ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক-
পর্দা পালন করা ফরয এবং ছবি তোলা হারাম
, ১২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
এ সম্পর্কে বহু পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে, তারমধ্যে কয়েকখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ এখানে উল্লেখ করা হলো। যেমন পবিত্র পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
قَالَ حَدَّثَنَا حَضْرَتِ الْأَعْمَشُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ مُسْلِمٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كُنَّا مَعَ حَضْرَتْ مَسْرُوْقٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِيْ دَارِ حَضْرَتْ يَسَارِ بْنِ نُمَيْرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَرَأٰى فِيْ صُفَّتِهٖ تَمَاثِيْلَ فَقَالَ سَمِعْتُ حَضْرَتْ عَبْدَ اللهِ بْنَ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ: اِنَّ اَشَدَّ النَّاسِ عَذَابًا عِنْدَ اللهِ يَوْمَ القِيَامَةِ الْمُصَوِّرُوْنَ.
অর্থ: হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরুক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গে হযরত ইয়াসার ইবনে নুমাইর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট শুনেছি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দিবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় খ-, পৃষ্ঠা ৮৮০)
হযরত সাঈদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক ব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট এসে বলল, আমি এমন এক ব্যক্তি যে প্রাণীর ছবি অঙ্কন করি, সুতরাং এ ব্যাপারে আমাকে ফতওয়া দিন। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনাকে বললেন, তুমি আমার নিকটবর্তী হও। তিনি উনার নিকটবর্তী হলেন। পুণরায় বললেন, তুমি আরো নিকটবর্তী হও। তিনি আরো নিকটবর্তী হলেন হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার মাথায় হাত মুবারক রেখে বললেন, আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এ ব্যাপারে যা বলতে শুনেছি তোমাকে তা বলব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক প্রাণীর ছবি তৈরীকারীই জাহান্নামে যাবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেকটি ছবিকে প্রাণ দিবেন এবং সেই ছবিগুলো তাদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।” হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, তোমার যদি ছবি আঁকতেই হয় তবে গাছ-পালা বা প্রাণহীন বস্তুর ছবি আঁকো। (মুসলিম শরীফ ২য় খ- পৃষ্ঠা ২০২)
অনুরুপভাবে পর্দা তরক করা যে স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানীর অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বহু পবিত্র আয়াত শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছে। যেমন পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক মুবারক করেন-
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ. وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ.
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি তারা যা করে তার খবর রাখেন। আর আপনি মু’মিনা নারীদেরকে বলুন, তারাও যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে ও তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৩০, ৩১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَن حَضْرَتْ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْاِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ عَلِيٍّ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا حَضْرَتْ عَلِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَا تُتْبِعِ النَّظْرَةَ النَّظْرَةَ فَإِنَّ لَكَ الْأُوْلٰى وَلَيْسَتْ لَكَ الْاٰخِرَةُ.
অর্থ: “হযরত বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম! দৃষ্টিকে অনুসরণ করবেন না। প্রথম দৃষ্টি (যা অনিচ্ছা সত্ত্বে পতিত হয় তা) ক্ষমা করা হবে; কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি ক্ষমা করা হবে না।” অর্থাৎ প্রতি দৃষ্টিতে একটি কবীরা গুণাহ্ লেখা হয়ে থাকে। (আহমদ, তিরমিযী শরীফ, আবু দাঊদ শরীফ, দারিমী, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِىْ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُوْرَ اِلَيْهِ.
