পবিত্র তারাবীহ্ নামায তাড়াহুড়া না করে, ইতমিনানের সহিত পড়াই খাছ সুন্নত মুবারক
, ১০ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০২ হাদি ‘আশির, ১৩৯০ শামসী সন , ০২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ চৈত্র, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -
وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ.
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার উদ্দেশ্যে (পবিত্র নামাযে) বিনয় সহকারে দণ্ডায়মান হও।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ : ২৩৮)
অর্থাৎ ধীরস্থিরভাবে পবিত্র নামায উনার ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব যথাযথ আদায় করার মধ্য দিয়ে এবং হুযূরী ক্বলবের সাথে পবিত্র নামায আদায় করতে হবে। অন্যথায় পবিত্র নামায উনার হক্ব আদায় হবে না। তা কেবল উঠা-বসার নামান্তর হবে।
‘তারাবীহ্’ অর্থ তাড়াতাড়ি এটা ভুল ধারণা। সঠিক বর্ণনা হচ্ছে تراويح ‘তারাবীহ্’ শব্দটি ترويحة ‘তারবীহাতুন’ শব্দের বহুবচন। এর অর্থ বিশ্রাম নেয়া, আরাম করা। অর্থাৎ চার রাকায়াতের পর বসে পবিত্র দোয়া-পবিত্র দুরূদ শরীফ, পবিত্র তাসবীহ পাঠের মাধ্যমে বিরতি বা বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে এ নামায আদায় করা হয় বলেই এ পবিত্র নামাযকে তারাবীহ্ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
কাজেই, পবিত্র তারাবীহ্ নামায অন্যান্য ফরয-ওয়াজিব নামাযের মতোই ধীরস্থিরভাবে আদায় করতে হবে।
স্মরণীয় যে, পবিত্র নামায উনার মধ্যে পবিত্র সূরা-ক্বিরায়াত পাঠ করা হচ্ছে ফরয। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে -
قراءة الامام قراءة المقتدى.
অর্থ: “ইমাম ছাহিব উনার ক্বিরায়াতই হচ্ছে মুক্তাদীর ক্বিরায়াত।”
সুতরাং, ইমাম ছাহিবকে তারতীলের সাথে স্পষ্ট করে সূরা-ক্বিরায়াত পড়তে হবে। এটা হচ্ছে ইমাম ছাহিবের দায়িত্ব। আর মুক্তাদীকে তা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। এটা হচ্ছে মুক্তাদীর দায়িত্ব। এখন ইমাম ছাহিব যদি তার দায়িত্ব পালনে ত্রুটি করে, তাহলে ইমাম-মুক্তাদী সকলের নামাযই বাতিল হয়ে যাবে। এজন্য এরূপ ইমাম নিযুক্ত করা এবং তার পিছনে নামায আদায় করা জায়িয নেই। আর কোন মুক্তাদী যদি তার দায়িত্বের ব্যাপারে ত্রুটি করে তাহলে কেবল তার নিজের নামায বাতিল হবে।
অতএব, পবিত্র তারাবীহ্ পড়নেওয়ালা ইমাম বা হাফিয ছাহিবের দায়িত্ব হচ্ছে তারতীলের সাথে স্পষ্ট করে পবিত্র সূরা-ক্বিরায়াত পড়া বা খতম পড়া।
আর হাফিয ছাহিব খতম সম্পন্ন করার জন্য যেমন একবার “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” স্পষ্ট করে সুন্দর করে মুক্তাদীকে শুনিয়ে দেন ঠিক পুরো পবিত্র কুরআন শরীফই স্পষ্ট করে শুনাতে হবে। এর ব্যতিক্রম করলে পবিত্র খতম ও পবিত্র নামায কোনটিই শুদ্ধ হবে না। (দলীলসমূহ : তাফসীরে মাযহারী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ, ফতওয়ায়ে আলমগীরী, শামী, বাহরুর রায়িক ইত্যাদি)
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শুকনা গোশ্ত খাওয়া খাছ সুন্নত মুবারক
০৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন এলকোহলমুক্ত বিশুদ্ধ সুগন্ধি সুন্নতী আতর
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুন্নতী খাবার সম্পর্কিত হাদীছ শরীফ
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মানুষ মেথির উপকারিতা জানলে প্রয়োজনে স্বর্ণ দিয়ে ওজন করে ক্রয় করতো
০৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী ফল “আঙ্গুর”
০৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বেমেছাল উপকারিতা সমৃদ্ধ মহাসম্মানিত সুন্নতী খাবার “কিছ্ছা”
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সকল ধরণের সুন্নতী খাবার
০২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কিয়ামত পর্যন্ত মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক উনার কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন খাছ সুন্নতী “টুপি
০১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক ও উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক হাছিল করতে হলে অবশ্যই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার ইত্তেবা করতে হবে
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’ থেকে সংগ্রহ করুন সুন্নতী ফল ‘ডুমুর’
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র নামায উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)