পবিত্র হামদ্ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ লেখা, পাঠ করা ও শোনা খাছ সুন্নত মুবারক। গান-বাজনা করা, শোনা হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত-১
, ০২ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করতেন-
اِنَّ اللهَ يُؤَيِّدُ حَسَّانَ بِرُوْحِ الْقُدْسِ مَا نَافَحَ اَوْ فَاخَرَ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত হাসসান বিন ছাবিত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার দ্বারা সাহায্য করেন যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ হতে গৌরবময় পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ অথবা কাফিরদের কুফরীমূলক এবং অশ্লীল ও অশালীন বক্তব্যের জাওয়াব স্বরূপ পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ পাঠ করতে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!
কাজেই পবিত্র হামদ্ শরীফ, পবিত্র না’ত শরীফ ও পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ লেখা, পাঠ করা ও শোনা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। আর গান-বাজনা করা হারাম ও কবীরা গুণাহ ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। তা নবী তত্ত্ব, মুর্শিদী, জারী, কাওয়ালী, পল্লীগীতি, ভাওয়ালী, ভক্তিমূলক ইত্যাদি যে কোন প্রকার গানই হোক না কেন। তবে বাজনা বা বাদ্য-যন্ত্র ব্যতীত পবিত্র হামদ্ শরীফ, পবিত্র না'ত শরীফ, পবিত্র ক্বাছীদাহ শরীফ ইত্যাদি পাঠ করা ও শোনা জায়িয এবং মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
তাই কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইলিম দু’প্রকার।
(১) ইলমে আরূজী অর্থাৎ ছন্দ প্রকরণ যেমন “বালাগাল উলা বিকামালিহী ও মীলাদ শরীফ উনার মধ্যে পাঠকৃত ক্বাছীদাহ শরীফসমূহ, যা গানের সূরে পাঠ করা হয় না।
(২) “ইলমে মুসীক্বী" অর্থাৎ রাগ রাগীনী বা গানের সূর। কাজেই বাদ্য-যন্ত্র বা বাজনা তা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণই নাজায়িয ও হারাম। সাথে সাথে বাদ্যবিহীন ইলমে মুসীক্বীও নাজায়িয।
মূলতঃ মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের অকাট্য দলীল দ্বারা গান-বাজনা সুস্পষ্টভাবে হারাম সাব্যস্ত হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার অসংখ্য স্থানে গান-বাজনা করতে ও শুনতে নিষেধ করেছেন। যেমন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا ۚ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ.
অর্থ: “লোকদের মধ্যে কিছু এরূপ আছে যে, "লাহওয়াল হাদীছ” বা সঙ্গীত বা গান-বাজনা করে, এ কারণে যে, (লোকদেরকে) বিনা ইলিমে মহান আল্লাহ পাক উনার পথ হতে সরিয়ে দেয় এবং তা হাসি-ঠাট্টারূপে ব্যবহার করে। তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।” (পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৬)
অনুসরণীয় হযরত মুফাসসিরীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় “গান-বাজনাকে” সাব্যস্ত করেছেন। (তাফসীরে কুরতুবী, আহকামুল কুরআন, তাবারী, মাযহারী, দুররে মানছুর, মাদারিক, মায়ালিম, ইবনে কাছীর ইত্যাদি সমূহ তাফসীর গ্রন্থ)
গান-বাজনা ও বাদ্য-যন্ত্র হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য মহাপবিত্র হাদীছ শরীফও বর্ণিত রয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتِ ابْنِ عُمَرَ رَضِیَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الاِسْتِمَاعُ إِلَى الْمَلَاهِيْ مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا كُفْرٌ
অর্থ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, গান শোনা গুনাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসিকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (বাহরুর রায়িক, মাবসূত) (অসমাপ্ত)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সুন্নতী খাবার পরিচিতি
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
জানাযা নামাযের হুকুম-আহকাম ও মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক (১)
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
০৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র আযানের জবাব দেয়ার হুকুম-আহকাম ও খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক (১)
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার যব ও যবের রুটি
০৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (৩)
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘হাইস’
০২ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (২)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার “হারীসাহ
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে (নববর্ষ) বা নওরোজ পালন করা হারাম (১)
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সেলাইবিহীন সুন্নতী ইযার বা লুঙ্গি
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুন্নতী খাবার পরিচিতি ও উপকারিতা : দুধজাতীয় খাবার
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)