অর্থ: “হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি আল্লাহ পাক উনার লা’নত।” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারা সরাসরি পর্দাকে ফরয করে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় বরং চোখের দৃষ্টিসহ সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে হিফাযত করে পর্দা করতে বলা হয়েছে।
গবেষণা করে দেখা গেছে যে, “প্রত্যেক মানুষ পুরুষ কিংবা মহিলা সে প্রতি দু’সেকেন্ডে পাঁচটি করে চোখের পলক বা দৃষ্টি ফেলে থাকে। সে হিসেবে প্রতি মিনিটে ১৫০টি পলক বা দৃষ্টি করে থাকে। আর ঘণ্টা হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় ৯০০০ (নয় হাজার) পলক বা দৃষ্টি করে থাকে। সে হিসেবে বেগানা পুরুষ ও মহিলা পরস্পর পরস্পরের প্রতি দৃষ্টি দেয়ার কারণে তাদের উভয়ের প্রতি এক মিনিটে তিনশ’টি এবং এক ঘণ্টায় আঠারো হাজার কবীরা গুনাহ্ লিখা হয়। এ হিসাব একজন পুরুষ ও একজন মহিলার ক্ষেত্রে।
আর একজন পুরুষ কিংবা মহিলা যদি কোন জনসমাবেশে যোগ দেয় যে জনসমাবেশে পুরুষ বা মহিলার সংখ্যা কমপক্ষে একশ’ জন এবং সেখানে একঘণ্টা অবস্থান করে তাহলে শুধু চোখের দৃষ্টির কারণে তার কবীরা গুনাহর পরিমাণ হবে আঠারো লক্ষ। আর লোক সংখ্যা বেশি হলে এবং বেশি সময় অবস্থান করলে কত লক্ষ-কোটি কবীরা গুনাহ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে পর্দার কত গুরুত্ব রয়েছে তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়।
এটা তো শুধু চোখের গুণাহর কথা বলা হলো। তদ্রƒপ প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা গুনাহ হয়ে থাকে।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হলো কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হলো স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হলো ধাবিত হওয়া, অন্তর চায় ও আকাঙ্খা করে এবং লজ্জাস্থান সেটাকে সত্য অথবা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ যারা বেপর্দা হয়ে থাকে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বর্ণনা মুতাবিক তারা সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা অবৈধ কাজ তথা ব্যভিচারে মশগুল বা লিপ্ত।
হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পর্দাহীনতা ও ছবির প্রচলন এটা মুসলমানের ঈমান-আমল নষ্ট করার ক্ষেত্রে ইহুদী-নাছারাদের একটা বড় ষড়যন্ত্র। ইহুদী-নাছারা তথা তাবৎ কাফির ও মুশরিকরা সদা তৎপর, মুসলমানদেরকে ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক্ব বিধ্বংসী কর্মকা-ে মশগুল করে দিয়ে জাহান্নামী বানানো।
কাফির মুশরিকদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ঘোষণা করে দেন যাতে মুসলমানরা সাবধান, সতর্ক হতে পারে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّوْنَكُمْ مِّنْ بَعْدِ إِيْمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِنْدِ أَنفُسِهِمْ.
অর্থ: আহলে কিতাব তথা ইহুদী-নাছারাদের অনেকেই হিংসামূলক মনোভাবের কারণে আকাঙ্খা করে যে, ঈমান আনার পর আবার তোমরা কাফির হও। (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৯)
মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করে মুসলমানদেরকে জাহান্নামী বানানোর ষড়যন্ত্র হিসেবে কাফির-মুশরিকরা মুসলমান নামধারী মুনাফিক উলামায়ে ছূ ও গোমরাহ শাসকদের মাধ্যমে ছবি ও বেপর্দার প্রচলন ঘটিয়েছে। এমনকি মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগীগুলো যাতে বরবাদ হয় সেক্ষেত্রেও তারা তাদের ষড়যন্ত্রগুলো কাজে লাগিয়ে থাকে। বিশেষ করে ছবি ও বেপর্দা এ বিষয় দু’টি এমন বিষয় যে বিষয় দু’টি মুসলমানদেরকে জাহান্নামী করার জন্য যথেষ্ট। নাঊযুবিল্লাহ! কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, বেহেশতের দরজায় লেখা রয়েছে-
اَلدَّيُّوْثُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ
অর্থ: দাইয়ূছ অর্থাৎ যে পুরুষ কিংবা মহিলা নিজে পর্দা করে না এবং তার অধিনস্তদেরকে পর্দা করায় না সে বেহেশতে প্রবেশ করবে না। (মুসনাদে আহমদ)
একইভাবে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ.
অর্থ: প্রত্যেক ছবি তোলনেওয়ালা বা তোলানেওয়ালা জাহান্নামী। (মুসলিম শরীফ)
এখন মুসলমান পবিত্র নামায, পবিত্র রোযা, পবিত্র হজ্জ, পবিত্র যাকাত ইত্যাদি যত ইবাদত-বন্দেগী বা আমলই করুক তাকে যদি দাইয়ূছ ও মুছাওয়ির অর্থাৎ ছবি তুলনেওয়ালা বা তোলানেওয়ালা বানানো যায় তাহলে তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গেল। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইবলীস শয়তান যেভাবে সফল একইভাবে ইবলীসের দোসর তাবৎ কাফির-মুশরিকরাও সফল। নাঊযুবিল্লাহ!
তাই মুসলমানকে জাহান্নামী করার জন্য কাফির-মুশরিকরা উল্লেখযোগ্য হাতিয়ার হিসেবে ছবি ও বেপর্দা এ বিষয় দু’টিকে বেছে নিয়েছে আর মুসলমানরা তাদের সেই ষড়যন্ত্রের জালে পা দিয়ে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)