পবিত্র তারাবীহ নামায নিয়ে এক লা মাযহাবীর সাথে কথোপকথন
, ০৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ০২ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
আমি: আসসালামু আলাইকুম।
লা মাযহাবী: ওয়া আলাইকুম (রাগত স্বরে)।
আমি: পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস এসেছে।
লা মাযহাবী: হুম।
আমি: আচ্ছা ভালো কথা! আপনারা পবিত্র তারাবীহ নামায ৮ রাকায়াত পড়েন কেন? পবিত্র তারাবীহ নামায তো ২০ রাকায়াত।
লা মাযহাবী: কে বলছে ২০ রাকায়াত? বুখারী শরীফ-এ স্পষ্ট ৮ রাকায়াত লিখা আছে।
আমি: আপনি যে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কথা বলছেন সেটা তো পবিত্র তারাবীহ নামাযের দলীল না, পবিত্র তাহাজ্জুদ নামাযের দলীল।
লা মাযহাবী: আপনারে কে বলছে?
আমি: সেটা যদি পবিত্র তারাবীহ নামাযের দলীলই হতো, তাহলে পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায অধ্যায়ে উল্লেখ করা কেন?
লা মাযহাবী: (চুপ)
আমি: সেই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে তো পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও রমাদ্বান শরীফ মাসের বাইরে ৮ রাকায়াত নামাযের কথা লিখা। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের বাইরে কি পবিত্র তারাবীহ নামায আছে?
লা মাযহাবী: (চুপ)
আমি: আপনার সেই হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মোট এগার রাকায়াত নামাযের কথা লিখা আছে। ধরে নিলাম, পবিত্র তারাবীহ নামায ৮ রাকায়াত, আপনারা তো বিতির নামায ১ রাকায়াত পড়েন । তাহলে ৮+১=৯ হলো, বাকী ২ রাকায়াত কিসের নামায?
লা মাযহাবী: (রাগত স্বরে) এত কথা বলেন কেন?
আমি: আমি তো ভুল কিছু বলিনি।
লা মাযহাবী: আমার ইচ্ছে আমি ৮ রাকায়াত পড়বো, আপনার সমস্যা আছে?
আমি: না! আপনি ৮ রাকায়াত পড়েন আর ৪০ রাকায়াত পড়েন, সেটা আপনার ইচ্ছা। কিন্তু মানুষকে বিভ্রান্ত করেন কেন?
লা মাযহাবী: কই বিভ্রান্ত করলাম?
আমি: কেন! আপনারা সারাদিন পবিত্র তারাবীহ নামায ৮ রাকায়াত বলে চিল্লাচিল্লি করে বেড়ান কেন?
লা মাযহাবী: (চুপ)
আমি: আচ্ছা! আপনি তারাবীহ নামায কি মসজিদে গিয়ে পড়েন?
লা মাযহাবী: অবশ্যই।
আমি: তাহলে আপনার খতমে তারাবীহ হয়?
লা মাযহাবী: কেন হবে না?
আমি: কিভাবে হয়! আপনি তো ৮ রাকায়াত পড়ে চলে যান, বাকী ১২ রাকায়াত তো পড়েন না, তাহলে খতমে তারাবীহ কিভাবে হয়?
লা মাযহাবী: (চুপ)
আমি: আচ্ছা আরেকটা কথা, পবিত্র কুরআন শরীফ-এ রুকু কয়টি জানা আছে?
লা মাযহাবী: কেন! ৫৪০টা
আমি: এই ৫৪০টা রুকু কেন করা হয়েছে জানা আছে?
লা মাযহাবী: না!
আমি: ৫৪০টা রুকু করা হয়েছে কারণ ২৭ দিনে খতমে তারাবীহ শেষ করা হয়, সে হিসেবে প্রতিদিন ২০ রাকায়াতে ২০ রুকু পড়া হয়। তাই ২৭ ২০ = ৫৪০
লা মাযহাবী: ও......................
(অতঃপর লা মাযহাবীর লা জাওয়াব হয়ে প্রস্থান ............)
-মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ছবি তোলা হারাম, যা জাহান্নামী হওয়ার কারণ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সকল কাফিররাই মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্রু
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৫)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৪)
২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১৩)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ঈমানদীপ্ত ঐতিহ্য (৪৭)
২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)