নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সাইয়্যিদু কুরাইশ, সাইয়্যিদুন নাস, মালিকুল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল মুহব্বত মুবারক
, ২২ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৮ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
وَتَقَلُّبَكَ فِي السَّاجِدِينَ
অর্থ: “(হে আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনার স্থানান্তরিত হওয়ার বিষয়টি ছিলো সম্মানিত সিজদাকারীগণ উনাদের মাধ্যমে” (পবিত্র সূরা শুয়ারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১৯)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দাদাজান সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার পূর্বপুরুষ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকেই ছিলেন বিশেষ ব্যক্তিত্ব মুবারক উনাদের অন্তর্ভুক্ত। আবার অনেকেই ছিলেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার দিবস মুবারক থেকে শুরু করে প্রতিটি সময় উনাকে বেমেছাল মুহব্বত ও খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
বিশেষ করে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বেমেছালভাবে যে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দিয়েছেন, পবিত্র মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করেছেন- তার বিন্দুমাত্র উপস্থাপন করার কোশেশ করছি।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর উনার খাদিমা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম (উম্মে আয়মান আলাইহাস সালাম) তিনি খুবই আদব ও যতেœর সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দ্রুত পবিত্র মক্কা শরীফ উনার মধ্যে পৌঁছান এবং উনার দাদা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সোপর্দ করেন। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত ঘটনা শুনে অনেক কাঁদলেন এবং দুঃখ প্রকাশ করলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুক মুবারকে তুলে নিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে তিনি সবসময় সঙ্গে রাখতেন। উঠা-বসা, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সঙ্গে অবস্থান মুবারক করতে লাগলেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত ইবনে ইসহাক রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত বাইহাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত আবূ নায়ীম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মা’বাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন এবং তিনি উনার আহাল বা পরিবারের একজন থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য পবিত্র কা’বা শরীফ উনার ছায়া মুবারকে ফরাশ বিছানো হতো যার উপর তিনি বসতেন। তিনি ছাড়া কেউ এই ফরাশ মুবারক উনার উপর বসতে পারতো না। এমনকি উনার পুত্রগণও উনার সম্মানের খাতিরে তাতে বসতেন না। কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই আসন মুবারকে বসতেন। চাচাদের মধ্যে কেউ উনাকে সেই আসন মুবারক উনার মধ্যে বসতে নিষেধ করলে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলতেন, আমার পৌত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমার ফরাশ মুবারকে বসতে নিষেধ করো না। এরপর সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল আত্বহার মুবারক (পিঠ মুবারক) উনার মধ্যে হাত মুবারক বুলাতেন এবং বলতেন আমার এই সম্মানিত সন্তানের অনেক সুমহান শান-মান প্রকাশ পাবে। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করলেন, তখন উনার বয়স মুবারক ছিলো ৮ বছর। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে স্বীয় ছেলে আবূ ত্বলিব উনাকে ওছীয়ত মুবারক করে যান উনার খিদমত মুবারক করার ব্যাপারে।” (খছায়িছুল কুবরা ১ম খ- ১৩৮ পৃষ্ঠা, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলতেন- আমার পৌত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এ ফরাশে বসতে দাও। আর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুউচ্চ সম্মান-মর্যাদা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল ছিলেন। আমি আশা করি তথা আমি জানি আমার আদরের দৌহিত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এমন ফযীলত, সম্মান-ইজ্জত ও গৌরব প্রকাশ পাবে, যা আরবগণ উনাদের পূর্বে ও পরে এরকম সম্মান-মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি এবং পারবেও না।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা ১ম খ- ১৩৮ পৃষ্ঠা)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দাদা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছানা মুবারক উনার মধ্যে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করতেন। উনার চাচারা উনাকে সরাতে চাইলে সাইয়্যিদুনা জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলতেন, আমার প্রিয় সন্তান তথা পৌত্র উনাকে আমার বিছানা মুবারকে থাকতে দাও। কারণ উনার সম্মান-ইজ্জত অনেক অনেক এবং ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম তথা ফেরেশতাগণ উনাদের থেকেও আমার পৌত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা অনেক অনেক বেশি। সুবহানাল্লাহ!
