পবিত্র নামায উনার মাসয়ালা-মাসায়িল
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে পবিত্র ছলাত বা নামায উনার ফযীলত ও গুরুত্ব
, ০৯ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ২৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ২৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ১৪ আষাঢ়, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার দশ তারিখ সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশানুযায়ী দুই রাক‘আত নামায জামায়াতের সাথে পড়ে পবিত্র কুরবানী উনার উপযোগী প্রাণী যবাই করত খুশি প্রকাশ করাকে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা বা কুরবানীর ঈদ বলে।
এ পবিত্র নামায জামায়াতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। পবিত্র ঈদুল ফিতরের ন্যায় পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার ওয়াক্তও সূর্যোদয় হতে মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামায ওজরবশতঃ ১০ তারিখে না পড়তে পারলে ১১ ও ১২ তারিখ পড়লেও চলবে।
আদায়ের নিয়ম: পবিত্র ঈদুল ফিতরের নিয়মের মতোই।
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা নামায উনার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَىْ صَلٰوةِ الْعِيْدِ الْاَضْحٰى مَعَ سِتَّةِ تَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالٰى اِقْتَدَيْتُ بِـهٰذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ.
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তা‘আলা রাক‘আতাই ছলাতিল ঈদিল আদ্বহা মা সিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা‘আলা ইক্বাতাদাইতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় নিয়ত: আমি ক্বিবলামুখী হয়ে পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দুই রাক‘আত ওয়াজিব নামায ছয় তাকবীরের সাথে এই ইমাম ছাহেবের পিছনে দাঁড়িয়ে আদায় করছি আল্লাহু আকবার।
আর ইমাম ছাহিব তিনি اِقْتَدَيْتُ بِـهٰذَا الْاِمَامِ এর স্থলে বলবেন-
اَنَا اِمَامٌ لِّـمَنْ حَضَرَ وَمَنْ يَّـحْضُرُ
পবিত্র তাকবীরে তাশরীক :
اَللهُ اَكْبَرُ اَللهُ اَكْبَرُ. لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ. اَللهُ اَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْـحَمْدُ.
উচ্চারণ: “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ”।
মাসয়ালা : পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ ফযর হইতে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামায উনার পর মুক্বীম-মুসাফির, পুরুষ-মহিলা, একাকি বা জামায়াতে সর্বাবস্থায় কম পক্ষে ১বার উক্ত তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব। আর তিনবার পাঠ করা মুস্তাহাব-সুন্নত। সুবহানাল্লাহ! (ফতওয়ায়ে শামী)
পবিত্র তারাবীহ নামায উনার বর্ণনা
পবিত্র ইশা উনার নামায উনার পরে বিতির উনার পূর্বে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার প্রতি রাতে বিশ রাক‘আত তারাবীহ নামায পড়তে হয়। পাঁচ ওয়াক্ত নামায যাদের উপর ফরয ব্যক্তিগতভাবে তাদের সকলের উপরই ২০ রাক‘আত তারাবীহ নামায পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। আর জামা‘য়াতে আদায় করা পুরুষের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া। দুই রাক‘আত পড়ে সালাম ফিরানো উত্তম। চার রাক‘আত পর পর দু‘আ পরে মুনাজাত করতে হয়। বিশ রাক‘আত তারাবীহ শেষ করে তিন রাক‘আত বিতির জামা‘য়াতের সাথে আদায় করতে হয়।
বিতির উনার পরে দু রাক‘আত হালকী নফল বসে পড়াই উত্তম। পবিত্র রমদ্বান শরীফ মাসের মধ্যে পবিত্র তারাবীহ নামায উনার মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়া। পবিত্র সূরা তারাবীহ পড়া খাছ সুন্নত। পবিত্র সূরা তারাবীহ পড়ার উত্তম তরীক্বা হচ্ছে পবিত্র সূরা ফীল শরীফ থেকে পবিত্র সূরা নাস শরীফ পর্যন্ত দু বার পাঠ করা।
পবিত্র তারাবীহ নামায উনার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَىْ صَلٰوةِ التَّرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ.
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তা‘আলা রাক‘আতাই ছলাতিত তারাবীহ সুন্নাতু রসূলিল্লাহি তা‘আলা মুতওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
পবিত্র তারাবীহ নামায উনার দু‘আ (দু’রাক‘আতের পর)
هٰذَا مِنْ فَضْلِ رَبّـِىْ. يَا كَرِيْـمَ الْـمَعْرُوْفِ يَا قَدِيْـمَ الْاِحْسَانِ. اَحْسِنْ اِلَيْنَا بِاِحْسَانِكَ الْقَدِيْـمِ. ثَبِّتْ قُلُوْبَنَا عَلٰى دِيْنِكَ. بِرَحْـمَتِكَ يَا اَرْحَمَ الرّٰحِـمِيْنَ.
