হিকায়াতুল আবরার বা নছীহতমূলক ঘটনাসমূহ
পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের উজ্বল দৃষ্ঠান্ত
, ২৯ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৬ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
এ প্রসঙ্গে বলা হয়ে থাকে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং পূর্ববর্তী ইমাম, মুজতাহীদ উনারা কতটুকু পবিত্র সুন্নত উনার প্রতি মজবুত ছিলেন, দৃঢ় ছিলেন। হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটা ওয়াকেয়া বলা হয় যে, হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ফক্বীহদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। উনার বুযুর্গী, উনার ফযীলত-ফাযায়েল সমস্ত ইমাম উনারা স্বীকার করে নিয়েছেন। হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন,
الفقهاء كلهم عيال ابى حنيفة رحمة الله عليه.
“সমস্ত ফক্বীহ উনারা ইলমের দিক দিয়ে হযরত ইমামে আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সন্তানতুল্য।” সেই হযরত ইমমে আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশ বৎসরের নামায দোহরায়ে পড়েছেন। বিশ বৎসরের নামায দোহরায়ে পড়েছেন কেন? ওযুর সময় পা খিলাল করা মুস্তাহাব, সুন্নতে যায়িদা। তিনি বিশ বৎসর যাবত পা-এর আঙ্গুলের উপর দিয়ে খিলাল করেছেন। যখন উনার তাহক্বীক হলো যে, পা-এর উপর দিয়ে খিলাল করা মুস্তাহাব সুন্নত নয়, সুন্নত হলো- আঙ্গুল-এর তলের দিক দিয়ে খিলাল করা। তখন হযরত ইমাম আযম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সেই বিশ বৎসরের নামায আবার পুণরায় ওযু করে পা-এর আঙ্গুলের তলের দিক দিয়ে খিলাল করে সেই সুন্নত আদায় করে নামায দোহরায়ে পড়েছিলেন। (সুবহানাল্লাহ)
ছোহবত উনার তাছীর
কবি বলেন, “সৎসঙ্গ তোমাকে আল্লাহওয়ালা করে দিবে, আর অসৎ সঙ্গ করে দিবে তোমাকে অসৎ।”
সুতরাং বুঝা গেল যে, “মুত্তাকী” বা আল্লাহভীরু হওয়ার জন্য মুত্তাকী বা আল্লাহওয়ালা উনাদের সাহচার্য (ছোহবত) লাভ করা একান্তই জরুরী।
এ প্রসঙ্গে কবি সম্রাট হযরত শায়খ সা’দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার গোলেস্তাঁ কিতাবে লিখেন-
অর্থ : “আমার এক বন্ধু হাম্মাম খানায় আমাকে একটি মাটির টুকরা দিল, আমি মাটির টুকরোকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি মেশকে আম্বর না আবেরী? কেননা তোমার সুঘ্রানে আমি মত্ত হয়ে গিয়েছি। মাটি জবাব দেয়- আমি যে মাটি সেই মাটিই ছিলাম। কিন্তু আমি কিছু দিন গোলাপ ফুল গাছের সাহচার্যে (সোহবতে) ছিলাম, গোলাপ ফুলের পাপড়ীগুলো আমার মধ্যে ঝরে পড়তো, আর তাই আমি মাটি উক্ত ফুলের ছোহবতে থাকার কারনে ফুলের ন্যায় সুঘ্রাণযুক্ত হয়ে যাই। নতুবা আমি মাটিই ছিলাম।”
কাজেই একটি মাটির টুকরো যদি গোলাপ ফুলের সাহচার্যে (সোহবতে) থেকে ফুলের ন্যায় সুঘ্রান হয়ে যেতে পারে, তবে মুত্তাকী উনাদের সাহচার্যে (ছোহবতে) থাকলে কেন মুত্তাক্বী হওয়া যাবে না? অবশ্যই মুত্তাক্বী বা আল্লাহওয়ালা হওয়া যাবে। এর মধ্যে কোনই সন্দেহ নেই। আর মুত্তাক্বী বা আল্লাহওয়ালা হওয়া যাবে বলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন- “তোমরা সত্যবাদী অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের সাহচার্য (ছোহবত) লাভ কর।”
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাবার ‘কিস্সা’
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন বিভিন্ন প্রকারের সুন্নতী খাবার ‘খেজুর’
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন মাথায় ব্যবহার করার সুন্নতী ‘কেনায়া’
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইমামাহ বা পাগড়ী পরিধানের মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন কালোজিরা ও কালোজিরার তেল
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মধু
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী লিবাস ‘জুব্বা’
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী খাবার মাঠা (লাবান)
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী খাদ্য ‘যব’
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)