নড়াইলের ভয়ঙ্কর রাজাকার সোলাইমান এখন এসআর ফারুকী! (১)

, ২৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ০৬ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ জৈষ্ঠ্য, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিশেষ প্রতিবেদন

আল ইহসান ডেস্ক:

নড়াইলের কুখ্যাত রাজাকার, আল-বাদর, আল-শামস, তৎকালীন মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, ধর্মব্যবসায়ী জামাতে মওদুদীর সাবেক নেতা মালানা সোলায়মানের নাম মনে পড়লে এখনো মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের গা শিউরে উঠে। আর এই হিংস্র হায়েনার একান্ত সহযোগী ছিল ডাক্তার আবুল। এদের নির্দেশে ১৯৭১ সালে নড়াইলে জল্লাদ ওমর, মোমরেজ ও ফারুক এই তিন জন প্রায় আড়াই হাজার স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে বর্তমান জজ কোর্টের পাশে বটগাছের নিচেই তৎকালীন লঞ্চঘাটের প্লাটুনের উপর নিয়ে জবাই করে হত্যা করে। চিত্রা নদীর পানি তখন মানুষের রক্তে লাল হয়ে যায়। দু’পাড়ের মানুষের চোখের সামনে লাশের স্তূপ ভেসে চলে যায় নদীর স্রোতে। হিংস্র হায়েনারা স্বাধীনতাকামী মানুষকে হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, শত শত মা-বোনের উপর চালিয়েছে অমানবিক নির্যাতন ও লুটতরাজ। মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে সুচতুর হিংস্র হায়েনা সোলায়মান ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বোরকা পরে সপরিবারে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নাম পাল্টিয়ে এস আর ফারুকী হিসেবে বর্তমানে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সোলায়মান পালিয়ে যাওয়ার পর তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।

ট্যাগসমূহঃ রাজাকার ধর্মব্যবসায়ী নাস্তিকরা স্বাধীনতা ব্যবসায়ী