উচ্চারণ : হাযা মিন ফাদ্ব্লি রব্বী, ইয়া কারীমাল মা’রূফ, ইয়া ক্বদীমাল ইহসান, আহ্সিন ইলাইনা বিইহ্সানিকাল ক্বদীম, ছাব্বিত ‘কুলূবানা ‘আলা দ্বীনিকা বিরহ্মাতিকা ইয়া র্আহামার রাহিমীন।
অর্থ : “ইহা (পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যের রোযা ও তারাবীহ নামায) আমার মহান রব তা‘আলা উনার মুবারক অনুগ্রহ। হে সুপরিচিত বা মহান অনুগ্রহকারী। হে চির ইহসানকারী। আপনার চিরন্তন ইহসানের দ্বারা আমাদের প্রতি ইহসান করুন এবং আপনার সদয় অনুগ্রহের দ্বারা আমাদের দিল-মনকে আপনার সম্মানিত দ্বীন উনার উপর কায়িম রাখুন হে শ্রেষ্ঠতম অনুগ্রহকারী।”
মুছাফাহা তথা হাতে হাত মিলানো এবং মুয়ানাকা তথা কোলাকুলি করা খাছ সুন্নত মুবারক
মুছাফাহা বা হাতে হাত মিলানো:
একজন মুসলমান অপর মুসলমানের সাথে সাক্ষাতান্তে সালাম বিনিময়ের পর সৌহার্দ্য ও মুহব্বত প্রকাশের মাধ্যমটির নাম হল মুছাফাহা। দেখা হলে মুছাফাহা বা করমর্দন করা একটি ইসলামী শরীয়ত উনার আইন ও উত্তম চরিত্র। এটি মুছাফাহাকারী ব্যক্তিদ্বয়ের মাঝে মুহব্বত-ভালবাসা ও হৃদ্যতার বহিঃপ্রকাশ। অন্যদিকে এটি মুসলমানদের পারস্পারিক হিংসা-বিদ্বেষ ও কলহ দূর করে দেয়। দুই হাতে মুছাফাহা করা খাছ সুন্নত মুবারক এবং এটা ছিল মুসলমানদের মাঝে ও হযরত ছাহাবায়ে কেরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের মাঝে সাধারণ অভ্যাসগত সুন্নত।
মুছাফাহা করা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল মুবারক দ্বারা প্রমাণিত। আর এটি গুনাহ মাফ হওয়ার মাধ্যমও বটে।
হযরত বারা ইবনে আযেব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন দু’জন মুসলমান পরস্পরে সাক্ষাৎকালে মুছাফাহা করে তখন তাদের পৃথক হওয়ার পূর্বেই উভয়ের পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়’। (তিরমিযী শরীফ-২৭২৭ ‘অনুমতি প্রার্থনা’ অধ্যায় ‘মুছাফাহার বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ, সুনানে আবু দাউদ শরীফ -৫২১২)
হযরত ইবনে বাত্তাল রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: “সর্বস্তরের আলেমদের মতে, মুছাফাহা একটি নেক কাজ। ইমাম নববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: সাক্ষাতের সময় মুছাফাহা করা সুন্নত মর্মে ইজমা বা আলেমদের ঐক্যমত্য সংঘটিত হয়েছে।” (যেমনটি রয়েছে ‘ফাতহুল বারী’ ১১/৫৫)
মুয়ানাকা বা কোলাকুলি:
মুয়ানাকা (معانَقَه) শব্দের অর্থ কোলাকুলি করা, বুকে বুক মিলানো। দীর্ঘদিন পর একে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে পরস্পরে মুয়ানাকা বা কোলাকুলি করা সুন্নত। কেউ সফর থেকে এলে দীর্ঘদিন পর দেখা-সাক্ষাৎ হওয়ায় হযরত ছাহাবায়ে-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মুয়ানাকা বা কোলাকুলি করতেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশোদ মুবারক হয়েছে-
উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত, হযরত যায়েদ ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন পবিত্র মদিনা শরীফে এলেন তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার ঘরে ছিলেন। হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমার ঘরে এলেন এবং দরজায় টোকা দিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের কাপড় অর্থাৎ চাদর সামলাতে সামলাতে উঠে গেলেন এবং হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সঙ্গে মুয়ানাকা কোলাকুলি করলেন এবং বুছা দিলেন।’ (তিরমিযী শরীফ : ২৭৩২)
মুয়ানাকা বা কোলাকুলী করার সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে- প্রথমে ডান গলা মিলাবে, অতঃপর বাম গলা মিলাবে অতঃপর পুনঃরায় ডান গলা মিলাবে। অর্থাৎ মুয়ানাকা তিনবার আলাদা করাই আফযল বা উত্তম। অনেকে একবার মুয়ানাকার কথা বলে থাকে তা সঠিক নয়।
উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক আলোচনা দ্বারা অকাট্ট্যভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে, মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করা খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। যারা ছোঁয়াচে বিশ্বাস করে পবিত্র ঈদের দিন বা অন্য যে কোনো সময় মুছাফাহা ও মুয়ানাক্বা করতে নিষেধ করবে বা উক্ত আমল থেকে বিরত থাকবে তারা কুফরী করে মুরতাদে পরিণত হবে। তাছাড়া আমভাবে কোনো সুন্নতকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে আক্বাইদের কিতাবে উল্লেখ আছে,
اهانة السنة كقر
অর্থ: পবিত্র সুন্নত উনাকে ইহানত বা অবজ্ঞা করা কুফরী।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে উপরোক্ত কুফরী আক্বীদা থেকে হিফাজত করে পবিত্র সুন্নত মুতাবিক আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
-মুহম্মদ হাবীবুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)