি শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আবাসন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপিয়ানরা
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হেঁটে যে রাস্তা আজও শেষ করতে পারেনি কেউ
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাওসে মুসলমানদের জীবনধারা
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কাতারের মরুভূমিতে খোদাই করা রহস্যময় শত শত চিহ্ন
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! কেন তেমন দেখা মেলে না (২)
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! কেন তেমন দেখা মেলে না (১)
২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)