মন্তব্য কলাম
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্যতা ৩.৭৫, তবুও ২.৯৫ পেয়ে অধ্যাপক অন্যান্য দেশে অধ্যাপক হতে ২০ বছর লাগলেও বাংলাদেশে লাগে মাত্র ১২ বছর! গবেষণায় যোগ্যতা না থাকার পরও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়োগ পাচ্ছে নামধারী অধ্যাপকরা। গবেষণা কমছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, প্রশিক্ষণ না পেয়ে দেশ ছাড়ছে গবেষণায় উৎসাহী মেধাবীরা।
, ০৫ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৪ ছানী, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ জুলাই, ২০২৪ খ্রি:, ২৮ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
২০১০ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক (নন টেকনিক্যাল) পদে চাকরি পান মেহেদী হাসান। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার ড. নির্মল চন্দ্র সাহা স্বাক্ষরিত সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় আবেদন প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের সব স্তরে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রার্থির জিপিএ/সিজিপিএ ৪ এর জন্য কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ থাকতে হবে। তবে মেহেদী হাসানের সিজিপিএ ২ দশমিক ৯৫ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সেসময় প্রভাষক পদে আবেদন করেছেন এবং নিয়োগও পেয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে তৎকালীন প্রভাবশালী স্থানীয় এক নেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রভাব খাটিয়ে তাকে নিয়োগ দেন।
সম্প্রতি এক দৈনিকে ‘বাংলাদেশেই অধ্যাপক হওয়া সবচেয়ে সহজ’ শিরোনামে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। প্রতিবেদনের মূল বক্তব্য সারসংক্ষেপ আকারে শুরুতেই আলাদা বক্সে তুলে ধরা হয়েছে এভাবে-বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হতে লাগে মাত্র ১২ বছর, যেখানে অন্যান্য দেশে লাগে ২০ বছর, বিভাগে সব শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপকের সংখ্যা অন্যান্য পদের থেকে বেশি এবং অধ্যাপক পদে ২৯ বছর থাকার পরেও প্রকাশনার জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
কথিত উন্নত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ থাকে কোন বিশেষায়নে গবেষণায় পিএইচডি এবং গবেষণায় পারদর্শিতার প্রমাণস্বরূপ প্রকাশনা। আর আমাদের দেশের নিয়োগের বিজ্ঞাপনে থাকে শুধু পদের নাম, কোনো নির্দিষ্ট বিশেষায়নের উল্লেখ ছাড়াই। প্রথম শ্রেণীতে অনার্স আর মাস্টার্স থাকলেই প্রার্থীকে যোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশেষ বিশেষায়নে গবেষণা এবং প্রকাশনা থাকাটা বাধ্যতামূলক হওয়ার কথা ছিল, যেহেতু মাস্টার্স পর্যায়ের পাঠ বিশেষায়িত এবং থিসিস গবেষণাভিত্তিক। বিশেষায়নকে বাদ দেয়া এবং গবেষণাভিত্তিক প্রকাশনাকে উপেক্ষা করা দিয়ে যে শুরু, সেটাই ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে পরবর্তী ধাপগুলোয়। প্রভাষকের পদে যোগদানের পর নিতান্ত ব্যক্তিগত কারণে (যেমন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য গিয়ে স্থায়ীভাবে সেটল করা) অথবা অন্য কোনো ব্যতিক্রম (যেমন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হওয়া) ছাড়া কারো চাকরিচ্যুতি ঘটেছে বা কারো পদোন্নতি হয়নি এমনটি শোনা যায় না।
শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য উন্নত বিশ্বে যেখানে ওই বিষয়ের মধ্যকার বিশেষ কোনো বিশেষায়নে (যেমন সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব, উন্নয়নের সমাজবিজ্ঞান, রাজনৈতিক সমাজবিজ্ঞান, শ্রমের সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি) যোগ্যতা প্রমাণের দরকার হয়, বাংলাদেশে দরকার হয় ওই বিষয়ের ‘বাইরের বিশেষ’ যোগ্যতা, যেমন রাজনৈতিক মতাদর্শ, প্রভাবশালী শিক্ষকের আনুকূল্য ইত্যাদি। ফলে নিয়োগপ্রাপ্তরা ব্যক্তিগতভাবে মেধাবী ছাত্রছাত্রী হওয়া সত্ত্বেও যেসব ‘বাইরের’ যোগ্যতা নিয়োগকে (এবং পরবর্তী সময়ে পদোন্নতিকে) প্রভাবিত করে, সেগুলোই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। বিশেষভাবে কোনো বিশেষায়নে নিজেকে নিবিড়ভাবে নিয়োজিত না করে বরং তারা রাজনৈতিক মতাদর্শ বা প্যাট্রন-শিক্ষকের মুখাপেক্ষী হয়েই থেকে যান। ২০১৭ সালের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গবেষণাও পরিচালিত হয়নি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ গবেষণা বাজেটের ৪০ শতাংশ অব্যবহূত থেকে গেছে। শিক্ষকদের অনেকেই অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পর্যাপ্ত গবেষণা ফান্ড না থাকার কথা। কিন্তু অতি নগণ্য পরিমাণে যেটুকু আছে, সেটাও যদি ব্যবহার করা না হয়, তাহলে ফান্ডের অপ্রতুলতার অভিযোগ ধোপে টেকে না।
সাধারণত নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে হলে প্রথমে যোগদান করতে হবে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে। এর পরের পদ রিসার্চ ফেলো, তারপর লেকচারার, সিনিয়র লেকচারার। এই পর্যন্ত আসতে একজন শিক্ষকের প্রয়োজন হয় সাত থেকে আট বছর। এর পরের পদ রিডার এবং তারপর অধ্যাপক। এভাবে অধ্যাপক হতে পর্যাপ্ত গবেষণা ও পাবলিকেশনস থাকার পরও ২০ থেকে ২৫ বছর সময় লাগে। সেইসাথে, সাধারণত ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, আন্তর্জাতিকসহ জাতীয় কোনও জার্নালে অন্তত তিনটি থেকে ১৭টি প্রকাশনা এবং সহযোগী অধ্যাপক পদে অন্তত ৪ থেকে ৭ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই একজন শিক্ষক অধ্যাপক পদে নিয়োগের যোগ্য হয়। কিন্তু বাংলাদেশে অনেকটা সোজাসাপ্টা পদ্ধতি চলছে। এইসব যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক নামের আগে সেটে যাচ্ছে অধ্যাপক।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি গবেষণার বিকল্প হিসেবে চাকরির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা হিসেবে থাকলে শিক্ষকদের অধ্যাপক পদে নিয়োগ বা পদোন্নতি দেয়া হয়। ঢাবি প্রশাসন সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ২ হাজার। এর মধ্যে অন্তত ৫০০ জন অধ্যাপক রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন শিক্ষকেরই পিএইচডি নেই। অভিযোগ রয়েছে, এই শিক্ষকদের মধ্যে অন্তত ১০ থেকে ১৫ জন ন্যূনতম যোগ্যতা পূরণ না করেই অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষক প্রায় ৬৫০ জন। এর মধ্যে অধ্যাপক রয়েছে দেড়শ’ জনের মতো। তাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ জন পিএইচডি ছাড়াই অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছে, শিক্ষায় গবেষণায় মনোযোগ আছে বিশ্বের এমন দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পিএইচডি ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প শর্তে কাউকেই অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেয়া হয় না। অথচ বাংলাদেশে বিকল্প শর্ত তো আছেই, বরং যত দিন যাচ্ছে ততই সে শর্তও সহজ করা হচ্ছে। ফলে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এখন পিএইচডি ছাড়া অধ্যাপকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এদের মধ্যে কিছু সত্যিকারের মানসম্মত ব্যক্তি রয়েছেন ঠিকই, তবে বেশিরভাগ অধ্যাপকের মান নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলে তাদের ডিগ্রিধারী সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, শুধু টাইটেল নির্ভর এই শিক্ষাব্যবস্থার কারণে ক্রমই নিম্নমুখী হচ্ছে দেশের শিক্ষার মান। শিক্ষকদের দক্ষতা ও মেধা নিয়েও প্রশ্ন তোলার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শুধু শিক্ষকই নন, গবেষকও। একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে যেমন পাঠদান করেন, তেমনি তাকে গবেষণাও করতে হয়। জ্ঞানের নতুন নতুন দিক উন্মোচন করে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের সামনে তুলে ধরতে হয়। গবেষকদের গবেষণাকর্মের তত্ত্বাবধানও করার কথা একজন অধ্যাপকের। কিন্তু একজন অধ্যাপকের নিজেরই যদি গবেষণা করার অভিজ্ঞতা না থাকে, তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রশ্ন ওঠে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাদানের মান নিয়ে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক পদটিই একজন শিক্ষকের জন্য সর্বোচ্চ পদ। সেখানে যোগ্যতম শিক্ষকেরই আসীন হওয়া উচিত। কিন্তু তা না হয়ে সেই পদে বসছে একজন অধ্যাপক নামধারী ব্যক্তি। যার অধ্যাপক হওয়ারই যোগ্যতা নেই।
