পবিত্র ছলাতুত তাসবীহ উনার ফযীলত ও আদায় করার নিয়ম
, ১৪ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ১২ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ اَنَّ النَّبـِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا عَبَّاسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا عَمَّاهْ اَلَا اُعْطِيْكَ اَلَا اَمْنَحُكَ اَلَا اُخْبِـرُكَ اَلَا اَفْـعَلُ بِكَ عَشْرَ خِصَالٍ اِذَا اَنْتَ فَـعَلْتَ ذٰلِكَ غَفَرَ اللهُ لَكَ ذَنْۢبَكَ اَوَّلَه وَاٰخِرَه وَقَدِيْـمَه وَحَدِيْـثَه وَخَطَأَهٗ وَعَمَدَه وَصَغِيْـرَه وَكَبِيْـرَه وَسِرَّه وَعَلَانِيَـتَه اَنْ تُصَلِّىَ اَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فَاِنْ لَّـمْ تَـفْعَلْ فَفِىْ كُلِّ جُـمُعَةٍ مَرَّةً فَاِنْ لَّـمْ تَـفْعَلْ فَفِىْ كُلِّ سَنَةٍ مَّرَّةً فَاِنْ لَّـمْ تَـفْعَلْ فَفِيْ عُمُرِكَ مَرَّةً
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (আমার পিতা) হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনাকে বলেন, ‘হে হযরত আব্বাস (আলাইহিস সালাম)! হে আমার চাচা! আমি কি আপনাকে দিবো না, আমি কি আপনাকে প্রদান করবো না, আমি কি আপনাকে সংবাদ দিবো না, আমি কি আপনার সাথে করবো না দশটি কাজ? (অর্থাৎ শিক্ষা দিবো না দশটি তাসবীহ) যখন আপনি তা আমল করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার প্রথম গুণাহ, শেষ গুণাহ, পুরাতন গুণাহ, নতুন গুণাহ, অনিচ্ছাকৃত গুণাহ, ইচ্ছাকৃত গুণাহ, ছোট গুণাহ, বড় গুণাহ, গোপন গুণাহ, প্রকাশ্য গুণাহ ইত্যাদি সকল গুণাহখতা ক্ষমা করে দিবেন। আপনি (ছলাতুত তাসবীহ উনার) চার রাক‘আত নামায পড়বেন। .... যদি সম্ভব হয় তবে প্রতি জুমুয়াতে একবার এ নামায আপনি পড়বেন। যদি সম্ভব না হয় তবে বছরে একবার, তাও যদি সম্ভব না হয় তবে জীবনে অন্তত একবার, এ নামায আপনি পড়বেন।” (আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, বায়হাকী ফী দা’ওয়াতিল কবীর শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
চার রাক‘আত নামায ‘ছলাতুত তাসবীহ’ উনার নিয়তে, প্রত্যেক রাক‘আতে ৭৫ বার তাসবীহ পড়তে হয়। নিয়ত:
نَـوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَـعَالٰى اَرْبَعَ رَكَعَاتِ صَلٰوةِ التَّسْبِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَـعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْـفَةِ اَللهُ اَكْبَـرُ
অতঃপর তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে ছানা পড়ার পরে ১৫ বার, পবিত্র সূরা শরীফ পড়ে ১০ বার, রুকূতে ১০ বার, রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে ক্বওমায় ১০ বার, প্রথম সিজদায় ১০ বার, প্রথম সিজদা হতে মাথা উঠিয়ে জলসায় বসে ১০ বার এবং ২য় সিজদায় ১০ বার, এভাবে ৭৫ বার পড়বে। তাসবীহখানা হলো-
سُبْحَانَ اللهِ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَـرُ
অতঃপর পরবর্তী রাক‘আতের জন্য দাঁড়াবে। দাঁড়িয়ে প্রথমেই ১৫ বার উক্ত তাসবীহ পাঠ করবে। তারপর প্রথম রাক‘আতের মতই উক্ত তাসবীহগুলো আদায় করবে। অর্থাৎ চার রাক‘আত নামায উনার মধ্যে ৭৫*৪ মোট ৩০০ বার উক্ত তাসবীহ পাঠ করবে। “ছলাতুত তাসবীহ” নামায আদায়কালীন হাতে তাসবীহ নিয়ে ছলাতুত তাসবীহ উনার তাসবীহগুলো গণনা করা মাকরূহ। অঙ্গুলি টিপে টিপে তাসবীহগুলো গণনা করতে হবে। বিশেষভাবে স্মরণীয় যে, কোনো স্থানে তাসবীহ পড়তে ভুলে গেলে পরবর্তী তাসবীহ পাঠের সময় তা আদায় করে নিতে হবে। তবে শর্ত হচ্ছে ক্বওমা ও জলসায় উক্ত তাসবীহ আদায় করা যাবে না। যেমন, সূরা ক্বিরাআত পাঠের পূর্বে তাসবীহ ভুলে গেলে তা ক্বিরাআতের পর আদায় করতে হবে। ক্বিরাআতের পর তাসবীহ ভুলে গেলে রুকূতে আদায় করতে হবে। রুকূতে তাসবীহ ভুলে গেলে উক্ত তাসবীহ ক্বওমায় আদায় না করে প্রথম সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে।
ক্বওমায় তাসবীহ ভুলে গেলে তাও প্রথম সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। প্রথম সিজদাতে তাসবীহ ভুলে গেলে তা জলসায় আদায় না করে দ্বিতীয় সিজদাতে গিয়ে আদায় করতে হবে। জলসায় তাসবীহ ভুলে গেলে তাও দ্বিতীয় সিজদায় আদায় করতে হবে। আর দ্বিতীয় সিজদাতে তাসবীহ ভুলে গেলে সূরা-ক্বিরাআত পাঠ করার পূর্বে আদায় করে নিতে হবে। আর ভুলে যাওয়া তাসবীহ প্রত্যেক স্থানে ছলাতুত তাসবীহ উনার নির্ধারিত তাসবীহ আদায় করার পর আদায় করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
“আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা (৪)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালন ও রোযা শুরু করার কথা বলার উদ্দেশ্য পবিত্র ঈদ ও পবিত্র রোযাকে নষ্ট করা, যা মূলত মুনাফিকদের একটি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত (৬৩)
২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে হালাল ও হারাম উভয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে (১২)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৫)
২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)