নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘আবুল ক্বাসিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করাটাই সবার্ধিক পছন্দ করেছেন
, ০২ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَا اُخْبِرُكَ يَا حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّ حَضْرَتْ جِبْرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَتَانِـىْ فَاَخْبَرَنِـىْ اَنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ بَرَّاَ حَضْرَتْ مَارِيَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَقَرِيـبَهَا مِـمَّا وَقَعَ فِـىْ نَفْسِىْ وَبَشَّرَنِـىْ اَنَّ فِـىْ بَطْنِهَا غُلَامًا مِّـنِّــىْ وَاَنَّهٗ اَشْبَهُ الْـخَلْقِ بِىْ وَاَمَرَنِـىْ اَنْ اُسَـمِّـىَ ابْنِىْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَنَّانِـىْ بِاَبِـىْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَوْلَا اَنِّـىْ اَكْرَهُ اَنْ اُحَوِّلَ كُنْيَــتِـىَ الَّتِـىْ عُرِفْتُ بـِهـَا لَاكْتَنَيْتُ بِاَبِـىْحَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَمَا كَنَّانِـىْ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! আমি কি আপনাকে এই মহাসম্মানিত সুসংবাদ মুবারক দিবো না যে, নিশ্চয়ই আমার নিকট হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক নিয়ে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। অতঃপর তিনি আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এই সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক পেশ করেছেন যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ ‘আশার (হযরত মারিয়াহ ক্বিবতিয়াহ) আলাইহাস সালাম উনাকে আমার সম্মানিত আখাচ্ছুল খাছ নৈকট্য মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং আমাকে এই মহাসম্মানিত সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া করেছেন যে, নিশ্চয়ই উনার মহাসম্মানিত রেহেম শরীফ-এ আমার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত অবস্থায় অবস্থান মুবারক করছেন। (যিনি অতিশীঘ্রই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন।) সুবহানাল্লাহ! আমার এই মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি সৃষ্টি জগতের মাঝে, সমস্ত মানুষের মাঝে আমার সাথে অধিকতর সদৃশ হবেন, সামঞ্জস্যপূর্ণ হবেন, হুবহু আমার অনুরূপ হবেন তথা আমার হুবহু নকশা মুবারক হবেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই সম্মানিত নির্দেশ মুবারক প্রদান করেছেন যে, আমি যেন আমার উক্ত মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারক রাখি ‘হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! তিনি আমার মহাসম্মানিত কুনিয়াত মুবারক দিয়েছেন ‘আবূ ইবরাহীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। সুবহানাল্লাহ! আর আমি যেই মহাসম্মানিত কুনিয়াত মুবারক-এ (আবুল ক্বাসিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুনিয়াত মুবারক-এ) পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছি, যদি তা পরিবর্তন করতে পছন্দ করতাম, তাহলে আমি অবশ্যই ‘আবূ ইবরাহীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ মহাসম্মানিত কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করতাম। যেই মহাসম্মানিত কুনিয়াত মুবারক মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে আমাকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে আসাকির, জামিউল আহাদীছ শরীফ ৩/৯১ এবং ২০/৪১০, কানযুল উম্মাল শরীফ ১১/৪৭১, ই’তিলালুল ক্বুলূব ২/৩৫৬, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ১৪/১১০, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৯/৮৬ ইত্যাদি)
এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে স্পষ্টভাবে ফুটেছে যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘আবুল ক্বাসিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করাটাই সর্বাধিক পছন্দ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তাই তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের পূর্ব থেকে অদ্যবধি ‘আবুল ক্বাসিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ এই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক-এ পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত অনন্তকাল যাবৎ তিনি এই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক-এ পরিচিত থাকবেন। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং যখনই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক কেউ স্মরণ করবে, তখনই সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনাকে স্মরণ করা হবে। সুবহানাল্লাহ! তাহলে এখান থেকে দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে যে, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ! এক কথায় তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ছহীহ্ তরজমা
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা পালন করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে লেবাস বা পোশাকের হুকুম-আহকাম (১)
২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওহাবীদের চক্রান্ত উন্মোচন
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হালালকে হারাম করা নিষেধ
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাপ শরীয়তসম্মত, নিখুঁত, ব্যবহারে সহজ এবং রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ (৬)
২২ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)