বনী মুদাল্লাজ-এর কিছু লোকজন সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললেন, দয়া করে এই সম্মানিত সন্তান উনার হিফাযত করবেন; কেননা উনার মতো ক্বদম মুবারক আমরা কারও ক্বদম দেখেনি। যে ক্বদম মুবারক উনার সাদৃশ্য ক্বদম মুবারক উনার ছাপ মুবারক মাক্বামে ইবরাহীম শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন, হে বারাকাহ! আপনি কখনো আমার পৌত্র হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতের ব্যাপারে গাফিল থাকবেন না। কেননা আহলে কিতাবদের মতে, নিশ্চয়ই আমার এই সন্তান তথা আমার পৌত্র তিনি এই উম্মতের নবী ও রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা ১ম খ- ১৩৮ পৃষ্ঠা)
বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো সময় যদি উট বা অন্য কিছু হারিয়ে যেতো, তাহলে উনার ছেলে-সন্তান উনাদের বলে পাঠাতেন তা খুঁজার জন্য। কিন্তু যখন উনার সন্তানগণ তা খুঁজে পেতেন না পরিশেষে উনার চোখের মণি, কলিজার টুকরা, আদরের প্রিয় পৌত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সেই উট বা অন্য কিছু খোঁজার জন্য পাঠাতেন। কিন্তু তিনি সামান্য সময়ের মধ্যে তা ফিরিয়ে নিয়ে আসতেন। সুবহানাল্লাহ! যা ছিলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান মু’জিযা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণীয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত পিতামহ সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তত্ত্বাবধানে অবস্থান করেন দু’বছর। বিভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পিতামহ উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সময় বয়স মুবারক ছিলো ৯৫ বছর। উনাকে ‘জহুন’ নামক স্থান মুবারকে দাফন মুবারক করা হয়। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার চাচা আবু ত্বলিব উনার তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করেন। আবূ ত্বলিব তিনি ছিলেন সাইয়্যিদুনা আবূ রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সহোদর ভাই। সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবু ত্বলিব উনাকে ওছীয়ত করেন যে, তিনি যেন উনার ভাতিজা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ খিদমত মুবারক করেন, উনাকে সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করেন ইত্যাদি ইত্যাদি। (সীরাতুল মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উয়ূনুল আসার)
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাফন করার জন্য কবর মুবারক উনার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। তখন উনার খাদিমা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি কাঁদতে কাঁদতে উনার পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন। (তাবাকাতে ইবনে সা’দ)
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সময় ঘনিয়ে আসলে তিনি একদিন হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে বললেন, হে বারাকাহ! (উনার সম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক) আমার এই সম্মানিত সন্তান উনার যথাযথভাবে খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিবেন। উনার খিদমত করতে বিন্দুমাত্র যেন ত্রুটি না হয়, ভুল না হয়। কেননা আমি আহলে কিতাবীদের বলতে শুনেছি যে, আমার এই সম্মানিত সন্তান তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ! (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, নূর নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করে যাচ্ছিলেন, যা সাইয়্যিদাতুনা উম্মু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ ও ওছীয়ত মুবারক ছিলো। অনুরূপভাবে হযরত উম্মী বা’দা উম্মী আল ঊলা আলাইহাস সালাম উনাকে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও ওছীয়ত মুবারক করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করার ব্যাপারে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় পৌত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যথাযথ খিদমত করেছেন এবং উনাকে সদাসর্বদা নিজ ছায়ায় বা হিফাযতে রাখতেন যাতে করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কেউ কষ্ট দিতে না পারে, উনার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে বেমেছাল মুহব্বত মুবারক করতেন তা বিন্দু থেকে বিন্দু মাত্র প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কাফির-মুশরিকরা
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইসলামী শরীয়ত মুতাবিক- ছবি তোলা হারাম
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৩৯)
২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় সম্মানিত মশহূর লক্বব মুবারক এবং এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় বেমেছাল খুছূছিয়ত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
উম্মু আবীহা, খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত হুজরা শরীফে সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাইরু ওয়া আফদ্বালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক
২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে বাতিল ফিরক্বা কর্তৃক উত্থাপিত সমালোচনা সমূহের দলীলসম্মত জাওয়াব (৩০)
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)