প্রসঙ্গত, যে অধ্যাপকের মূল যোগ্যতাই হচ্ছে গবেষণা যদি সেটাই তার না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যাপক পদে থাকা মানে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার করুন চিত্র প্রকাশ করে। এই রকম টাইটেলনির্ভর শিক্ষক নিয়োগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কমে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি উৎসাহ কমে যাচ্ছে। অথচ মৌলিক গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কাজ। বর্তমানে দেশের এক চতুর্থাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গবেষণাই হচ্ছেনা। আবার যদি কথিত অধ্যাপকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে তাদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ লেখায় উদ্বুদ্ধ করা হয় তাহলে তাও মানসম্মত না হওয়ায় আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতেও প্রকাশ পাচ্ছেনা। বিশেষজ্ঞদের মতে- এক্ষেত্রে শুধু যোগ্যতাহীন অধ্যাপকরাই দায়ী নয় এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সরকারও দায়ী।
দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো তথা বরাদ্দ কম দেয়া হয়। যা নিত্যান্তই অপ্রতুল। আর এই সকল অনিয়মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দেশের গবেষণানির্ভর উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন শুধু ডিগ্রি প্রদান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা আরও করুণ।
শুধু তাই নয়- যারা গবেষণা না করেই অধ্যাপক হয়েছে তারা গবেষণা বুঝবে না এটাই স্বাভাবিক। ফলে তারা শিক্ষার্থীদের গবেষণা তত্ত্বাবধান করতে গিয়েও ভুল পদ্ধতিতে গবেষণা শেখায়। গবেষণা হয় নিম্নমানের। আর এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বিশেষ করে যারা গবেষণায় অত্যাধিক পরিমাণে আগ্রহী তারা নিম্নমানের প্রমাণিত হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণার ইতিহাস খুবই সম্ভাবনা ও চমকপ্রদ ছিলো। আর বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনের এই গবেষণার হাল দেখে গণহারে দেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়ে নিজেদের গবেষণার ক্ষেত্র তৈরী করছে শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক বছরে হাজারও হাজার শিক্ষার্থী দেশ ছেড়েছে শুধুমাত্র তাদের গবেষণার প্রাপ্তি ঘটানোর জন্য। কারণ দেশে তারা উপযুক্ত প্রশিক্ষক পাচ্ছেনা গবেষণার জন্য।
বলাবাহুল্য, বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বিভিন্ন সময় বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে থাকেন যে, বাংলাদেশ উন্নত ও শিক্ষিত জাতিতে পরিণত হচ্ছে। কিন্তু যখন বাংলাদেশে যোগ্যতাহীন নামধারী অধ্যাপকের কাছে গবেষণার উপযুক্ত প্রশিক্ষণ না পেয়ে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে তার গবেষণার সব সিড়ি অতিক্রম করে সেই দেশের উন্নয়নে কাজে লাগছে তখন এই মেধাপাচারের চিত্র দেখে সরকার সংশ্লিষ্টদের এইসব চিড়েভেজানো দাবী ফোকলা হিসেবেই গণ্য হয়। লোকদেখানো হিসেবেই গণ্য হয়। এক্ষেত্রে সরকার যদি সত্যিকার অর্থে দেশের শিক্ষার্থীদের উন্নত ও সত্যিকারের গবেষণালুব্ধ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায় তাহলে সরকারের জন্য অবশ্য কর্তব্য হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই অধ্যাপক টাইটেলের ছড়াছড়ির প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে যাদের যোগ্যতা আছে, যারা গবেষণায় আগ্রহী, গবেষণায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং দেশের গবেষণা খাতকে উন্নত করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের পদগুলোতে তাদেরই নিয়োগ দেয়া। এতে করে তাদের প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীরাও উন্নত হবে। দেশকে উপহার দিতে পারবে নিত্য নতুন গবেষণা। যা দিয়ে দেশ সত্যিকার অর্থে উন্নত হবে। আধুনিক হবে। বন্ধ হবে মেধা পাচার। দেশের মেধা দেশের কাজেই ব্যবহার হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
শুধু যুবকরাই নয় এখন এনার্জি ড্রিংকসে বুদ হচ্ছে শিশুরাও কর ফাঁকি দিতে অনেক এনার্জি ড্রিংকস হয়ে গেছে কোমল পানীয় জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে অবিলম্বে এনার্জি ড্রিংকস বন্ধ করতে হবে
১৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্রে পড়েই দুনিয়াদার মালানারা বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফ বাদ দিয়েছে। পর্নোগ্রাফি, মাদক থেকে যুব সমাজকে বাঁচাতে চাইলে বেহেশত-দোযখের ওয়াজ শরীফও বেশি বেশি করতে হবে।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ডানে সেলফি বামে সেলফি, সেলফি সেলফি সেলফি উম্মাদনায় সমাজে ব্যাপকভাবে বেড়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, সম্ভ্রমহরণ, সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানা অপরাধ। বিভিন্ন দেশে সেলফি’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও বাংলাদেশে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা, খুন আর আত্মহত্যা মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং দ্বীন ইসলাম বৈরিতাই এর মুখ্য কারণ সরকারের উচিত জাতীয়ভাবে দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ ও শিক্ষা প্রচার ও প্রসার করে এই সামাজিক সমস্যাটি দূরিকরণ করা।
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ইনশাআল্লাহ আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের প্রথম ধনী দেশ। এক উত্তারাঞ্চলের খনিজ উত্তোলন করলেই গোটা দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। সরকারের নিষ্ক্রিয়তা বরদাশতযোগ্য নয়।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অবহেলায় কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক; বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি। বিলুপ্তির পথে ১৯২ জাতের উপকারী পোকা। সরকারের উচিত অবিলম্বে কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও কৃষিকে বিষমুক্ত করা।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালন করা কী অপরাধ? সংবিধান কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ দেয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে কী বেপর্দা ও ছবির বিরুদ্ধে বলা হয়নি?
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রতি বছর ১ কোটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক “অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নতুন আশঙ্কা এবং বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা কমেছে”- এ তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। নচেৎ সাধারণ অসুখেই প্রাণনাশ হতে পারে
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’ হলেও কার্যকরী কিছুই হচ্ছে না ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে আমেরিকায় ইসলামোফোবিয়ার বিস্তার আরো বাড়ানো হচ্ছে
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতারণার ফাঁদে নাগরিক জীবন। সরকারের নজরদারী নেই। রকমফের প্রতারণা বন্ধে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ মুবারক বিস্তারের বিকল্প নেই।
০৯ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)