পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার ফাযায়িল-ফযীলত (১৭)
, ১০ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২১ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র তারাবীহ নামায উনার মধ্যে চার রাকাআত পর পর মুনাজাত
পবিত্র তারাবীহ নামায উনার প্রতি চার রাকায়াত পর পর উপরোক্ত দুয়া পাঠ করত: হাত তুলে সম্মিলিতভাবে নি¤েœাক্তভাবে মুনাজাত করা মুস্তাহাব।
اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّـِدِنَا نَبِيّـِنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا وَسِيْلَتِىْ اِلَيْكَ وَاٰلِهٖ وَسَلّـِمْ. رَبّ ارْحَمْ هُـمَا كَمَا رَبَّيَانِـىْ صَغِيْرًا. رَبَّنَا اَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَّتَوَفَّنَا مُسْلِمِيْنَ. رَبَّنَا اٰتِنَا فِى الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّفِى الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّقِنَا عَذَابَ النَّارِ. اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّـِدِنَا نَبِيّـِنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا مَعْدَنِ الْـجُوْدِ وَالْكَرَمِ وَاٰلِهٖ وَسَلّـِمْ. اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْئَلُكَ الْـجَنَّةَ وَنَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَا خَالِقَ الْـجَنَّةِ وَالنَّارِ بِرَحْـمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَا غَفَّارُ يَا كَرِيْـمُ يَا سَتَّارُ يَا رَحِيْمُ يَا جَبَّارُ يَا خَالِقُ يَا بَارُّ. اَللّٰهُمَّ اَجِرْنَا مِنَ النَّارِ يَا مُـجِيْرُ يَا مُـجِيْرُ يَا مُـجِيْرُ بِرَحْـمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرَّاحِـمِيْنَ. اَللّٰهُمَّ صَلّ عَلٰى سَيّـِدِنَا نَبِيّـِنَا حَبِيْبِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلٰنَا اَلنَّبِىّ ِالْاُمّىّ وَاٰلِهٖ وَسَلّـِمْ. سُبْحَانَ رَبّـِكَ رَبّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ. وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ. وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبّ الْعَالَمِيْنَ.
মহিলাদের জন্য পবিত্র তারাবীহ ও পবিত্র ঈদের নামায জামায়াতে পড়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়া হারাম
মহিলাদের পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, তারাবীহ, ঈদসহ যেকোন নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদে ও ঈদগাহে যাওয়া আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহরীমী। আর খাছ ফতওয়া মতে হারাম ও কুফরী। মহিলারা যদিও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় মসজিদে ও ঈদগাহে গিয়ে জামায়াতে নামায আদায় করেছেন।
কিন্তু পরবর্তীতে দ্বিতীয় খলীফা আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তা বন্ধ করে দেন এবং মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে আসতে নিষেধ করে দেন।
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি উনার এ ফতওয়াকে সত্যায়িত করেন এবং সমস্ত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা সকলেই এই মতের উপর ইজমা করেছেন। [এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত উনার ১১, ১৪, ২৯, ৩৭, ৪৩, ৪৪, ৪৭, ৭১, ৭৬, ৮২, ১০১ ও ১০২তম সংখ্যা দ্রষ্টব্য]
খতম তারাবীহ ও সূরা তারাবীহ উভয়টিই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া
কেউ কেউ বলে থাকে ‘খত্মে তারাবীহ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ’। মূলত: তাদের সে বক্তব্য মোটেও শুদ্ধ নয়। কারণ, খত্মে তারাবীহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ হলে প্রত্যেক পুরুষ ও মহিলাকে তা পড়তে হবে। অন্যথায় সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরকের গুনাহে গুনাহ্গার হবে। আর খত্মে তারাবীহ পড়তে হলে প্রত্যেককে হাফিযে কুরআন হতে হবে। চাই জামায়াতে পড়ুক অথবা একা পড়ুক। অথচ সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে হাফিয হওয়া ফরযে কিফায়া। আর তারাবীহর জামায়াত যেহেতু সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া সেহেতু কিছু লোক একাও তারাবীহ পড়তে পারে। এছাড়া অসুস্থ ব্যক্তির জন্য একা পড়ার হুকুমই রয়েছে। আর মহিলাদের জন্য তো তারাবীহ্সহ সকল প্রকার নামাযের জামায়াতে যাওয়া আম ফতওয়া মতে মাকরূহ তাহ্রীমী আর খাছ ফতওয়া মতে হারাম ও কুফরী।
কাজেই, যারা একা নামায পড়বে, তারা যদি হাফিযে কুরআন না হয়, তবে তারা খত্মে তারাবীহ কি করে পড়বে? যে ব্যক্তি হাফিয নয় সে খত্মে তারাবীহ্র নামায জামায়াতে পড়া শুরু করলো হঠাৎ কোন কারণবশতঃ সে ২ বা ৪ রাকায়াত বা তার চেয়ে কম-বেশী রাকায়াত পড়তে পারলোনা। এখন সে যে কয় রাকায়াত পড়তে পারলোনা তা কিভাবে পড়বে?
খত্মে তারাবীহ যদি সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ হয়, তাহলে পৃথিবীর প্রতিটি মসজিদে পবিত্র তারাবীহ্ নামায উনার মধ্যে অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতে হবে।
অথচ পৃথিবীতে এমন অনেক স্থান, গ্রাম-গঞ্জ রয়েছে, যেখানে ছলাতুত তারাবীহ পাঠে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার খতম করা সম্ভব নয়। তাহলে সেখানে কি করে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করা হবে? সঙ্গতকারণে বিশ্বখ্যাত ফতওয়ার কিতাবসমূহে ফতওয়া দেয়া হয়েছে যে, খত্মে তারাবীহ ও সূরা তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা কোনটিই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নয়। বরং উভয়টিই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া। অএতব, কেউ ইচ্ছা করলে খতম তারাবীহ পড়তে পারে। আবার কেউ ইচ্ছা করলে সূরা তারাবীহ পড়তে পারে। [এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ১০০তম সংখ্যা পাঠ করুন। ]
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)