পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র উমরাহ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক-১২
, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ০৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মুসলমানরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস সম্মতভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক নির্দেশিত পথ অনুযায়ী তারা এই আঞ্জাম দিবে। সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি গায়েবী মদদ করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বিষয়টা ফিকির করতে হবে। এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার আওয়াজ মুবারককে পৌঁছিয়ে দিলেন। সেটাই বলা হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বদরে মতলক্ব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহসানে মতলক্ব। উনারা বান্দা-বান্দি উম্মতের বিষয়গুলি কুদরতীভাবেই ফয়সালা করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! এখন যারা উনার আযানে লাব্বায়িক বলেছে তাদের প্রত্যেকেরই পবিত্র হজ্জ নছীব হবে। সেটাই বলা হচ্ছে। আর সেটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ فُرِضَ عَلَيْكُمُ الْـحَجُّ فَحُجُّوْا.
অর্থ: হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খুতবা মুবারক দিলেন, সেই খুতবা মুবারকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, হে মানুষেরা! আপনারা জেনে রাখুন, আপনাদের জন্য পবিত্র হজ্জ ফরয করা হয়েছে। কাজেই যাদের উপর পবিত্র হজ্জ ফরয হবে তারা যেন পবিত্র হজ্জ সম্পাদন করে নেয়। অর্থাৎ সম্পাদন করে নিন। সুবহানাল্লাহ! আর যাদের প্রতি পবিত্র হজ্জ ফরয হয়ে যাবে, তাদের দেরি করা ঠিক হবে না। যেটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰـى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَرَادَ الْـحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ.
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ أَرَادَ الْـحَجَّ فَلْيَتَعَجَّلْ
যে হজ্জের ইরাদা করলো, যার উপর হজ্জ ফরয হয়ে গেল সে যেন তাড়াতাড়ি সেটা সম্পাদন করে নেয়, সে যেন দেরি না করে। হতে পারে তার প্রতি হজ্জ ফরয হলো, যে বৎসর সে পালন করতে পারবে সে বছর সে করলো না, পরবর্তী সময় তার নানান সমস্যা সৃষ্টি হলো, নানাদিক থেকে। হয়ত সে এরপর আর করতে পারবে না, তার ফরযটা সে আদায় করতে না পারার কারণে সে গুনাহগারের অন্তর্ভুক্ত হবে। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই বিষয়গুলি খুব গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ এ বিষয়টার মূল বিষয় সেটা হলো, যে বিষয়গুলো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে বান্দা-বান্দি, উম্মতের জন্য ফরয-ওয়াজিব করা হয়ে থাকে, সেটা ফরয ওয়াজিব হলেই সাথে সাথে সেটা আদায় করে নিতে হবে। সেখানে আর কোন গাফলতি, ক্রটি করা যাবে না। অলসতা করে সেটা ফেলে রাখা যাবে না। যথা সময়, যথাযথভাবে সেটা আদায় করে নিতে হবে। আর বিশেষ করে যারা হজ্জ করবে এদের আলাদা সম্মান দেয়া হয়েছে, ফযীলত দেয়া হয়েছে, খুছূছিয়াত দেয়া হয়েছে। যেটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ وَفْدُ اللهِ ثَلَاثَةٌ اَلْغَازِيُ وَالْـحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ
অর্থ: হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিনিধি হচ্ছেন তিন প্রকার লোক। যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিনিধি হচ্ছেন তিন প্রকার লোক। তারা কারা?
اَلْغَازِيُ وَالْـحَاجُّ وَالْمُعْتَمِرُ
যারা গাজী, জিহাদ করতে বের হয়ে যায়। যারা পবিত্র হজ্জ করতে বের হয় আর যারা পবিত্র উমরাহ করতে বের হয়। উনারা হচ্ছেন যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিনিধির অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শুকনা গোশ্ত খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন এলকোহলমুক্ত বিশুদ্ধ সুগন্ধি সুন্নতী আতর
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মানুষ মেথির উপকারিতা জানলে প্রয়োজনে স্বর্ণ দিয়ে ওজন করে ক্রয় করতো
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী ফল “আঙ্গুর”
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বেমেছাল উপকারিতা সমৃদ্ধ মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার “কিছ্ছা”
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করতে হবে
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র নামায উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)